পাঁচবিবিতে মাটি চাপা দেয়া বস্তাবন্দী গলিত লাশ কলেজ ছাত্র নাঈমের

- আপডেট সময় : ০৮:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৩৯০ বার পড়া হয়েছে

দবিরুল ইসলাম পাঁচবিবি (জয়পুরহাট)প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে থানা পুলিশ কর্তৃক মাটি চাপা দেয়া উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দী গলিত লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। লাশটি ধরঞ্জী গ্রামের মৃত মাসুদ রানার পুত্র নাইম হোসেন (২৩) এর। সে মহিপুর হাজী মহসিন সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
জানা যায়,গত ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৯টায় উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের ধরঞ্জী বাজার সংলগ্ন মৃত শুকুর আলীর পুত্র সামছুল ইসলামের বাড়ীর গোসল খানার মেঝের নিচ থেকে মাটি চাপা দেয়া অজ্ঞাত এক ব্যক্তির হাড়সহ বস্তাবন্দী গলিত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এরপর ফরেনসিক সহ ডিএনএ টেস্টের জন্য প্রেরণ করে। পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে আজ ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে পুলিশ নাঈমের লাশ পরিবারে
হস্তান্তর করে এবং সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
পরিবারের লোকজন বলেছে , নারী ঘটিত ঘটনায় নাঈমকে খুন করা হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল ধরঞ্জী বাজারের কথা বলে নাইম হোসেন রাত ৮ টার দিকে বাড়ী থেকে বের হয়ে গেলে সে আর বাড়ীতে ফিরেনি। পরে কোথাও কোনো সন্ধান না পেয়ে গত ২৫ এপ্রিল নাইমের নিখোঁজ সংবাদ জানিয়ে পাঁচবিবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে তার পরিবারের লোকজন। নিখোঁজের প্রায় ৫ মাস পর উদ্ধার হওয়া গলিত লাশ যে নাঈমের সেটি প্রমাণ মিললো নাঈমের পরিবারের সনাক্তকরণ ও দাবির প্রেক্ষিতে।এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ নাঈমের দেহাবশেষ গ্রামের বাড়ীতে পৌছালে পাড়া প্রতিবেশিদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে । স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন । বাড়িতে ভীড় জমায় হাজার হাজার উৎসুক গ্রামবাসী ।
তবে প্রকৃত কি কারণে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে তার মূল রহস্য উদঘাটনে নিবিড় তদন্ত সাপেক্ষে জানানো যাবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। আর নিহত নাঈম ইসলামের পরিবারের দাবী, নাঈম ইসলামকে নারী সংঘঠিত বিষয়ের কারণে সামছুল ইসলামের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ও তার স্ত্রী পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল হক বলেন, নিখোঁজ হওয়া যুবকের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশের দেহাবশটি দাফনের জন্য নাঈমের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।