নিউজ ডেস্ক
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন
- আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
- / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
জয়পুরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে কৃষক সামছুল ইসলাম হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়, তা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত হাফেজের ছেলে ছাবদুল, ছাবদুলের চার ছেলে হেলাল, আলম হোসেন, ইদ্রিস আলী ও রেজাউল, ছাবদুলের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, আলমের স্ত্রী ফারজানা বেগম, হেলালের স্ত্রী লিলিফা বেগম, আমেজ উদ্দীনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ও আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর গ্রামের জিয়াউল হকের স্ত্রী ফুত্তি বেগম। আর খালাস পাওয়া দুজন হলেন- মিলন হোসেন ও আ: হামিদ।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের পুলিশ পাহারায় প্রিজমভ্যানে করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের ইন্সপেক্টর আবু বকর সিদ্দিক।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ক্ষেতলালের মহব্বতপুর গ্রামের ছাবদুলের নিকট থেকে ৪০ শতক জমি কবলা করে প্রায় ২১ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন সামছুল ইসলাম। হঠাৎ করে গত ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর ছাবদুল ওই জমি নিজের বলে দাবি করেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিসে সম্পত্তি সামছুল পাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ছাবদুলসহ তার পক্ষের লোকজন তা মেনে নেননি। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর সামছুল তার স্বজনদের নিয়ে জমিতে বীজ বপন করার সময় ছাবদুলসহ প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই জমিতে যান এবং সামছুলের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সামছুলের স্বজনরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয়।
মারপিটের ঘটনায় সামছুলদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ছবদুলরা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে সামছুলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। ওই হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে ঘটনার ২ মাস ২০ দিন পর তিনি মারা যান।
ঘটনার পর সামছুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী মেরিনা বেগম বাদী হয়ে ওই বছরের ১১ নভেম্বর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন ক্ষেতলাল থানা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৯ মার্চ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আবু নাছিম শামীমুল ইসলাম শামীম সন্তুষ্ট প্রকাশ করলেও বিবাদীপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব চপল উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।