ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন পরিতোষ কুমার বৈদ্য পাঁচবিবিতে পোস্ট অফিস সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা,জনদুর্ভোগ চরমে হরিপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ পাঁচবিবিতে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো মধুপুরের আনারস জলবায়ু পদক্ষেপে বৈশ্বিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন চান ড. ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন হতে পারে আগামী সপ্তাহে: তথ্য উপদেষ্টা পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ লোক দেখানো কাজ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়: হাসান আরিফ পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইল বাংলাদেশ

পাঁচবিবিতে খরায় লিচুর ফলন হ্রাস,বাগান মালিকের মাথায় হাত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
  • / ৩৩০ বার পড়া হয়েছে

দবিরুল ইসলাম পাঁচবিবি (জয়পুরহাট)প্রতিনিধি:

অনাবৃষ্টি ও খরার কারনে পাঁচবিবিতে লিচুর ফলন হ্রাস পেয়েছে। চলতি মৌসুমে লিচুর মৌসুমের শুরুতে পাঁচবিবির বাগানগুলোতে প্রচুর পরিমানে লিচুর গুটি এসেছিল বলে জানান বাগান মালিকরা কিন্তু তীব্র তাপদাহে লিচুর সকল গুটি পড়ে গেছে।
পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের নির্মল রায়ের এক বিঘা জমিতে ৪৫ টি গাছ রয়েছে। তিনি জানান, এতোগুলো গাছে একটিও লিচু ধরে নাই। বাগজানা ইউনিয়নের কুটুহারা গ্রামের বেদারুল ইসলাম জানান, আমার তিনবিঘায় লিচু বাগান আছে। এখানে ৮০-৮৫ টা গাছ রয়েছে। পূর্বের বছরগুলোতে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় আসে বাগান থেকে। তবে এবার ফলন নেই বললেই চলে। উপজেলায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই লিচুর গাছ রয়েছে, তবে তীব্র তাপদাহের ফলে কোনো গাছে লিচু ধরেছে আবার কোনটিতে ধরেনি।
কাঁশপুর গ্রামের নিবারনের ১ টি বাগান , বরগাছা গ্রামের সফিকুলের ১ টি, বীরনগর গ্রামের আব্দুল হাকিম ও আঁটুল গ্রামের মিজানুর রহমান সকলেই বলেন এবার অনাবৃষ্টির কারনে ফলন ব্যাপক পরিমানে কম হয়েছে। ফলে লিচুর ফলনে এবার লাভ হবে না। ও সকল বাগান মালিকরা হতাশায় ভুগছেন।
কুটাহারা গ্রামের আমানুল্লাহ খান বলেন, “আমার ১ বিঘা জমিতে লিচুর বাগান আছে, প্রতিবছর আমি নিজেই গাছ থেকে লিচু ভাঙ্গি এবং হাতে বিক্রয় করি, তাতে অনেক টাকা আমার রোজগার হয়। এবং বাড়ি ও আত্মীয়স্বজনের চাহিদাও মিটাই। বাগান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিবছর আমি আশানরূপ ভাবে ফলন পেয়েছি। কিন্তু এবার তীব্র তাপদাহ ও খরার ফলে লিচুর মুকুল এবং গুটি ঝরে পড়ে গেছে। যেসব বাগানে লিচুর ফুল দেরিতে বের হয়েছে সেগুলো কিছুটা বৃষ্টি পাওয়ায় সামান্য ফল হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলাতেও একই অবস্থা, লিচুর ফলন নেই বললেই চলে। যেসকল বাগানে লিচু রয়েছে, বাজারে লিচুর মূল্য বেশি হওয়ায় কাঁচা লিচুই বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে ভাল জাতের লিচু ৫০০ টাকা ও নিম্ন মানের লিচু ৩০০ টাকা প্রতি একশত পিচ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে পাঁচবিবিরবাজারগুলোতে। তবে পুরোদমে বাজারে এখনো লিচু আসেনি।
বাগজানা গ্রামের শিক্ষক আলহাজ্ব আওফের হোসেন বলেন, আমার বাগানে গতবছর লিচুর ভাল ফলন হয়েছিল, এবার অনাবৃষ্টিতে ফলন কম হয়েছে। যতসামান্য কিছু টাকা আসতে পারে তবে খরচ উঠবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাঁচবিবিতে খরায় লিচুর ফলন হ্রাস,বাগান মালিকের মাথায় হাত

আপডেট সময় : ১১:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

দবিরুল ইসলাম পাঁচবিবি (জয়পুরহাট)প্রতিনিধি:

অনাবৃষ্টি ও খরার কারনে পাঁচবিবিতে লিচুর ফলন হ্রাস পেয়েছে। চলতি মৌসুমে লিচুর মৌসুমের শুরুতে পাঁচবিবির বাগানগুলোতে প্রচুর পরিমানে লিচুর গুটি এসেছিল বলে জানান বাগান মালিকরা কিন্তু তীব্র তাপদাহে লিচুর সকল গুটি পড়ে গেছে।
পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের নির্মল রায়ের এক বিঘা জমিতে ৪৫ টি গাছ রয়েছে। তিনি জানান, এতোগুলো গাছে একটিও লিচু ধরে নাই। বাগজানা ইউনিয়নের কুটুহারা গ্রামের বেদারুল ইসলাম জানান, আমার তিনবিঘায় লিচু বাগান আছে। এখানে ৮০-৮৫ টা গাছ রয়েছে। পূর্বের বছরগুলোতে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় আসে বাগান থেকে। তবে এবার ফলন নেই বললেই চলে। উপজেলায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই লিচুর গাছ রয়েছে, তবে তীব্র তাপদাহের ফলে কোনো গাছে লিচু ধরেছে আবার কোনটিতে ধরেনি।
কাঁশপুর গ্রামের নিবারনের ১ টি বাগান , বরগাছা গ্রামের সফিকুলের ১ টি, বীরনগর গ্রামের আব্দুল হাকিম ও আঁটুল গ্রামের মিজানুর রহমান সকলেই বলেন এবার অনাবৃষ্টির কারনে ফলন ব্যাপক পরিমানে কম হয়েছে। ফলে লিচুর ফলনে এবার লাভ হবে না। ও সকল বাগান মালিকরা হতাশায় ভুগছেন।
কুটাহারা গ্রামের আমানুল্লাহ খান বলেন, “আমার ১ বিঘা জমিতে লিচুর বাগান আছে, প্রতিবছর আমি নিজেই গাছ থেকে লিচু ভাঙ্গি এবং হাতে বিক্রয় করি, তাতে অনেক টাকা আমার রোজগার হয়। এবং বাড়ি ও আত্মীয়স্বজনের চাহিদাও মিটাই। বাগান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিবছর আমি আশানরূপ ভাবে ফলন পেয়েছি। কিন্তু এবার তীব্র তাপদাহ ও খরার ফলে লিচুর মুকুল এবং গুটি ঝরে পড়ে গেছে। যেসব বাগানে লিচুর ফুল দেরিতে বের হয়েছে সেগুলো কিছুটা বৃষ্টি পাওয়ায় সামান্য ফল হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলাতেও একই অবস্থা, লিচুর ফলন নেই বললেই চলে। যেসকল বাগানে লিচু রয়েছে, বাজারে লিচুর মূল্য বেশি হওয়ায় কাঁচা লিচুই বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে ভাল জাতের লিচু ৫০০ টাকা ও নিম্ন মানের লিচু ৩০০ টাকা প্রতি একশত পিচ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে পাঁচবিবিরবাজারগুলোতে। তবে পুরোদমে বাজারে এখনো লিচু আসেনি।
বাগজানা গ্রামের শিক্ষক আলহাজ্ব আওফের হোসেন বলেন, আমার বাগানে গতবছর লিচুর ভাল ফলন হয়েছিল, এবার অনাবৃষ্টিতে ফলন কম হয়েছে। যতসামান্য কিছু টাকা আসতে পারে তবে খরচ উঠবে না।