ঢাকা ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন পরিতোষ কুমার বৈদ্য পাঁচবিবিতে পোস্ট অফিস সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা,জনদুর্ভোগ চরমে হরিপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ পাঁচবিবিতে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো মধুপুরের আনারস জলবায়ু পদক্ষেপে বৈশ্বিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন চান ড. ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন হতে পারে আগামী সপ্তাহে: তথ্য উপদেষ্টা পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ লোক দেখানো কাজ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়: হাসান আরিফ পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইল বাংলাদেশ

পাঁচবিবিতে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
  • / ৩২৮ বার পড়া হয়েছে

 

দবিরুল ইসলাম, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

পাঁচবিবি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এবার ২০২৪ এ কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল ইরি বোরো ধানের আশানরুপ ফলনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষক কূল। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটায় এবার অধিক ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। স্থানীয় কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে ইরি, বোরো ধান চাষের পর এখনো কোন বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পরিনি আমরা, এটাই আল্লাহর নিকট হাজারো শুকরিয়া। আল্লাহ যদি আমাদের উপজেলায় কোন বড় ধরনের প্রকৃতিক দুর্যোগ না দেন, তাহলে আমরা ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি। তবে কৃষকরা আরো জানায় গত বছরের তুলনায় এবার ইরি বোরো চাষে ব্যায় হয়েছে বেশী, ১বিঘা ইরি বোরো চাষ থেকে কাটামাড়া পর্যন্ত খরচ পরবে ১৩/১৪ হাজার টাকা, এ ফসলের মূল্য কৃষকের অনুকূলে থাকলে কিছুটা লাভের মুখ দেখবেন কৃষকরা। তবে শ্রমিক সংকটের কারণে চাষিরা ক্ষেত থেকে ধান ঘরে তুলতে অধিক খরচের কারনে রীতিমত দুশ্চিন্তায় হিমশিম খাচ্ছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, খাটো জিড়া ধান প্রতি বিঘায় ২০-২২ মণ করে উৎপাদিত হচ্ছে। বিঘায় সব মিলিয়ে খরচ হয় ১৪ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ৮৮ জাতের ও সুফল লতা জাতের ধান একই পরিমাণে উৎপাদিত হয়। পচারি ও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার্থে ফিট এম ইস্টা ঔষধ প্রয়োগ করতে হয়। এতে প্রতি বিঘায় খরচ হয় ৩০০ টাকা করে ও তার সাথে প্রয়োগ করতে হয় ভিত্তাকো প্রতি বিঘায় খরচ ২০০ টাকা। বাগজানার কৃষক সম্ভু চন্দ্র দাস বলেন। কৃষি অফিস থেকেও বীজ বিতরণ করে। বাগজানা ইউনিয়নের অরুণ চন্দ্র মহন্ত (খোকন) বলেন, বেশিরভাগ জমিতে ধান বেড়িয়ে গেছে তবে, যেসব জমিতে সরষে আবাদ করা হয়েছিল সেসব জমিতে ধান বেড় হতে আরো এক মাস সময় লাগবে। কৃষকেরা পোকা ও পচারী প্রতিরোধী ঔষধ প্রয়োগ করেছে। একই কথা বলেন বাগজানা গ্রামের ফজলু মন্ডল, চকশিমুলীয়া গ্রামের সোহান সহ এলাকার কৃষকগন।
বাগজানা গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত হোসেন করতোয়াকে জানান, আমি ৫ বিঘা জমিতে ইরি ধানের আবাদ করেছি। পূর্বে সড়িষা চাষকৃত জমিগুলোতে দেরিতে ধান রোপন করা হয়েছে বিধায় এসব জমির ধান এখনো কাঁচা রয়েছে ও ফলন কিছুটা কম হবে। অপর দিকে যেসব জমিতে মৌসুমের শুরুতেই ধান রোপন করেছি, সেসব জমির ধান পরিপূর্ণ পেকে গেছে। তাই এখন কাটা শুরু করেছি তবে বাজারে ধানের দাম কম যাচ্ছে। এখন ১ হাজার থেকে ১১শত টাকা মণ দরে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা দাম বাড়লে ধান কাটা মাড়াই পুরোদমে শুরু করব।
বাগজানা গ্রামের অপর কৃষক রঘুনাথ জানান, ফলন বেশি হওয়ায়, আমি ৩ বিঘা জমিতে সাদা জিরা জাতের ধান চাষ করেছি। প্রতি বিঘা ধান মাড়াই ৫০০ টাকা ও কাটা ৪০০০ টাকা। প্রথম দিকে প্রতি মণ ধানের বিক্রয় মূল্য ছিলো ১২০০ টকা, কিন্তু এখন দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮৬০-৯০০ টাকা দরে। পাঁচবিবিতে উপজেলা নির্বাচনের পরে ধানের দাম বাড়তে পারে বলে ধারনা করছে এলাকার কৃষকরা। আটাপুর ইউনিয়নের কৃষক জলিল জানায়, কাটাড়ি জাতের ফলন এবার সবচেয়ে ভাল হয়েছে। তবে জিরা জাতের ধানের ফলন কম।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, কোন রোগবালাই না থাকায় ও আবহাওয়া ভাল হওয়ায় কৃষকরা কাঙ্খিত ফলন আশা করছেন। এখনো আমাদের এলাকায় পুরোদমে ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়নি। কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, এবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের লক্ষ্যমাত্রা অনুয়ায়ী ১৯,৮৩৫ হেঃ জমিতে ইরি বোরো চাষ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাঁচবিবিতে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের

আপডেট সময় : ০৬:৩১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

 

দবিরুল ইসলাম, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

পাঁচবিবি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এবার ২০২৪ এ কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল ইরি বোরো ধানের আশানরুপ ফলনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষক কূল। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটায় এবার অধিক ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। স্থানীয় কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে ইরি, বোরো ধান চাষের পর এখনো কোন বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পরিনি আমরা, এটাই আল্লাহর নিকট হাজারো শুকরিয়া। আল্লাহ যদি আমাদের উপজেলায় কোন বড় ধরনের প্রকৃতিক দুর্যোগ না দেন, তাহলে আমরা ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি। তবে কৃষকরা আরো জানায় গত বছরের তুলনায় এবার ইরি বোরো চাষে ব্যায় হয়েছে বেশী, ১বিঘা ইরি বোরো চাষ থেকে কাটামাড়া পর্যন্ত খরচ পরবে ১৩/১৪ হাজার টাকা, এ ফসলের মূল্য কৃষকের অনুকূলে থাকলে কিছুটা লাভের মুখ দেখবেন কৃষকরা। তবে শ্রমিক সংকটের কারণে চাষিরা ক্ষেত থেকে ধান ঘরে তুলতে অধিক খরচের কারনে রীতিমত দুশ্চিন্তায় হিমশিম খাচ্ছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, খাটো জিড়া ধান প্রতি বিঘায় ২০-২২ মণ করে উৎপাদিত হচ্ছে। বিঘায় সব মিলিয়ে খরচ হয় ১৪ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ৮৮ জাতের ও সুফল লতা জাতের ধান একই পরিমাণে উৎপাদিত হয়। পচারি ও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার্থে ফিট এম ইস্টা ঔষধ প্রয়োগ করতে হয়। এতে প্রতি বিঘায় খরচ হয় ৩০০ টাকা করে ও তার সাথে প্রয়োগ করতে হয় ভিত্তাকো প্রতি বিঘায় খরচ ২০০ টাকা। বাগজানার কৃষক সম্ভু চন্দ্র দাস বলেন। কৃষি অফিস থেকেও বীজ বিতরণ করে। বাগজানা ইউনিয়নের অরুণ চন্দ্র মহন্ত (খোকন) বলেন, বেশিরভাগ জমিতে ধান বেড়িয়ে গেছে তবে, যেসব জমিতে সরষে আবাদ করা হয়েছিল সেসব জমিতে ধান বেড় হতে আরো এক মাস সময় লাগবে। কৃষকেরা পোকা ও পচারী প্রতিরোধী ঔষধ প্রয়োগ করেছে। একই কথা বলেন বাগজানা গ্রামের ফজলু মন্ডল, চকশিমুলীয়া গ্রামের সোহান সহ এলাকার কৃষকগন।
বাগজানা গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত হোসেন করতোয়াকে জানান, আমি ৫ বিঘা জমিতে ইরি ধানের আবাদ করেছি। পূর্বে সড়িষা চাষকৃত জমিগুলোতে দেরিতে ধান রোপন করা হয়েছে বিধায় এসব জমির ধান এখনো কাঁচা রয়েছে ও ফলন কিছুটা কম হবে। অপর দিকে যেসব জমিতে মৌসুমের শুরুতেই ধান রোপন করেছি, সেসব জমির ধান পরিপূর্ণ পেকে গেছে। তাই এখন কাটা শুরু করেছি তবে বাজারে ধানের দাম কম যাচ্ছে। এখন ১ হাজার থেকে ১১শত টাকা মণ দরে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা দাম বাড়লে ধান কাটা মাড়াই পুরোদমে শুরু করব।
বাগজানা গ্রামের অপর কৃষক রঘুনাথ জানান, ফলন বেশি হওয়ায়, আমি ৩ বিঘা জমিতে সাদা জিরা জাতের ধান চাষ করেছি। প্রতি বিঘা ধান মাড়াই ৫০০ টাকা ও কাটা ৪০০০ টাকা। প্রথম দিকে প্রতি মণ ধানের বিক্রয় মূল্য ছিলো ১২০০ টকা, কিন্তু এখন দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮৬০-৯০০ টাকা দরে। পাঁচবিবিতে উপজেলা নির্বাচনের পরে ধানের দাম বাড়তে পারে বলে ধারনা করছে এলাকার কৃষকরা। আটাপুর ইউনিয়নের কৃষক জলিল জানায়, কাটাড়ি জাতের ফলন এবার সবচেয়ে ভাল হয়েছে। তবে জিরা জাতের ধানের ফলন কম।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, কোন রোগবালাই না থাকায় ও আবহাওয়া ভাল হওয়ায় কৃষকরা কাঙ্খিত ফলন আশা করছেন। এখনো আমাদের এলাকায় পুরোদমে ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়নি। কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, এবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের লক্ষ্যমাত্রা অনুয়ায়ী ১৯,৮৩৫ হেঃ জমিতে ইরি বোরো চাষ করা হয়েছে।