ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে প্রশাসন ম্যানেজ করে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩
  • / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মশিউর রহমান সুমন, বরিশাল, (মেহেন্দীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ থানায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চর এককরিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সংলগ্ন নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

অপরিকল্পিত ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষঙ্গরা।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার গজারিয়া,কালাবদর,বলাসিয়া, মেঘনা চারটি নদী। প্রতিবছর চারটি নদীর ভাঙ্গনে অনেক বাড়ি ঘর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।ভাঙ্গনরোধে এসব নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের অভিযোগ করা হলেও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চর এককরিয়া ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজার সংলগ্ন নদী থেকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করছেন।

অবৈধ বালু উত্তোলনে নদী ভাঙ্গন বৃদ্বি পেতে পারে এবং চর এককরিয়া ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজার, সরকারী গোডাউন, গুচ্ছ গ্রাম, দরবেশকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে।

অবৈধ বালু উত্তোলন করে একশ্রেণীর মানুষ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে , অপরদিকে সাধারন মানুষ তাদের ভিটেমাটি নিয়ে নদীভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে।
নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে বারবার অভিযোগ করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

এব্যাপারে ড্রেজার ব্যবসায়ী বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ সাকিল হাওলাদার, ও রাতুল চৌধুরী জানায়, সাধারন মানুষের মাঝে পুকুর, ডোবা ভরাটের জন্য ভিটি বালুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । তাই প্রশাসন কে ম্যানেজ করেই আমাদের বালু উত্তোলন করতে হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বরিশালে প্রশাসন ম্যানেজ করে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

মোঃ মশিউর রহমান সুমন, বরিশাল, (মেহেন্দীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ থানায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চর এককরিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সংলগ্ন নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

অপরিকল্পিত ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষঙ্গরা।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার গজারিয়া,কালাবদর,বলাসিয়া, মেঘনা চারটি নদী। প্রতিবছর চারটি নদীর ভাঙ্গনে অনেক বাড়ি ঘর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।ভাঙ্গনরোধে এসব নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের অভিযোগ করা হলেও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চর এককরিয়া ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজার সংলগ্ন নদী থেকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করছেন।

অবৈধ বালু উত্তোলনে নদী ভাঙ্গন বৃদ্বি পেতে পারে এবং চর এককরিয়া ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজার, সরকারী গোডাউন, গুচ্ছ গ্রাম, দরবেশকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে।

অবৈধ বালু উত্তোলন করে একশ্রেণীর মানুষ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে , অপরদিকে সাধারন মানুষ তাদের ভিটেমাটি নিয়ে নদীভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে।
নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে বারবার অভিযোগ করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

এব্যাপারে ড্রেজার ব্যবসায়ী বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ সাকিল হাওলাদার, ও রাতুল চৌধুরী জানায়, সাধারন মানুষের মাঝে পুকুর, ডোবা ভরাটের জন্য ভিটি বালুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । তাই প্রশাসন কে ম্যানেজ করেই আমাদের বালু উত্তোলন করতে হচ্ছে।