ঢাকা ০১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চালের সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক প্রত্যাহার মতিয়া চৌধুরীর জানাজা বৃহস্পতিবার, দাফন বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক এমপি অসীম কুমারের ব্যাংক হিসেব জব্দ ৮ জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ জারি শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন পরিতোষ কুমার বৈদ্য পাঁচবিবিতে পোস্ট অফিস সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা,জনদুর্ভোগ চরমে হরিপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ পাঁচবিবিতে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো মধুপুরের আনারস জলবায়ু পদক্ষেপে বৈশ্বিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন চান ড. ইউনূস

বিরামপুরে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বানর খেলা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪০৯ বার পড়া হয়েছে

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের বিরামপুরে এখন আর চোখে পড়েনা মজমা বসিয়ে আগের মত সেই বানর খেলা। অথচ এমন একদিন ছিল যেদিন এক শ্রেণির লোকের পেশাই ছিল বানর খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের পাশে বিরামপুর পৌরসভার চাঁদপুরে দেখা হয় বানর খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা প্রায় ১২ টি পরিবারের সরদার পুটি মিয়ার সাথে। সরদার পুঁটি মিয়া যশোর কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রতিবছর রোজা ও কোরবানির ঈদে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বানর খেলা ও সাপ খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।তার সাথে তার পরিবার ও ছেলের স্ত্রী, সন্তানসহ গ্রামের ১০-১২ টি পরিবার জীবিকা নির্বাহের জন্য এসময়টা নিজ জন্মভূমি ছেড়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। পরবর্তী সময়ে তারা জন্ম স্থানে ফিরে এসে বসবাস করে ।এ অল্প সময়ে খেলা দেখিয়ে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে চলতে হয় সারাটি বছর।

সরদার পুঁটি মিয়া জানায়,যে সব বানর দিয়ে খেলা দেখানো হয় সে সব বানরের গলায় বাঁধা থাকে মোটা রশি। রশিতে টান দিয়ে বলে দেয়া হতো ‘এই খেলা দেখা’ বানরও মানুষের ভাষা বুঝে রপ্ত করা সেই খেলাই দেখাতো। মজমায় সমবেত লোকজন ২-৫ টাকা করে দিতো।এ ভাবেই দিন শেষে ২-৩শ’ টাকা রোজগার হয় যা দিয়ে অভাবের সংসার চালানো কষ্টকর।একসময় গ্রামগঞ্জে, পাড়ামহল্লায় বানরের খেলা দেখিয়ে ভালো উপার্জন হতো। প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ কেজির মতো চাল মিলত। পাশাপাশি নগদ টাকাও আয় করতেন। তা দিয়েই স্বাচ্ছন্দ্যেই জীবিকা নির্বাহ হতো পরিবারগুলোর।কিন্তু বর্তমানে বানরের খেলা আর জমছে না। সময়ের ব্যবধানে মানুষের মধ্যে বানরের খেলা দেখার আগ্রহ কমতে শুরু করে।তাই টান পড়েছে জীবিকায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিরামপুরে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বানর খেলা

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের বিরামপুরে এখন আর চোখে পড়েনা মজমা বসিয়ে আগের মত সেই বানর খেলা। অথচ এমন একদিন ছিল যেদিন এক শ্রেণির লোকের পেশাই ছিল বানর খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের পাশে বিরামপুর পৌরসভার চাঁদপুরে দেখা হয় বানর খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা প্রায় ১২ টি পরিবারের সরদার পুটি মিয়ার সাথে। সরদার পুঁটি মিয়া যশোর কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রতিবছর রোজা ও কোরবানির ঈদে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বানর খেলা ও সাপ খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।তার সাথে তার পরিবার ও ছেলের স্ত্রী, সন্তানসহ গ্রামের ১০-১২ টি পরিবার জীবিকা নির্বাহের জন্য এসময়টা নিজ জন্মভূমি ছেড়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। পরবর্তী সময়ে তারা জন্ম স্থানে ফিরে এসে বসবাস করে ।এ অল্প সময়ে খেলা দেখিয়ে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে চলতে হয় সারাটি বছর।

সরদার পুঁটি মিয়া জানায়,যে সব বানর দিয়ে খেলা দেখানো হয় সে সব বানরের গলায় বাঁধা থাকে মোটা রশি। রশিতে টান দিয়ে বলে দেয়া হতো ‘এই খেলা দেখা’ বানরও মানুষের ভাষা বুঝে রপ্ত করা সেই খেলাই দেখাতো। মজমায় সমবেত লোকজন ২-৫ টাকা করে দিতো।এ ভাবেই দিন শেষে ২-৩শ’ টাকা রোজগার হয় যা দিয়ে অভাবের সংসার চালানো কষ্টকর।একসময় গ্রামগঞ্জে, পাড়ামহল্লায় বানরের খেলা দেখিয়ে ভালো উপার্জন হতো। প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ কেজির মতো চাল মিলত। পাশাপাশি নগদ টাকাও আয় করতেন। তা দিয়েই স্বাচ্ছন্দ্যেই জীবিকা নির্বাহ হতো পরিবারগুলোর।কিন্তু বর্তমানে বানরের খেলা আর জমছে না। সময়ের ব্যবধানে মানুষের মধ্যে বানরের খেলা দেখার আগ্রহ কমতে শুরু করে।তাই টান পড়েছে জীবিকায়।