পাঁচবিবিতে দক্ষতা দিয়ে সমাজে সম্মানজনক অবস্থানে ২ নারী
- আপডেট সময় : ০২:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
- / ৩২৪ বার পড়া হয়েছে
দবিরুল ইসলাম পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:
নারী আজ স্বয়ংসিদ্ধা। তারা এখন কারও উপরে নির্ভরশীল নয় বরং নারীদের উপরই নির্ভরশীল পরিবার। এমনই ২জন নারী রিফাত আরা জান্নাত (১৮) এসএসসি পাশ ও এইচএসসি পাশ মোনালিসা কামাল (২২)। তাদের দুজনেরই বাড়ী পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের সমসাবাদ গ্রামে। তাদের স্বপ্ন ছিল তারা স্ব-নির্ভশীল হয়ে নিজের ভবিষ্যত উজ্জল করবে এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ডাসকো ফাউন্ডেশন, যুক্ত প্রকল্পের এফ এফ পলাশচন্দ্র জানান,তাদের এই স্বপ্ন পুরনে এগিয়ে আসে এমদাদুল হক। ২০২১ সালে ডাসকো ফাউন্ডেশন যুক্ত প্রকল্পের মানবাধিকার বিষয়ে সমসাবাদ গ্রামে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট্য একটি গ্রাম সিএসও গঠন করা হয়। এই সিএসও-এর সভা প্রধান হল এমদাদুল হক (৪৮)।পেশায় একজন কৃষক। মানুষের উপকার করাই যেন তার কাজ। ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন দপ্তর থেকে মানুষকে সেবা পাইয়ে দিতে সহায়তা করেন তিনি। পাঁচবিবি উপজেলার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের হার পাওয়ার প্রকল্প হতে প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে অনাবাসিক ৬ মাস মেয়াদি ২০জন নারীদের স্ব-নির্ভরশীল হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে ও আগ্রহী প্রশিক্ষণার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে এমন বিজ্ঞাপন হয়। এমদাদুল এই বিষয়টি জানতে পারে তাই তাদের গ্রামের দুইজন আগ্রহী নারী রিফাত আরা জান্নাত ও মোনালিসা কামালকে পাঁচবিবি উপজেলায় নিয়ে গিয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ইং তারিখে অনলাইনে আবেদন করায়। কিছুদিন পর তাদের তালিকায় নাম আসে ও পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার পর ০৮ অক্টোবর, ২০২৩ইং তারিখে ভাইভার জন্য এসএমএস আসে। ভাইভা দেয়ার পর দুজনে চুড়ান্ত প্রশিক্ষণের জন্য মনোনিত হয় ও ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ইং তারিখে প্রশিক্ষণ শুরু হয় এবং শেষ হয় ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ইং তারিখে। প্রশিক্ষণার্থীদের পিএসপি, সিএসএস, এইচটিএমএল, জাভা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ চলাকালিন সময় তাদেরকে ২টি লাপটপ প্রদান করা হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট ও বিকাশে নগদ অর্থ প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে প্রশিক্ষণ শেষে তারা বাড়িতে আউটছোসিং-এর অনলাইনে কাজ শুরু করেছে এবং অর্থ উপার্জন করছে ।
সফল নারী রিফাত আরা জান্নাত ও মোনালিসা কামাল বলেন,সমাজের শিক্ষিত বেকার নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্ননির্ভশীল করে গড়ে তোলাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য এবং স্বপ্ন বলে জানান তারা।