ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুরবানির পশুর বাজারে দাম বৃদ্ধিতে খুশি খামারিরা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে

হাবিবুর রহমান সোহাগ,সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরায় কুরবানির পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। যেখানে চাহিদা মিটিয়ে ৩৪ হাজার ৫৬০টি পশু অতিরিক্ত রয়েছে। চাহিদার মিটিয়ে অতিরিক্ত পশু ঢাকা, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট অধিদফতর।

এদিকে বিগত কয়েক বছর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে চোরাই পথে গরু না আসায় খামারিরা কিছুটা লাভবান এ বছরে পশু দাম বৃদ্ধিতে খুশি খামারিরা,  আশানুরূপ লাভ হচ্ছে।

সাতক্ষীরা প্রাণীসম্পদ অধিদফতরের তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৭টি উপজেলার ৯ হাজার ৯২৬টি খামারে কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮টি পশু। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ৫৭টি গরু, ৭৫৬টি মহিষ এবং ছাগল ও ভেড়া ৮০ হাজার ১৮৫টি প্রস্তুত রয়েছে।

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ জানান, সাতক্ষীরায় এ বছর ৯ হাজার ৯২৬টি খামারে কুরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮টি পশু বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত থাকলেও চাহিদা রয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। অর্থাৎ ৩৪ হাজার ৫৬০টি পশু অতিরিক্ত থেকে যাবে। এ সব পশু ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে। কোরবানীর পশুর বাজার দর নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করছেন  খামারিরা। বর্তমানে মাংসের  দাম বৃদ্ধিতে খামারে ভাল হওয়ায় এ ব্যবসা অনেকে শুরু করেছেন।

সাতক্ষীরা সদরে বকচরা এলাকার খামারি মনজুর রহমান মালী  জানান, গত দুই বছর আগে গরু ব্যবসা বেশ লাভজনক ছিল। তবে দিনের ব্যবধানে গো খাদ্যের দাম যে তুলানায় বৃদ্ধি পাচ্ছে, লাভ কিছুটা কম হচ্ছে।

শহরের তালতলা এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘শান্ত’ নামে আমার খামারে একটি  বিদেশী জাতের গরু আছে যার দাম ধরা হয়েছে ৬ লাখ টাকা। ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায়  বিক্রি  হলে তার সে লাভবান হবে।

গরু ক্রেতা সাতক্ষীরা সাজিদুর রহমান জানান যে অন্যান্য বছর তুলনায় এ বছর গরুর দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, আমি বাজার থেকে একটি গরু কিনেছি আনুমানিক ৩ মন একটু বেশি হতে পারে ৯৬ হাজার টাকা দিয়ে।

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ জানান, অস্বাভাবিক হারে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ে অনেক খামারি। এক্ষেত্রে এ সব বিষয় বিবেচনা করে খামারিদের সুবিধার্থে কৃষকদেরকে “নেপিয়ার ঘাস” চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাস্তার ধারে, বাড়ির উঠানে, পতিত জমিতে এই ঘাস চাষ করে খরচ কমাতে পারছেন অনেক খামারি। এ ঘাস চাষ করে কিছুটা হলেও খামারিরা উপকৃত হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, গত বছরের চাহিদার তুলনায় এ বছর ১৯ হাজার ৪৩১টি পশুর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছিল ৬০ হাজার ৯০৭টি পশু। যেখানে কোরবানির জন্য মোট পশু মজুদ ছিলো ১ লাখ ৮ হাজার ৫টি । যা চাহিদার চেয়ে ৪৭ হাজার ৯৮টি পশু বেশি ছিল। সেখানে চলতি বছর ৩৪ হাজার ৫৬০টি পশু অতিরিক্ত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কুরবানির পশুর বাজারে দাম বৃদ্ধিতে খুশি খামারিরা

আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

হাবিবুর রহমান সোহাগ,সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরায় কুরবানির পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। যেখানে চাহিদা মিটিয়ে ৩৪ হাজার ৫৬০টি পশু অতিরিক্ত রয়েছে। চাহিদার মিটিয়ে অতিরিক্ত পশু ঢাকা, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট অধিদফতর।

এদিকে বিগত কয়েক বছর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে চোরাই পথে গরু না আসায় খামারিরা কিছুটা লাভবান এ বছরে পশু দাম বৃদ্ধিতে খুশি খামারিরা,  আশানুরূপ লাভ হচ্ছে।

সাতক্ষীরা প্রাণীসম্পদ অধিদফতরের তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৭টি উপজেলার ৯ হাজার ৯২৬টি খামারে কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮টি পশু। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ৫৭টি গরু, ৭৫৬টি মহিষ এবং ছাগল ও ভেড়া ৮০ হাজার ১৮৫টি প্রস্তুত রয়েছে।

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ জানান, সাতক্ষীরায় এ বছর ৯ হাজার ৯২৬টি খামারে কুরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮টি পশু বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত থাকলেও চাহিদা রয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। অর্থাৎ ৩৪ হাজার ৫৬০টি পশু অতিরিক্ত থেকে যাবে। এ সব পশু ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে। কোরবানীর পশুর বাজার দর নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করছেন  খামারিরা। বর্তমানে মাংসের  দাম বৃদ্ধিতে খামারে ভাল হওয়ায় এ ব্যবসা অনেকে শুরু করেছেন।

সাতক্ষীরা সদরে বকচরা এলাকার খামারি মনজুর রহমান মালী  জানান, গত দুই বছর আগে গরু ব্যবসা বেশ লাভজনক ছিল। তবে দিনের ব্যবধানে গো খাদ্যের দাম যে তুলানায় বৃদ্ধি পাচ্ছে, লাভ কিছুটা কম হচ্ছে।

শহরের তালতলা এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘শান্ত’ নামে আমার খামারে একটি  বিদেশী জাতের গরু আছে যার দাম ধরা হয়েছে ৬ লাখ টাকা। ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায়  বিক্রি  হলে তার সে লাভবান হবে।

গরু ক্রেতা সাতক্ষীরা সাজিদুর রহমান জানান যে অন্যান্য বছর তুলনায় এ বছর গরুর দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, আমি বাজার থেকে একটি গরু কিনেছি আনুমানিক ৩ মন একটু বেশি হতে পারে ৯৬ হাজার টাকা দিয়ে।

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ জানান, অস্বাভাবিক হারে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ে অনেক খামারি। এক্ষেত্রে এ সব বিষয় বিবেচনা করে খামারিদের সুবিধার্থে কৃষকদেরকে “নেপিয়ার ঘাস” চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাস্তার ধারে, বাড়ির উঠানে, পতিত জমিতে এই ঘাস চাষ করে খরচ কমাতে পারছেন অনেক খামারি। এ ঘাস চাষ করে কিছুটা হলেও খামারিরা উপকৃত হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, গত বছরের চাহিদার তুলনায় এ বছর ১৯ হাজার ৪৩১টি পশুর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছিল ৬০ হাজার ৯০৭টি পশু। যেখানে কোরবানির জন্য মোট পশু মজুদ ছিলো ১ লাখ ৮ হাজার ৫টি । যা চাহিদার চেয়ে ৪৭ হাজার ৯৮টি পশু বেশি ছিল। সেখানে চলতি বছর ৩৪ হাজার ৫৬০টি পশু অতিরিক্ত রয়েছে।