বিরামপুরে বিদ্যালয়ে যাওয়ার ২৫০ মিটার রাস্তা হয়নি ৩৪ বছরেও

- আপডেট সময় : ১১:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

ইব্রাহীম মিঞা,বিরামপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বিরামপুরে প্রায় তিন যুগেও হয়নি বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা। বর্ষা মৌসুমে কাঁদা পানি মারিয়ে আছার খেতে খেতে আর শুষ্ক মৌসুমে জমির আইল ধরে পৌঁছাতে হয় বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী বছরের পর বছর এত কষ্ট করে পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করলেও কর্তৃপক্ষ ২৫০ মিটার রাস্তা করে দিতে পারেননি গত ৩৪ বছরেও! এ অবস্থা দিনাজপুর জেলার বিরামপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের দোশরা পলাশবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। অবশ্য ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনসুর রহমান চৌধুরী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, বিরামপুর পৌরসভা ও গ্রামবাসীর কাছে ২৫০ মিটার রাস্তার জন্য আবেদন নিবেদন করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং ডিজিটাল যুগেও দোশরা পলাশবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রাস্তা ছাড়াই জমির আইল দিয়েই যেতে হচ্ছে বিদ্যালয়ে।
জানা যায়, ১৯৮৯ সালে ৩৩ শতক জমি নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয় করণ করা হয়। এর আগে ২০০৩ সালে এলজিইডির বাস্তবায়নে ৫ শতক জায়গার উপর একটি পাকা ভবন নির্মান হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে এলজিইডির বাস্তবায়নে নতুন দ্বীতল বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়।বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৮৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছ এবং ৬ জন শিক্ষক তাদের পাঠদান করাচ্ছেন।
বিরামপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের আঞ্চলিক সড়ক থেকে দোশরা পলাশবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাওয়ার ২৫০ মিটার রাস্তা নির্মান করা হয়নি, ফলে বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃৃষ্টিতে জমির মধ্যে পানি জমে থাকায় কোমলমতি ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা পড়ছে চরম বিপাকে। কখনো কখনো পড়ে ভিজে যায় শিক্ষার্থীদের পোশাক ও বই-খাতা। অনেকে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে এলেও পুরো বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকে এমনটাই জানান, দোশরা পলাশবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনসুর রহমান চৌধুরী। কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকি না থাকায় দীর্ঘদিনেও স্কুলটিতে যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভরসা পায় না অনেক অভিভাবক। স্কুলে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীরা অন্য স্কুলে চলে যাচ্ছে আবার কেউ বা স্কুলই ছেড়ে দিচ্ছে। ঝুঁঁকি নিয়ে অভিভাবকরাও তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চায় না।দ্রুত রাস্তা নির্মাণ করা না হলে বাকি শিক্ষার্থীদের ধরে রাখা সম্ভব হবে না।
এ প্রসঙ্গে বিরামপুর পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলীর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের যাতায়াতের রাস্তা ছিল না, আমি আইলের ধারে মাটি ফেলে যাতায়াত ব্যবস্থা প্রসস্ত করে দিয়েছি।আঞ্চলিক সড়কের কাজ চলমান এই কাজের সাথে বিদ্যালয়ের রাস্তাটির কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।