ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন পরিতোষ কুমার বৈদ্য পাঁচবিবিতে পোস্ট অফিস সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা,জনদুর্ভোগ চরমে হরিপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ পাঁচবিবিতে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো মধুপুরের আনারস জলবায়ু পদক্ষেপে বৈশ্বিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন চান ড. ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন হতে পারে আগামী সপ্তাহে: তথ্য উপদেষ্টা পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ লোক দেখানো কাজ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়: হাসান আরিফ পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইল বাংলাদেশ

পাঁচবিবিতে নিলাম বাতিল ও সম্পত্তি ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
  • / ৩৩০ বার পড়া হয়েছে

দবিরুল ইসলাম পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

পাঁচবিবিতে ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋন খেলাপীর দায়ে নিয়ম বহির্ভুত ভাবে হওয়া নিলাম বাতিল ও সম্পত্তি ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
(২৫ জুন) মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের ভীমপুর বাসট্যান্ড এলাকায় ২৪ জন ভুক্তভোগীর পক্ষে মোঃ হাবিবুর রহমান এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের ভীমপুর মৌজার সাবেক ১২৫ হাল ১৪১ খতিয়ানের ৮৭/১৩৭, ৮৭/১৩৯, ৮২/১৮৭ ও১৪২/১৯০ সাবেক ও হাল দাগের ১.১৩ একর রেকর্ডিয় সম্পত্তির মালিক উপজেলার আটাপাড়া গ্রামের নজির উল্যাহর পুত্র মোঃ ইছার উদ্দিন। তিনি গত ১৪ অক্টোবর ১৯৯৫ সালে ১২২৪৭ নং দলিল মুলে উক্ত জমি উপজেলার ভীমপুর গ্রামের তসলিম উদ্দিন মন্ডলের পুত্র জসিম উদ্দিন মন্ডলের নিকট হস্তান্তর করেন। জসিম উদ্দিন উক্ত জমি গত ৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯ তারিখে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ২৩৬ (৯-১) ৯৮-৯৯ নং খারিজ ও ৫০৩ নং হোল্ডিং চালু করেন। পরবর্তীতে আমরা ২৪ জন ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে ২২ টি দলিল মুলে তার নিকট থেকে উক্ত ১.১৩ একর সম্পত্তি ক্রয় করি এবং বাড়ি ঘর নির্মান করিয়া অদ্যবধি ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু পরে আমাদের অজান্তে ইছার উদ্দিনের উক্ত সম্পত্তি জসিম উদ্দিনের দলিলের ২ মাস পর গত ২৭ ডিসেম্বর ১৯৯৫ তারিখে ইছার উদ্দিনের পুত্র আঃ রউফ পিতাকে দাতা সাজিয়ে ৮২৫৭ নং এ একটি জাল দলিল তৈরি করে একই জমি ১৬ জুন ১৯৯৭ সালে ৩৮৮২ নং দলিল মুলে আবুল কাশেম বরাবরে বিনিময় করেন। আবুল কাশেমের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগন পাঁচবিবি সহকারী জজ আদালত, জয়পুরহাটে জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি অন্য মামলা ( যার নং ৭১/২০০১) করে। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে তা খারিজ করে গত ৩০ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে জসিম উদ্দিনের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু উক্ত মামলা চলাকালীন সময়ে আবুল কাশের ওয়ারিশগণ ১২ জুলাই ২০০৬ সালে ৩৮৯৮, ৩৮৯৯ দলিল মুলে জনৈক রাজ কুমার খেতানের নিকট সম্পত্তিটি বিক্রি করেন। যা নিয়মবহির্ভূত । রাজ কুমার খেতান এই সম্পত্তি ন্যাশনাল ব্যাংক বড়গোলা, বগুড়া শাখায় বন্ধক ( নং ১১২৮ তাং ০৮/৭/২০০৭) রেখে ঋন গ্রহন করেন। সেখানে তিনি ঋন খেলাপি হলে উক্ত সম্পত্তি নিলাম হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান প্রশ্ন রাখেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের মত এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিভাবে সঠিক তদন্ত না করে ঋন প্রদান করেছে ? যার কারনে আমরা ভোগান্তি পোহাচ্ছি ।বর্তমানে নিলাম গ্রহনকারীরা আমাদের বাড়ি ঘর ভেঙে ফেলেছে ও সেখান থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন হুমকি প্রদান করছে । এ কারনে আমরা গত ২৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে হাইকোর্টে একটি সিভিল মামলা ( নং ১০০৬ ) দায়ের করেছি । তারপরও তাদের অব্যাহত হুমকির কারণে বর্তমানে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছি । আমরা নিয়ম বহির্ভূত হওয়া নিলাম বাতিল করে জমির অধিকার ফিরে পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিকট আকুল আবেদন করছি ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাঁচবিবিতে নিলাম বাতিল ও সম্পত্তি ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ১১:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

দবিরুল ইসলাম পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

পাঁচবিবিতে ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋন খেলাপীর দায়ে নিয়ম বহির্ভুত ভাবে হওয়া নিলাম বাতিল ও সম্পত্তি ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
(২৫ জুন) মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের ভীমপুর বাসট্যান্ড এলাকায় ২৪ জন ভুক্তভোগীর পক্ষে মোঃ হাবিবুর রহমান এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের ভীমপুর মৌজার সাবেক ১২৫ হাল ১৪১ খতিয়ানের ৮৭/১৩৭, ৮৭/১৩৯, ৮২/১৮৭ ও১৪২/১৯০ সাবেক ও হাল দাগের ১.১৩ একর রেকর্ডিয় সম্পত্তির মালিক উপজেলার আটাপাড়া গ্রামের নজির উল্যাহর পুত্র মোঃ ইছার উদ্দিন। তিনি গত ১৪ অক্টোবর ১৯৯৫ সালে ১২২৪৭ নং দলিল মুলে উক্ত জমি উপজেলার ভীমপুর গ্রামের তসলিম উদ্দিন মন্ডলের পুত্র জসিম উদ্দিন মন্ডলের নিকট হস্তান্তর করেন। জসিম উদ্দিন উক্ত জমি গত ৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯ তারিখে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ২৩৬ (৯-১) ৯৮-৯৯ নং খারিজ ও ৫০৩ নং হোল্ডিং চালু করেন। পরবর্তীতে আমরা ২৪ জন ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে ২২ টি দলিল মুলে তার নিকট থেকে উক্ত ১.১৩ একর সম্পত্তি ক্রয় করি এবং বাড়ি ঘর নির্মান করিয়া অদ্যবধি ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু পরে আমাদের অজান্তে ইছার উদ্দিনের উক্ত সম্পত্তি জসিম উদ্দিনের দলিলের ২ মাস পর গত ২৭ ডিসেম্বর ১৯৯৫ তারিখে ইছার উদ্দিনের পুত্র আঃ রউফ পিতাকে দাতা সাজিয়ে ৮২৫৭ নং এ একটি জাল দলিল তৈরি করে একই জমি ১৬ জুন ১৯৯৭ সালে ৩৮৮২ নং দলিল মুলে আবুল কাশেম বরাবরে বিনিময় করেন। আবুল কাশেমের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগন পাঁচবিবি সহকারী জজ আদালত, জয়পুরহাটে জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি অন্য মামলা ( যার নং ৭১/২০০১) করে। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে তা খারিজ করে গত ৩০ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে জসিম উদ্দিনের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু উক্ত মামলা চলাকালীন সময়ে আবুল কাশের ওয়ারিশগণ ১২ জুলাই ২০০৬ সালে ৩৮৯৮, ৩৮৯৯ দলিল মুলে জনৈক রাজ কুমার খেতানের নিকট সম্পত্তিটি বিক্রি করেন। যা নিয়মবহির্ভূত । রাজ কুমার খেতান এই সম্পত্তি ন্যাশনাল ব্যাংক বড়গোলা, বগুড়া শাখায় বন্ধক ( নং ১১২৮ তাং ০৮/৭/২০০৭) রেখে ঋন গ্রহন করেন। সেখানে তিনি ঋন খেলাপি হলে উক্ত সম্পত্তি নিলাম হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান প্রশ্ন রাখেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের মত এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিভাবে সঠিক তদন্ত না করে ঋন প্রদান করেছে ? যার কারনে আমরা ভোগান্তি পোহাচ্ছি ।বর্তমানে নিলাম গ্রহনকারীরা আমাদের বাড়ি ঘর ভেঙে ফেলেছে ও সেখান থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন হুমকি প্রদান করছে । এ কারনে আমরা গত ২৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে হাইকোর্টে একটি সিভিল মামলা ( নং ১০০৬ ) দায়ের করেছি । তারপরও তাদের অব্যাহত হুমকির কারণে বর্তমানে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছি । আমরা নিয়ম বহির্ভূত হওয়া নিলাম বাতিল করে জমির অধিকার ফিরে পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিকট আকুল আবেদন করছি ।