পুকুরে বিষ দিয়ে মৎসচাষীর ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন
- আপডেট সময় : ০৫:১০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
- / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের টেগরা তকিপুর গ্রামের মমীনুল ইসলামের লীজকৃত পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছের ক্ষতি করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (১১ মে) রাত্রি আনুমানিক ১২ ঘটিকার সময় বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের টেগরা তকিপুর রুপচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।ভুক্তভোগী মমিনুল ইসলাম বলেন, আমি পুকুরে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আজ রাত আনুমানিক ১২ ঘটিকার সময় আমার পুকুরের পাহারাদার সালাম আমাকে ফোন দিয়ে জানায় পুকুরে কে বা কাহারা বিষ দিয়েছে মাছগুলো মরে যাচ্ছে। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখি যে, আমার পুকুরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরিয়া গিয়াছে। বর্তমানেও মাছ মরিতেছে। ইহাতে আমার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মত ক্ষতি হয়।
মৎস্যচাষী মমিনুল ইসলাম বিরামপুর উপজেলার ২ নং কাটলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের খিয়ার মাহমুদপুর গ্রামের মৃত ভোলা সরকারের ছেলে।সে ৫ বছরের জন্য ৬ নং জোতবানী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের টেগরা তকিপুর রুপচন্দ্রপুর গ্রামে রানা ও আফজালের নিকট হতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় পুকুরটি লীজ নেন। আরো ১ বছর পর এই মাছগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে পুকুর থেকে তুলতো কিন্তু দূর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে মাছগুলো চোখের সামনে মরতে দেখে অনেকটাই ভেঙ্গে পরে সে।
মৎসচাষীর পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনা জানতে পেরে বিরামপুর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা কাওসার হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় মৎস্য চাষী মমিনুল ইসলামকে থানায় জেনারেল ডায়েরি করার পরামর্শ দেন। এছাড়াও পুকুরের মৃত মাছ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য নমুনা সংরক্ষণ করার পরামর্শ দেন। পুকুরে ৫ দিন পর বিষের প্রভাব নিষ্ক্রিয় হলে চুন দিয়ে পুনরায় মাছ চাষাবাদের পরামর্শ দেন।
এমন ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান জোতবানী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহানুর ইসলাম বাবু।
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে বিরামপুর থানার এস আই তবিবুর রহমানকে পাঠিয়েছি। অভিযোগ দায়ের করা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।