বিরামপুরে দাখিল মাদ্রাসার শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল
- আপডেট সময় : ১১:২৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪
- / ৩৩০ বার পড়া হয়েছে
মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় এ বছর পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর এই শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার দাড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এছাড়াও চলতি বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ১০৫ জন শিক্ষার্থী।এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অসাদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিস্কার হয়েছে ৬৬ জন শিক্ষার্থী। মোট ৭৭টি বিদ্যালয় শতভাগ পাশ করলেও ৪টি বিদ্যালয়ের কেউই পাশ করতে পারেনি।এর মধ্যে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় খয়েরবাড়ি মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী। রবিবার (১২ মে) চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে বিরামপুর উপজেলায় ৬ টি কেন্দ্রে ৫৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৭৫৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে মাদ্রাসা ২২ টি, ভোকেশনাল ১ টি এবং ৩৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় যার মধ্যে ৬টি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট যুক্ত রয়েছে।বিরামপুর উপজেলায় ২ হাজার ৭৫৬ জন এস এস সি ও সমমান পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ২ হাজার ৬০ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৭৮ জন এবং ফেল করেন ৬৯৬ জন পরীক্ষার্থী।মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীদের পাশের হার শতকরা ৩৯ দশমিক ৩১ এবং টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট এর পাশের হার শতকরা ৯১ দশমিক ২৫ এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশের হার শতকরা ৮০ দশমিক ৯৬ ভাগ। বিরামপুর উপজেলায় এস এস সি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেও কোনো শিক্ষার্থী পাস না করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় খয়ের বাড়ি মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসার নাম পাওয়া যায়।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪ জন ছেলে ও ২০ জন মেয়ে। ইংরেজি পরীক্ষারদিন এক্সফেল হয় ১ জন। তবে বাকি ২৩ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেও পাশ করতে পারেনি।
খয়ের বাড়ি মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আঃ রশীদের সাথে প্রতিষ্ঠানে দেখা করতে গিয়ে দেখা যায় তিনি অনুপস্থিত এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ।এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী সুপার আঃ লতিফ বলেন প্রতিষ্ঠানের ফলাফল খারাপ হওয়ায় তিনি আতঙ্কিত।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের অবহেলায় থমকে গেছে পড়ালেখার মান এমনটি অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
উক্ত মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী মোছাঃ মুর্শিদা নাশিদ নুহা বলেন আমিসহ ২৪ জন পরীক্ষার্থী সকলে সায়েন্স নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। আমি আশাবাদী আমার ফলাফল ৪.৫ এর বেশি হবে কিন্তু কেন এমন ফলাফল আসলো আমার মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।
এবিষয়ে খয়ের বাড়ি মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমার প্রতিষ্ঠানটি একসময় উপজেলার শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল,কেন এমন ফলাফল আসলো মেনে নিতে পারছি না,তবে সামনে যেন আরো ভালো করে সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমশের আলী মন্ডল বলেন, খয়ের বাড়ি মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল কেন এমন হলো এবিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হবে।