ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন পরিতোষ কুমার বৈদ্য পাঁচবিবিতে পোস্ট অফিস সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা,জনদুর্ভোগ চরমে হরিপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ পাঁচবিবিতে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো মধুপুরের আনারস জলবায়ু পদক্ষেপে বৈশ্বিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন চান ড. ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন হতে পারে আগামী সপ্তাহে: তথ্য উপদেষ্টা পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ লোক দেখানো কাজ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়: হাসান আরিফ পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইল বাংলাদেশ

বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ. লীগের একজনও মারা যাবে না : গয়েশ্বর

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
  • / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের একটা লোকও মারা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা বলে থাকেন— বিএনপি ক্ষমতায় আসলে একদিনে দুই লাখ লোক মারা যাবে। আমি বলছি বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের একজন লোকও মারা যাবে না। কারণ, বিএনপি খুন-হামলার রাজনীতি করে না। কেউ অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে।

বিএনপির মূল লক্ষ্য এই সরকারকে সরানো উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, একবার আওয়ামী লীগ ভারতে পালিয়েছিল, আবারও পালাবে। দেশের মানুষ কিছু না বললেও পালাবে। কথা আছে— বনের বাঘে না খেলেও মনের বাঘে খায়।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, দুর্নীতিকে চ্যাম্পিয়ন সরকার ভর্তুকির নামে জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সঙ্গে রয়েছে আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজি। এসবের প্রভাবও পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের ওপর। মানুষের কী কষ্ট! আর এই সরকার অর্থের অপচয় করে একেক সময় একেকটা ঘটনা ঘটায়।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ১৬ বছর ধরে কষ্ট করছেন, হয়ত আপনাদের আর কিছুদিন কষ্ট করতে হবে। এই আন্দোলন সফল হওয়া মানে গণতন্ত্র ফেরত পাওয়া, বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়া। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

জনগণের ভোটে এখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয় না বলে দাবি করে তিনি বলেন, এখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে পুলিশ ও কিছু এজেন্সি। এটা কি তাদের কাজ? এদের কাজ কি গুমে সহযোগিতা করা, আসামিকে সীমান্ত পার করে দেওয়া নাকি? অবশ্যই নয়।

আইনি জটিলতায় ভারতে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে শিলংয়ে উদ্ধার প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ২০১৫ সালে আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদকে উত্তরা থেকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছিল। তখন র‌্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন বেনজীর আহমেদ। সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হলো ঢাকার উত্তরা থেকে, আবিষ্কার করা হলো ভারতের শিলংয়ে।

বেনজীরের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, দুদক তাকে কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন।

বেনজীরের দেশ ত্যাগের খবর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং ইমিগ্রেশনে যারা আছেন তারা অন্ধ না বোবা, নাকি পড়াশুনা জানেন না? সব পত্রপত্রিকায় তো বেনজীরের খবর প্রকাশিত হয়েছে।

পুলিশ আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে বলে মন্তব্য করে গয়েশর বলেন, এখন খবরের কাগজ খুললে বেনজীর ও ভারতে খুন হওয়া সংসদ সদস্য আনারের খবর। আনার স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে যদি জড়িত থাকলে সেই বিচারও জনসম্মুখে হওয়া উচিত। ভারতের কারা এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সেটাও বের করা উচিত।

মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি পাভেল শিকদারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ. লীগের একজনও মারা যাবে না : গয়েশ্বর

আপডেট সময় : ০৪:০১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের একটা লোকও মারা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা বলে থাকেন— বিএনপি ক্ষমতায় আসলে একদিনে দুই লাখ লোক মারা যাবে। আমি বলছি বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের একজন লোকও মারা যাবে না। কারণ, বিএনপি খুন-হামলার রাজনীতি করে না। কেউ অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে।

বিএনপির মূল লক্ষ্য এই সরকারকে সরানো উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, একবার আওয়ামী লীগ ভারতে পালিয়েছিল, আবারও পালাবে। দেশের মানুষ কিছু না বললেও পালাবে। কথা আছে— বনের বাঘে না খেলেও মনের বাঘে খায়।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, দুর্নীতিকে চ্যাম্পিয়ন সরকার ভর্তুকির নামে জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সঙ্গে রয়েছে আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজি। এসবের প্রভাবও পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের ওপর। মানুষের কী কষ্ট! আর এই সরকার অর্থের অপচয় করে একেক সময় একেকটা ঘটনা ঘটায়।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ১৬ বছর ধরে কষ্ট করছেন, হয়ত আপনাদের আর কিছুদিন কষ্ট করতে হবে। এই আন্দোলন সফল হওয়া মানে গণতন্ত্র ফেরত পাওয়া, বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়া। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

জনগণের ভোটে এখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয় না বলে দাবি করে তিনি বলেন, এখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে পুলিশ ও কিছু এজেন্সি। এটা কি তাদের কাজ? এদের কাজ কি গুমে সহযোগিতা করা, আসামিকে সীমান্ত পার করে দেওয়া নাকি? অবশ্যই নয়।

আইনি জটিলতায় ভারতে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে শিলংয়ে উদ্ধার প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ২০১৫ সালে আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদকে উত্তরা থেকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছিল। তখন র‌্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন বেনজীর আহমেদ। সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হলো ঢাকার উত্তরা থেকে, আবিষ্কার করা হলো ভারতের শিলংয়ে।

বেনজীরের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, দুদক তাকে কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন।

বেনজীরের দেশ ত্যাগের খবর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং ইমিগ্রেশনে যারা আছেন তারা অন্ধ না বোবা, নাকি পড়াশুনা জানেন না? সব পত্রপত্রিকায় তো বেনজীরের খবর প্রকাশিত হয়েছে।

পুলিশ আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে বলে মন্তব্য করে গয়েশর বলেন, এখন খবরের কাগজ খুললে বেনজীর ও ভারতে খুন হওয়া সংসদ সদস্য আনারের খবর। আনার স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে যদি জড়িত থাকলে সেই বিচারও জনসম্মুখে হওয়া উচিত। ভারতের কারা এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সেটাও বের করা উচিত।

মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি পাভেল শিকদারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।