টেকনাফে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা, ঘাতক এরফান আটক
- আপডেট সময় : ০৩:১৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
- / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে
তমিজ উদ্দিন সাকিল, টেকনাফ প্রতিনিধি :
কক্সবাজার টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম শিকদারপাড়া এলাকা হতে ৮ বছরের শিশু মোছাঃ ফারিহা খানম জেরিন এর লাশ উদ্ধার, এবং অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যাকারী এরফান (১৭) কে আটক করছেন র্যাব-১৫।
গত ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম শিকদারপাড়া এলাকা থেকে ৩য় শ্রেণী পড়ুয়া মাদ্রাসার ছাত্রী ফারিহা খানম জেরিন (০৮) কে অপহরণ করা হয়। পরে অপহরণকারী এরফান ভিকটিমের মায়ের নিকট থেকে ফোনে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ ভিকটিমের মায়ের । এবং মুক্তিপণ না দিলে সকালে মেয়ের লাশ পাবে বলে ও জানায় অপহরণকারী এরফান।
অপহরণের বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ঘটনাটি সম্পর্কে র্যাব-১৫ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক আভিযানিক দল ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও আভিযানিক কার্যক্রম শুরু করেন।
গত ২৮ জুলাই শুক্রবার র্যাব ১৫ এর আভিযানিক দল ২৪ ঘন্টা পার হতেই ভিকটিমের লাশ উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িত হ্নীলা পূর্ব পানখালী ইউনিয়নের আলী আহমেদের ছেলে, মোহাম্মদ এরফান (১৭) কে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা থেকে আটক করতে সক্ষম হয়। র্যাব সূত্রে জানাযায়, আটককৃত আসামী এরফানকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আলী আহমদের ছেলে বলে জানান।
জানাযায়, আটককৃত আসামী এরফান এবং ভিকটিম ফারিহা খানম (জেরিন) দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও দুঃসম্পর্কের মামা-ভাগ্নী হয়। ঘটনার দিন গত ২৭জুলাই আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৬ টার দিকে ফারিহা খানম জেরিন বাড়ির পার্শ্বরবর্তী একটি দোকানে আসলে, আসামী এরফান খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে সু-কৌশলে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় তার বাবার অফিস কক্ষে নিয়ে যায়, এবং দরজা বন্ধ করে হাত-পা বেধে তাকে ধর্ষণ করে।
এতে ভিকটিমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে ধর্ষণকারী এরফান ভয় পেয়ে যায়, পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য আসামী এরফান
(নাই’লন রসিদিয়ে) বেধে শ্বাসরোধ করে ভিকটিমকে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিহিত কাপড়-চোপড় পলিথিনে করে আসামী এরফানের বাসার পাশে একটি নালায় ফেলে দেয়। আসামীএরফান গভীর রাতে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে মাদ্রাসার পিছনে একটি নর্দমায় ভিকটিমের মৃতদেহ ফেলে চলে যায়।
আটককৃত আসামী এরফান র্যাব ১৫ কে আরো জানায়, সে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে অপহরণের ঘটনা সাজিয়ে ভিকটিমের মায়ের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা দাবী করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটককৃত আসামী এরফানের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।