ঢাকা ০১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিরামপুরে শালিসি বৈঠকে নিহত-১ আহত-৭

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:০২:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩২৫ বার পড়া হয়েছে

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের বিরামপুরে খাঁনপুর ইউনিয়নে গ্রাম্য শালিসি বৈঠকে ১ জন নিহত ও ৭ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক রাত ১০ ঘটিকার সময় বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের খোশালপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বে পাশের বাড়ির মহিলার সাথে হাতাহাতির ঘটনার বিষয়ে গ্রাম্য শালিসি বৈঠকে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযোদ্ধা ফরমান হোসেনের ছেলে ও ছেলের বৌয়ের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব। এবিষয়ে শুক্রবার সকালে মুক্তিযোদ্ধার ছেলের বৌয়ের সাথে পাশের বাড়ির মহিলার কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হলে মুক্তিযোদ্ধার এক ছেলে ঐ পাশের বাড়ির মহিলার গায়ে হাত তুলে। পরবর্তীতে গ্রাম্য শালিসি বৈঠকে ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আশরাফুল ইসলামের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষ একত্রিত হয়। শালিসি বৈঠকে উত্তেজিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানেরা ধারালো চাকু ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পাশের বাড়ির মহিলার ভাই ওয়াসিমের বুকে আঘাত করে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আঘাত প্রাপ্ত অবস্থায় ওয়াসিমকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ওয়াসিম(৪০) খাঁনপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মোঃ ওয়াজেদ আলীর ছেলে। এঘটনায় ওয়াসিমের চাচা দৌলাতের ২ ছেলে দবিরুল (৩৫) ও দেলোয়ার (৩০) গুরুতর আহত হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।মুক্তিযোদ্ধা ফরমান হোসেনের ছেলেরা উক্ত হাতাহাতির ঘটনায় আহত হলে অ্যাম্বুলেন্স চিকিৎসার জন্য বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে খাঁনপুর বাজারে গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি ভাংচুর করে তাদের বিরামপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
উক্ত বিষয়ে পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করে।গ্রামবাসীকে নিয়ন্ত্রনে আনতে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার সার্কেল এএসপি মন্জু্রুল ইসলাম সহ পার্শ্ববর্তী থানা নবাবগঞ্জ,ফুলবাড়ী ও বিজিবি বিশেষ ক্যাম্পে খবর দেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এএসপি মন্জু্রুল ইসলাম,নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাওহীদ ,ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ফোর্স ও বিরামপুর বিজিবি বিশেষ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন, এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
উক্ত ঘটনা স্থলে খাঁনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চিত্ত রঞ্জন পাহান উপস্থিত হয়ে ঘটনা পর্যবেক্ষন করেন এবং নিহত ও আহতদের চিকিৎসার খবর নেয়ার জন্য বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে নিহত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।এ খবর লেখা পর্যন্ত লাশ হস্তান্তর ও মামলার বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিরামপুরে শালিসি বৈঠকে নিহত-১ আহত-৭

আপডেট সময় : ০৮:০২:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের বিরামপুরে খাঁনপুর ইউনিয়নে গ্রাম্য শালিসি বৈঠকে ১ জন নিহত ও ৭ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক রাত ১০ ঘটিকার সময় বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের খোশালপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বে পাশের বাড়ির মহিলার সাথে হাতাহাতির ঘটনার বিষয়ে গ্রাম্য শালিসি বৈঠকে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযোদ্ধা ফরমান হোসেনের ছেলে ও ছেলের বৌয়ের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব। এবিষয়ে শুক্রবার সকালে মুক্তিযোদ্ধার ছেলের বৌয়ের সাথে পাশের বাড়ির মহিলার কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হলে মুক্তিযোদ্ধার এক ছেলে ঐ পাশের বাড়ির মহিলার গায়ে হাত তুলে। পরবর্তীতে গ্রাম্য শালিসি বৈঠকে ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আশরাফুল ইসলামের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষ একত্রিত হয়। শালিসি বৈঠকে উত্তেজিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানেরা ধারালো চাকু ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পাশের বাড়ির মহিলার ভাই ওয়াসিমের বুকে আঘাত করে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আঘাত প্রাপ্ত অবস্থায় ওয়াসিমকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ওয়াসিম(৪০) খাঁনপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মোঃ ওয়াজেদ আলীর ছেলে। এঘটনায় ওয়াসিমের চাচা দৌলাতের ২ ছেলে দবিরুল (৩৫) ও দেলোয়ার (৩০) গুরুতর আহত হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।মুক্তিযোদ্ধা ফরমান হোসেনের ছেলেরা উক্ত হাতাহাতির ঘটনায় আহত হলে অ্যাম্বুলেন্স চিকিৎসার জন্য বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে খাঁনপুর বাজারে গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি ভাংচুর করে তাদের বিরামপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
উক্ত বিষয়ে পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করে।গ্রামবাসীকে নিয়ন্ত্রনে আনতে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার সার্কেল এএসপি মন্জু্রুল ইসলাম সহ পার্শ্ববর্তী থানা নবাবগঞ্জ,ফুলবাড়ী ও বিজিবি বিশেষ ক্যাম্পে খবর দেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এএসপি মন্জু্রুল ইসলাম,নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাওহীদ ,ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ফোর্স ও বিরামপুর বিজিবি বিশেষ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন, এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
উক্ত ঘটনা স্থলে খাঁনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চিত্ত রঞ্জন পাহান উপস্থিত হয়ে ঘটনা পর্যবেক্ষন করেন এবং নিহত ও আহতদের চিকিৎসার খবর নেয়ার জন্য বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে নিহত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।এ খবর লেখা পর্যন্ত লাশ হস্তান্তর ও মামলার বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।