বিরামপুরে প্রয়োজনীয় পানির অভাব পাট নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় কৃষক

- আপডেট সময় : ০৫:৪২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
- / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বিরামপুরে সর্বত্রই এখন পাট কাটা ও জাগ দেওয়ার দৃশ্য চোখে পরে। তবে বর্ষার ভরপুর মৌসুম হওয়ায় প্রয়োজনমত বৃষ্টির পানি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা। প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী বর্ষার এ সময়টায় ছোট ছোট খাল-বিল, পুকুর, নদী- নালায় পানি থাকে ভরপুর। কিন্তু এ বছর পানি খুবই কম হওয়ায় কাঁচা পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরেছেন পাট চাষিরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট)বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর, জোতবানী, মুকুন্দপুর, কাটলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ পাট চাষি প্রয়োজনীয় পানির অভাবে ঠিকমত পাট জাঁক দিতে পারছেন না। আবার অনেকে ছোট খাটো খালবিল ও পুকুরে পানি ঢুকিয়ে পাট জাঁক দেওয়ার চেষ্টা করলেও পানি ২-১ দিনের বেশি থাকছে না, শুকিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থাতে কিছু পাট নষ্ট হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের টাটাকপুর গ্রামের কৃষক খোরশেদ আলম বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও পাট চাষ করেছি। পাট জমি থেকে কেটে রাস্তার ধারে স্তুপ করে রেখেছি। পাওয়ার ট্রলিতে করে সেগুলো জাগ দিতে বাড়ির পাশের একটি ডোবার নিয়ে যাচ্ছি। তবে প্রখর রোদে ডোবাগুলোতে সামান্য পানি থাকলেও জাগ দেওয়ার মত না, সে কারনে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কাঁচা পাট প্রক্রিয়ার জন্য ডুবিয়ে রাখতে হয় ১২-১৫ দিন বা তার থেকে কয়েকদিন বেশি। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির পানি প্রয়োজনমত না হওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পরেছি। মুকুন্দপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পাটচাষি সুকান্ত চন্দ্র রায় বলেন প্রয়োজনীয় পানির অভাবে পাটের রং নষ্ট হচ্ছে এবং পাটও নষ্ট হচ্ছে এতে লোকশানের আশংকায় রয়েছি।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন এ বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২শত ৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনও ভাল হয়েছে। তবে কিছু উঁচু এলাকায় পানি কমে যাওয়ায় পাট চাষিরা কিছুটা সমস্যায় পরছেন। আশা করি পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে চাষিদের পাট পঁচানোর কাজটি সহজ হবে এবং তাদের সমস্যার সমাধান হবে। এছাড়াও কৃষকেরা তাদের বাড়ির আশপাশের ছোট ডোবা, খাল-বিলে বৃষ্টি বা অন্যান্য উপায়ে পানি সংরক্ষণ করে পাট জাগ দিলে উপকৃত হবে। এ বছরও চাষীরা পাটের ভাল দাম পাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।