জয়পুরহাট-১ আসনে এমপি পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এস এম সোলায়মান আলী

- আপডেট সময় : ০২:৪৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
- / ৩১৩ বার পড়া হয়েছে

দবিরুল ইসলাম পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট ১ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী।
তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জননেত্রী শেখ হাসিনার সারা বাংলাদেশে যে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে সেই উন্নয়নের কথা তুলে ধরে নৌকায় ভোট চেয়ে ব্যাপক গণসংযোগ করে যাচ্ছেন তিনি। জয়পুরহাট জেলার ১৭ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় দীর্ঘদিন যাবত পথসভা, কর্মীসভা, খুলি বৈঠক, এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে জনসভা করে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাইছেন।জয়পুরহাট সদর উপজেলা,জয়পুরহাট পৌরসভা, জামালপুর ইউনিয়ন, মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়ন, ভাদশা ইউনিয়ন, দোগাছি ইউনিয়ন, চক বরকত ইউনিয়ন, ধলাহার ইউনিয়ন, পুরানাপৈল ইউনিয়ন, আমদই ইউনিয়ন, বম্বু ইউনিয়ন,পাঁচবিবি উপজেলার পৌরসভা, বাগজানা ইউনিয়ন, ধরঞ্জী ইউনিয়ন, আয়মারসুলপুর ইউনিয়ন, বালিঘাটা ইউনিয়ন, আটাপুর ইউনিয়ন, কুসুম্বা ইউনিয়ন, আওলাই ইউনিয়ন, মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন ঘুরে ও মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, এস,এম, সোলায়মান আলীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমাদের রাজনীতির গুরু জয়পুরহাটের এস এম সোলায়মান আলী। একই কথা বলেন,বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন। তারা বলেন, এস এম সোলায়মান আলী কর্মীবান্ধব নেতা।তার রয়েছে এলাকায় ব্যাপক জনসমর্থন।তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কা পেলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে আমরা মনে করি।সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এস, এম, সোলায়মান আলী বলেন,১৯৭৪ সাল থেকে রাজনীতি করি। তখন বগুড়া আজিজুল হক কলেজে ছাত্র অবস্থায় কলেজ কমিটির সদস্য হই। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য জয়পুরহাট, বগুড়া সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা উপজেলা পর্যায়ে কাজ করি। ১৯৭৫ সালে ১৭ই আগস্ট সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হই।১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের হ্যা এবং না ভোটে না ভোটের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করি। ১৯৭৯ সালে জহুরুল হক হলে কমিটির সদস্য এবং সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করি। ১৯৮১ সাল হতে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলাম। ১৯৮৩ সাল হতে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় কার্যকরী সংসদের সদস্য ছিলাম। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতীয় কার্যকরী সংসদের আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক ছিলাম।১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় কার্যকরী সংসদের সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছি।১৯৯২ সালে সামরিক শাসন জারির পর থেকে এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ত্রাণ উপকমিটির সদস্য এবং জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হই। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছি।২০০৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সফলভাবে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘ ১৫ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি।
২০০১ সালে বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দলকে সুসংগঠিত করা সহ প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে,,ইউনিয়নে ও উপজেলা পর্যায়ে,সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করে খালেদা জিয়া বিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি। দুঃসময় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের পাশে এবং সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোর সহযোগিতা করেছি।
২০০৬ সালে ১/১১ এর সময়ে দেশরত্ন , জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে জয়পুরহাট জেলার ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচটি বছর নিষ্ঠা, সততার সাথে সফলভাবে জয়পুরহাট জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।বর্তমানে ১৪ দলের জেলা কমিটির সমন্বয়ক এবং জয়পুরহাট খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়াও রাজনৈতিকভাবে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সেই সাথে বর্তমানে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়াও জয়পুরহাটে গ্রুপিং এর রাজনীতির মধ্যেও আমার সহধর্মিনী সাবিনা চৌধুরী জয়পুরহাট জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা নির্বাচিত হন এবং জয়পুরহাট জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তাকে সঙ্গে নিয়ে জয়পুরহাট জেলার মহিলা আওয়ামীলীগকেও সুসংগঠিত করা সহ সরকারের উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রাখতে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়াসহ ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন আমার স্ত্রী সাবিনা চৌধুরী।আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার সুযোগ দেন তাহলে আমি জয়পুরহাট-১আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবো ইনশাল্লাহ।