ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে তলিয়ে গেছে ফসলি জমিসহ মাছের পুকুর, ক্ষতি ৪৩ কোটি টাকা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩৩০ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জে গত দুই দিনের টানা বর্ষণে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, পুকুর ও ফিসারি তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাখো মানুষ। পানির তলিয়ে গেছে ধান ও সবজির জমিসহ মাছের পুকুর। এতে প্রায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪৩ কোটি টাকা।

শরিবার (৭ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জেলা কৃষি অফিস ও মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে কিশোরগঞ্জ জেলায় ৮৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়। এছাড়া চলতি মৌসুমে সবজির চাষ হয়েছে ১০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। গত দুদিনের ভারী বর্ষণে ১ হাজার ৬২০ হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি ও ২৬৬ হেক্টর সবজির জমি তলিয়ে গেছে। সবজির জমি বেশি তলিয়ে গেছে জেলার পাকুন্দিয়া, বাজিতপুর, হোসেনপুর উপজেলায়। আর রোপা আমন ধান তলিয়ে গেছে বেশি কটিয়াদী উপজেলায়।

আগামী দুই দিনের মধ্যে পানি না কমলে কৃষকরা সকল ফসল হারাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মৎস্যচাষীর ৬ হাজার ৬৪১টি পুকুর ও ফিসারি তলিয়ে গিয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ১ হাজার ৮০০ মেট্টিক টন মাছ ভেসে গেছে। যার বাজার মূল্য ধরা প্রায় ৩৭ কোটি ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। আর অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মাছ চাষিরা।

কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবদুস সাত্তার জানান, জমিতে জমা পানি যদি ২-৩ দিন থাকে তাহলে রোপা আমন ধান ও সবজি জমির ক্ষতি হবে বেশ। আর যদি বৃষ্টি না হয় এবং পানি নেমে যায় তাহলে কিছুটা ক্ষতি কম হবে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করবো। পরে যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। বরাদ্দ এলে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে চাষিদের পুনর্বাসন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কিশোরগঞ্জে তলিয়ে গেছে ফসলি জমিসহ মাছের পুকুর, ক্ষতি ৪৩ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০৪:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

কিশোরগঞ্জে গত দুই দিনের টানা বর্ষণে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, পুকুর ও ফিসারি তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাখো মানুষ। পানির তলিয়ে গেছে ধান ও সবজির জমিসহ মাছের পুকুর। এতে প্রায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪৩ কোটি টাকা।

শরিবার (৭ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জেলা কৃষি অফিস ও মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে কিশোরগঞ্জ জেলায় ৮৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়। এছাড়া চলতি মৌসুমে সবজির চাষ হয়েছে ১০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। গত দুদিনের ভারী বর্ষণে ১ হাজার ৬২০ হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি ও ২৬৬ হেক্টর সবজির জমি তলিয়ে গেছে। সবজির জমি বেশি তলিয়ে গেছে জেলার পাকুন্দিয়া, বাজিতপুর, হোসেনপুর উপজেলায়। আর রোপা আমন ধান তলিয়ে গেছে বেশি কটিয়াদী উপজেলায়।

আগামী দুই দিনের মধ্যে পানি না কমলে কৃষকরা সকল ফসল হারাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মৎস্যচাষীর ৬ হাজার ৬৪১টি পুকুর ও ফিসারি তলিয়ে গিয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ১ হাজার ৮০০ মেট্টিক টন মাছ ভেসে গেছে। যার বাজার মূল্য ধরা প্রায় ৩৭ কোটি ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। আর অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মাছ চাষিরা।

কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবদুস সাত্তার জানান, জমিতে জমা পানি যদি ২-৩ দিন থাকে তাহলে রোপা আমন ধান ও সবজি জমির ক্ষতি হবে বেশ। আর যদি বৃষ্টি না হয় এবং পানি নেমে যায় তাহলে কিছুটা ক্ষতি কম হবে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করবো। পরে যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। বরাদ্দ এলে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে চাষিদের পুনর্বাসন করা হবে।