ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিরামপুরে রাস্তার কাজের উদ্বোধন করেন মেয়র আক্কাস আলী পাঁচবিবির গ্রামীণ সড়ক পাকা করণের উদ্বোধন করলেন এমপি দুদু নারীদের নেতৃত্ব উন্নয়ন ও সংগঠন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী পাঁচবিবিতে পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষীর দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা বিরামপুরে ছোট যমুনা নদীতে উপজেলা মৎস কর্মকর্তার অভিযান বরগুনার পাথরঘাটায় ট্রাক – মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ যুবক নিহত হিলিতে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ বেগমগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র-কার্তুজসহ দুই তরুণ গ্রেফতার জাল স্বাক্ষর করে একাউন্ট খুলে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্যামনগরে দুর্যোগের প্রস্তুতি, উদ্ধার ও পুনরুদ্ধার বিষয়ক মাঠ মহড়া

বিরামপুরে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বানর খেলা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের বিরামপুরে এখন আর চোখে পড়েনা মজমা বসিয়ে আগের মত সেই বানর খেলা। অথচ এমন একদিন ছিল যেদিন এক শ্রেণির লোকের পেশাই ছিল বানর খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের পাশে বিরামপুর পৌরসভার চাঁদপুরে দেখা হয় বানর খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা প্রায় ১২ টি পরিবারের সরদার পুটি মিয়ার সাথে। সরদার পুঁটি মিয়া যশোর কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রতিবছর রোজা ও কোরবানির ঈদে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বানর খেলা ও সাপ খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।তার সাথে তার পরিবার ও ছেলের স্ত্রী, সন্তানসহ গ্রামের ১০-১২ টি পরিবার জীবিকা নির্বাহের জন্য এসময়টা নিজ জন্মভূমি ছেড়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। পরবর্তী সময়ে তারা জন্ম স্থানে ফিরে এসে বসবাস করে ।এ অল্প সময়ে খেলা দেখিয়ে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে চলতে হয় সারাটি বছর।

সরদার পুঁটি মিয়া জানায়,যে সব বানর দিয়ে খেলা দেখানো হয় সে সব বানরের গলায় বাঁধা থাকে মোটা রশি। রশিতে টান দিয়ে বলে দেয়া হতো ‘এই খেলা দেখা’ বানরও মানুষের ভাষা বুঝে রপ্ত করা সেই খেলাই দেখাতো। মজমায় সমবেত লোকজন ২-৫ টাকা করে দিতো।এ ভাবেই দিন শেষে ২-৩শ’ টাকা রোজগার হয় যা দিয়ে অভাবের সংসার চালানো কষ্টকর।একসময় গ্রামগঞ্জে, পাড়ামহল্লায় বানরের খেলা দেখিয়ে ভালো উপার্জন হতো। প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ কেজির মতো চাল মিলত। পাশাপাশি নগদ টাকাও আয় করতেন। তা দিয়েই স্বাচ্ছন্দ্যেই জীবিকা নির্বাহ হতো পরিবারগুলোর।কিন্তু বর্তমানে বানরের খেলা আর জমছে না। সময়ের ব্যবধানে মানুষের মধ্যে বানরের খেলা দেখার আগ্রহ কমতে শুরু করে।তাই টান পড়েছে জীবিকায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিরামপুরে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বানর খেলা

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের বিরামপুরে এখন আর চোখে পড়েনা মজমা বসিয়ে আগের মত সেই বানর খেলা। অথচ এমন একদিন ছিল যেদিন এক শ্রেণির লোকের পেশাই ছিল বানর খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের পাশে বিরামপুর পৌরসভার চাঁদপুরে দেখা হয় বানর খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা প্রায় ১২ টি পরিবারের সরদার পুটি মিয়ার সাথে। সরদার পুঁটি মিয়া যশোর কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রতিবছর রোজা ও কোরবানির ঈদে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বানর খেলা ও সাপ খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।তার সাথে তার পরিবার ও ছেলের স্ত্রী, সন্তানসহ গ্রামের ১০-১২ টি পরিবার জীবিকা নির্বাহের জন্য এসময়টা নিজ জন্মভূমি ছেড়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। পরবর্তী সময়ে তারা জন্ম স্থানে ফিরে এসে বসবাস করে ।এ অল্প সময়ে খেলা দেখিয়ে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে চলতে হয় সারাটি বছর।

সরদার পুঁটি মিয়া জানায়,যে সব বানর দিয়ে খেলা দেখানো হয় সে সব বানরের গলায় বাঁধা থাকে মোটা রশি। রশিতে টান দিয়ে বলে দেয়া হতো ‘এই খেলা দেখা’ বানরও মানুষের ভাষা বুঝে রপ্ত করা সেই খেলাই দেখাতো। মজমায় সমবেত লোকজন ২-৫ টাকা করে দিতো।এ ভাবেই দিন শেষে ২-৩শ’ টাকা রোজগার হয় যা দিয়ে অভাবের সংসার চালানো কষ্টকর।একসময় গ্রামগঞ্জে, পাড়ামহল্লায় বানরের খেলা দেখিয়ে ভালো উপার্জন হতো। প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ কেজির মতো চাল মিলত। পাশাপাশি নগদ টাকাও আয় করতেন। তা দিয়েই স্বাচ্ছন্দ্যেই জীবিকা নির্বাহ হতো পরিবারগুলোর।কিন্তু বর্তমানে বানরের খেলা আর জমছে না। সময়ের ব্যবধানে মানুষের মধ্যে বানরের খেলা দেখার আগ্রহ কমতে শুরু করে।তাই টান পড়েছে জীবিকায়।