ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেউ কেউ ত্রাণ বিক্রিও করে দিয়েছে: চমক

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩১১ বার পড়া হয়েছে

ছোটপর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। কিছুদিন আগে বিয়ে করে বেশ আলোচিত-সমালোচিত হন। গোপনে বাগদান ও বিয়ে, ৯০০ টাকার শাড়ি পরে বিয়ে, কাবিননামা ছাড়াই বিয়েসহ বরের একাধিক বিয়ের খবর প্রকাশ-এমন নানা কারণে এই অভিনেত্রী আলোচনায় ছিলেন।

এরপর তিনি আলোচনায় আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজপথে নেমে। আর সর্বশেষ তাকে নিয়ে কথা হচ্ছে বন্যাকবলিতদের সাহয্য করতে সশরীরে পৌঁছে যাওয়া নিয়ে।

চমক অভিনেত্রী হওয়ার আগেই মেডিকেলে পড়াশোনা শেষ করেছেন। তাই বন্যার্তদের পুর্নবাসনে তিনি কাজ করবেন একদল মেডিকেল টিমের সঙ্গে। নিজের পরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, এই সময়ে প্রথমেই বন্যা কবলিতদের স্বাস্থ্যসেবা দরকার। তাই এই কাজটিই আমরা সর্বপ্রথমে শুরু করেছি। মেডিকেল ইকুইপমেন্ট সাপ্লাই এরই মধ্যে হয়ে গেছে। এবার আমার পরিচিত যে ডাক্তারা স্বেচ্ছায় চিকিৎসা সেবা দিতে ফিল্ডে যেতে ইচ্ছুক তাদের নিয়ে কাজটি করব। চার জন ডাক্তারের এক একটি টিম করেছি। বেশ কয়েকটি টিম আমরা স্বাস্থ্যসেবা দেব।

 

 

তিনি বলেন, আমার খুব খারাপ লেগেছে যে বন্যায় অনেক মানুষের গবাদি পশু মারা গেছে। আসলে কাউকে দোষও দেওয়া যাবে না। কারণ, ওই পরিস্থিতিতে মানুষকে বাঁচানোটাই ছিল প্রধান কাজ। ফলে অনেক পশু-পাখিকে বাঁচানো যায়নি। তবে এটাও ঠিক যে অনেক মানুষ ওইসব গবাদি পশুর ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু এখন তারা সেটি পারছেন না। অনেকের বাড়ি ঘর তলিয়ে গেছে। আমি চেষ্টা করব যতটুকু পারি কিছু মানুষকে ঘর বাড়ি তৈরি করে দিতে আর কিছু মানুষকে গবাদি পশু কিনে দিতে। যাতে তারা আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।

বন্যার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে চমক বলেন, এবারের বন্যার মতো ভয়াবহ অবস্থা তো আমরা কোনদিন দেখিনি। তাই যে অভিজ্ঞতাই হয়েছে সবটাই নতুন। আমার দেখে খুব ভালো লেগেছে যেভাবে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। লাইন দিয়ে বন্যার্তদের জন্য টাকা-পয়সা, খাদ্য, বস্ত্রসহ যে যা পেরেছে দিয়েছে। কিন্তু কিছু খারাপ অভিজ্ঞতাও হয়েছে। ভিলেজ পলিটিকস এখানেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। কেউ যদি স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে ত্রাণ দিয়ে থাকে তাহলে তারা বুঝবে, অনেক জায়গায় ওই স্থানীয়রা নিজেদের পছন্দের মানুষের বাড়িতেই ত্রাণ দিয়েছে। যাদের সঙ্গে ঝামেলা রয়েছে তাদের কিছুই দেয়নি। কেউ কেউ ত্রাণ বিক্রিও করে দিয়েছে। এমনও দেখেছি কিছু স্থানীয় ব্যবসায়ী ঢাকার চেয়ে বেশি দামে পানি বিক্রি করেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কেউ কেউ ত্রাণ বিক্রিও করে দিয়েছে: চমক

আপডেট সময় : ০৮:৪০:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছোটপর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। কিছুদিন আগে বিয়ে করে বেশ আলোচিত-সমালোচিত হন। গোপনে বাগদান ও বিয়ে, ৯০০ টাকার শাড়ি পরে বিয়ে, কাবিননামা ছাড়াই বিয়েসহ বরের একাধিক বিয়ের খবর প্রকাশ-এমন নানা কারণে এই অভিনেত্রী আলোচনায় ছিলেন।

এরপর তিনি আলোচনায় আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজপথে নেমে। আর সর্বশেষ তাকে নিয়ে কথা হচ্ছে বন্যাকবলিতদের সাহয্য করতে সশরীরে পৌঁছে যাওয়া নিয়ে।

চমক অভিনেত্রী হওয়ার আগেই মেডিকেলে পড়াশোনা শেষ করেছেন। তাই বন্যার্তদের পুর্নবাসনে তিনি কাজ করবেন একদল মেডিকেল টিমের সঙ্গে। নিজের পরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, এই সময়ে প্রথমেই বন্যা কবলিতদের স্বাস্থ্যসেবা দরকার। তাই এই কাজটিই আমরা সর্বপ্রথমে শুরু করেছি। মেডিকেল ইকুইপমেন্ট সাপ্লাই এরই মধ্যে হয়ে গেছে। এবার আমার পরিচিত যে ডাক্তারা স্বেচ্ছায় চিকিৎসা সেবা দিতে ফিল্ডে যেতে ইচ্ছুক তাদের নিয়ে কাজটি করব। চার জন ডাক্তারের এক একটি টিম করেছি। বেশ কয়েকটি টিম আমরা স্বাস্থ্যসেবা দেব।

 

 

তিনি বলেন, আমার খুব খারাপ লেগেছে যে বন্যায় অনেক মানুষের গবাদি পশু মারা গেছে। আসলে কাউকে দোষও দেওয়া যাবে না। কারণ, ওই পরিস্থিতিতে মানুষকে বাঁচানোটাই ছিল প্রধান কাজ। ফলে অনেক পশু-পাখিকে বাঁচানো যায়নি। তবে এটাও ঠিক যে অনেক মানুষ ওইসব গবাদি পশুর ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু এখন তারা সেটি পারছেন না। অনেকের বাড়ি ঘর তলিয়ে গেছে। আমি চেষ্টা করব যতটুকু পারি কিছু মানুষকে ঘর বাড়ি তৈরি করে দিতে আর কিছু মানুষকে গবাদি পশু কিনে দিতে। যাতে তারা আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।

বন্যার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে চমক বলেন, এবারের বন্যার মতো ভয়াবহ অবস্থা তো আমরা কোনদিন দেখিনি। তাই যে অভিজ্ঞতাই হয়েছে সবটাই নতুন। আমার দেখে খুব ভালো লেগেছে যেভাবে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। লাইন দিয়ে বন্যার্তদের জন্য টাকা-পয়সা, খাদ্য, বস্ত্রসহ যে যা পেরেছে দিয়েছে। কিন্তু কিছু খারাপ অভিজ্ঞতাও হয়েছে। ভিলেজ পলিটিকস এখানেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। কেউ যদি স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে ত্রাণ দিয়ে থাকে তাহলে তারা বুঝবে, অনেক জায়গায় ওই স্থানীয়রা নিজেদের পছন্দের মানুষের বাড়িতেই ত্রাণ দিয়েছে। যাদের সঙ্গে ঝামেলা রয়েছে তাদের কিছুই দেয়নি। কেউ কেউ ত্রাণ বিক্রিও করে দিয়েছে। এমনও দেখেছি কিছু স্থানীয় ব্যবসায়ী ঢাকার চেয়ে বেশি দামে পানি বিক্রি করেছে।