ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন পরিতোষ কুমার বৈদ্য পাঁচবিবিতে পোস্ট অফিস সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা,জনদুর্ভোগ চরমে হরিপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ পাঁচবিবিতে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো মধুপুরের আনারস জলবায়ু পদক্ষেপে বৈশ্বিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন চান ড. ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন হতে পারে আগামী সপ্তাহে: তথ্য উপদেষ্টা পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ লোক দেখানো কাজ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়: হাসান আরিফ পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইল বাংলাদেশ

এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনের গাজা উপকূলে পৌঁছেছে প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ। ওপেন আর্মস নামক জাহাজটি ২০০ টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) থেকে ওই এলাকার সমুদ্রে অবস্থান করছে। তিনদিন আগে গ্রিক শাসিত সাইপ্রাস থেকে যাত্রা করেছিল এ নৌযান। জাতিসংঘ বলছে, দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে গাজাবাসী পেলো এই ত্রাণ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার সাগরপথে ২০০ টন খাদ্য ও চিকিৎসা সমগ্রী নিয়ে সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দর ছেড়ে গাজার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেছিল। গাজার অধিবাসীরা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে জাতিসংঘের এমন সতর্ক বাণীর পর সম্প্রতি সেখানে সমুদ্রে পথে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর এটি গাজায় যাওয়া প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ।

দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এসব ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরবরাহ করেছে চাল, আটা, লেবু ও টিনজাত শাকসবজিসহ অন্যান্য খাবার। তবে এসব খাবার কীভাবে বিতরণ করা হবে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

গাজায় কোনো বন্দর নেই। এজন্য অস্থায়ীভাবে ডব্লিউসিকে দল একটি জেটি বানিয়েছে। যার মাধ্যমে জাহাজ থেকে খাদ্য নামানো হচ্ছে। এমন একটি ভিডিও দেখা যায়। সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী, তারা মনে করছেন নতুন সামুদ্রিক পথ চালু হলে গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের সংকট কিছুটা কমতে পারে। যদিও সাহায্য সংস্থাগুলো বলেছে, সমুদ্রপথ ও বিমান থেকে ফেলে এই অঞ্চলের বিশাল চাহিদা মেটানো যথেষ্ট হবে না।

হামাস বলেছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছে, তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এটিকে অবাস্তব বলেছেন। এরমধ্যেই উপত্যকাটিতে অভিযানের পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

ফিলিস্তিনের গাজা উপকূলে পৌঁছেছে প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ। ওপেন আর্মস নামক জাহাজটি ২০০ টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) থেকে ওই এলাকার সমুদ্রে অবস্থান করছে। তিনদিন আগে গ্রিক শাসিত সাইপ্রাস থেকে যাত্রা করেছিল এ নৌযান। জাতিসংঘ বলছে, দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে গাজাবাসী পেলো এই ত্রাণ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার সাগরপথে ২০০ টন খাদ্য ও চিকিৎসা সমগ্রী নিয়ে সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দর ছেড়ে গাজার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেছিল। গাজার অধিবাসীরা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে জাতিসংঘের এমন সতর্ক বাণীর পর সম্প্রতি সেখানে সমুদ্রে পথে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর এটি গাজায় যাওয়া প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ।

দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এসব ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরবরাহ করেছে চাল, আটা, লেবু ও টিনজাত শাকসবজিসহ অন্যান্য খাবার। তবে এসব খাবার কীভাবে বিতরণ করা হবে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

গাজায় কোনো বন্দর নেই। এজন্য অস্থায়ীভাবে ডব্লিউসিকে দল একটি জেটি বানিয়েছে। যার মাধ্যমে জাহাজ থেকে খাদ্য নামানো হচ্ছে। এমন একটি ভিডিও দেখা যায়। সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী, তারা মনে করছেন নতুন সামুদ্রিক পথ চালু হলে গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের সংকট কিছুটা কমতে পারে। যদিও সাহায্য সংস্থাগুলো বলেছে, সমুদ্রপথ ও বিমান থেকে ফেলে এই অঞ্চলের বিশাল চাহিদা মেটানো যথেষ্ট হবে না।

হামাস বলেছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছে, তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এটিকে অবাস্তব বলেছেন। এরমধ্যেই উপত্যকাটিতে অভিযানের পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।