ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিযোগ করে হয়রানী বন্ধে মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
  • / ১০৭২ বার পড়া হয়েছে

জিয়াউর রহমান, নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরে সন্তোষ কুমার সরকার নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়াম্যানসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী বন্ধের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

রোববার সকাল ১১টার দিকে জেলার সকলমুক্তিযোদ্ধাদের ব্যানারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ভুক্তভোগী সন্তোষ কুমার সরকার।

সন্তোষ কুমার সরকার জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার তেলটুপি গ্রামের বাসিন্দা এবং তার মুক্তিযোদ্ধা নম্বর ০১৬৯০০০০৪৫৫।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মকছেদ আলী মোল্লা, লালপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবুল কালাম আজাদ, গুরুদাসপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোলাইমান আলী বিশ্বাস প্রমূখ।

লিখিত বক্তব্য সুত্রে জানাযায়, একই উপজেলার সিধুলী গ্রামের মৃত সন্তোষ কুমার সরকারের স্ত্রী সাধনা বালা গত বছরের ১লা সেপ্টেম্বর মাসে তার স্বামীর নাম ও মুক্তিবার্তা নাম ঠিক রেখে ঠিকানা ও বাবার নাম পরিবর্তন করে সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসতেছি মর্মে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে সন্তোষ কুমার সরকার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে সেই অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি পাকিস্থান সময়ে একজন সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলাম। সেই সময়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করি। আমার জন্মস্থান জেলা লালপুর উপজেলায়। আমি বিয়ে করে গুরুদাসপুর উপজেলায় তেলটুপি গ্রামে স্থায়ী ভাবে বসবাস করি। আমার নামে লালপুর ও গুরুদাসপুরে গ্রেজেট ভুক্ত হই। আমি গুরুদাসপুরে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ায় সেখান থেকেই সরকারি সুযোগ সুবিধা গ্রহন করি। লালপুর থেকে কোন কিছু গ্রহন করি না। অথচ আমার নামে এইধরনের অভিযোগ করে মান সম্মানের হানী করা হলো। আমি এই ধরনের কর্মকান্ড বন্ধের দাবী জানাচ্ছি।
গুরুদাসপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোলাইমান আলী বিশ্বাস বলেন, সাধনা বালার স্মামী সন্তোষ কুমার সরকার আমার খুব কাছের বন্ধু ছিলেন। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় কখন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবী করেন নাই। ৭১ সালে তিনি ভারতে যান নাই। জীবন বাচাতে মুসলমান ধর্ম গ্রহন করেছিলেন।
দয়রামপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই সন্তোস কুমার সরকারও আমি এক সাথে যুদ্ধ করেছি। তার নাম লালপুর উপজেলায় গেজেটে আমরাই অন্তভুক্ত করি। কিন্তু বিয়ে করে গুরুদাসপুরে বাসিন্দা হওয়ায় গুরুদাসপুর থেকে সরকারি সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে।
সাধনা বালা বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ করেছি। তদন্ত শেষে বুঝা যাবে কে আসল আর কে নকল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অভিযোগ করে হয়রানী বন্ধে মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০১:১০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

জিয়াউর রহমান, নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরে সন্তোষ কুমার সরকার নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়াম্যানসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী বন্ধের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

রোববার সকাল ১১টার দিকে জেলার সকলমুক্তিযোদ্ধাদের ব্যানারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ভুক্তভোগী সন্তোষ কুমার সরকার।

সন্তোষ কুমার সরকার জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার তেলটুপি গ্রামের বাসিন্দা এবং তার মুক্তিযোদ্ধা নম্বর ০১৬৯০০০০৪৫৫।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মকছেদ আলী মোল্লা, লালপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবুল কালাম আজাদ, গুরুদাসপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোলাইমান আলী বিশ্বাস প্রমূখ।

লিখিত বক্তব্য সুত্রে জানাযায়, একই উপজেলার সিধুলী গ্রামের মৃত সন্তোষ কুমার সরকারের স্ত্রী সাধনা বালা গত বছরের ১লা সেপ্টেম্বর মাসে তার স্বামীর নাম ও মুক্তিবার্তা নাম ঠিক রেখে ঠিকানা ও বাবার নাম পরিবর্তন করে সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসতেছি মর্মে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে সন্তোষ কুমার সরকার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে সেই অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি পাকিস্থান সময়ে একজন সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলাম। সেই সময়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করি। আমার জন্মস্থান জেলা লালপুর উপজেলায়। আমি বিয়ে করে গুরুদাসপুর উপজেলায় তেলটুপি গ্রামে স্থায়ী ভাবে বসবাস করি। আমার নামে লালপুর ও গুরুদাসপুরে গ্রেজেট ভুক্ত হই। আমি গুরুদাসপুরে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ায় সেখান থেকেই সরকারি সুযোগ সুবিধা গ্রহন করি। লালপুর থেকে কোন কিছু গ্রহন করি না। অথচ আমার নামে এইধরনের অভিযোগ করে মান সম্মানের হানী করা হলো। আমি এই ধরনের কর্মকান্ড বন্ধের দাবী জানাচ্ছি।
গুরুদাসপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোলাইমান আলী বিশ্বাস বলেন, সাধনা বালার স্মামী সন্তোষ কুমার সরকার আমার খুব কাছের বন্ধু ছিলেন। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় কখন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবী করেন নাই। ৭১ সালে তিনি ভারতে যান নাই। জীবন বাচাতে মুসলমান ধর্ম গ্রহন করেছিলেন।
দয়রামপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই সন্তোস কুমার সরকারও আমি এক সাথে যুদ্ধ করেছি। তার নাম লালপুর উপজেলায় গেজেটে আমরাই অন্তভুক্ত করি। কিন্তু বিয়ে করে গুরুদাসপুরে বাসিন্দা হওয়ায় গুরুদাসপুর থেকে সরকারি সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে।
সাধনা বালা বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ করেছি। তদন্ত শেষে বুঝা যাবে কে আসল আর কে নকল।