ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিরামপুর আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে

ইব্রাহীম মিঞা,বিরামপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের বিরামপুর আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিরামপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ইসলামপাড়া ঐতিহ্যবাহী আনসার মাঠে আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় বিরামপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বাঁশের খুঁটি দিয়ে ফিক্সড করে জাতীয় পতাকাটি ২ -৩ দিন ধরে একই অবস্থায় রাখা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় বিরামপুর দিনাজপুরে কর্মকর্তাগণের তালিকায় বিরামপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার ছবি এবং নাম নেই শুধু মোবাইল নাম্বার রয়েছে যা অব্যাবহৃত। সকাল ১০ ঘটিকায় বিরামপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে কর্মকর্তা তাহেরা সুলতানার অফিস কক্ষের দরজার উপরে উক্ত অব্যাবহৃত নাম্বারটি দেওয়া রয়েছে। এবিষয়ে বিরামপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপির ট্রেনিং ইন্সপেক্টর মাহবুবুর সরদারের নিকট হতে কর্মকর্তার ব্যাক্তিগত মোবাইল নাম্বার নিয়ে কল করলে নাম্বারটি বন্ধ দেখায়। জানাযায়, বিরামপুর উপজেলার ৪২ টি পূজা মন্ডপে ২৯২ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য পাহাড়ার দায়িত্বে রয়েছেন,কোন মন্ডপে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আনসার ও ভিডিপি সদস্যগন কার সাথে যোগাযোগ করবে যেখানে কর্মকর্তার অফিসিয়াল ও ব্যাক্তিগত নাম্বার বন্ধ এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব সরদার বলেন কেন মোবাইল ফোন বন্ধ বুঝতে পারছি না।
জাতীয় পতাকা ২-৩ দিন একই অবস্থায় উত্তোলন করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে টিআই মাহবুবুর সরদার বলেন আমাদের পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড লিডার শাকিল আহমেদ এ বিষয়ে দেখা শোনা করেন। পূজা মন্ডপে ডিউটিতে থাকায় আমাকে বললে একদিন সন্ধ্যায় আমি জাতীয় পতাকাটি নামিয়ে রাখি। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় পতাকাটি উত্তোলন থাকার বিষয়টি আমি লক্ষ করিনি এবং জাতীয় পতাকা নামিয়ে রাখার বিষয়ে আমাকে কিছু বলা হয়নি। আপনাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি পতাকাটি নামিয়ে রাখি।
জাতীয় পতাকা বাঁশের খুঁটির সাথে ফিক্সড করে বেঁধে উত্তোলন করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এভাবে রাখা যাবেনা,এটা ঠিক নয়।

জাতীয় পতাকা অবমাননার বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনীম আওন এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন তাদের নিয়ম কানুন তারা ভালো বলতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিরামপুর আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননা

আপডেট সময় : ০৫:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

ইব্রাহীম মিঞা,বিরামপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের বিরামপুর আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিরামপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ইসলামপাড়া ঐতিহ্যবাহী আনসার মাঠে আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় বিরামপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বাঁশের খুঁটি দিয়ে ফিক্সড করে জাতীয় পতাকাটি ২ -৩ দিন ধরে একই অবস্থায় রাখা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় বিরামপুর দিনাজপুরে কর্মকর্তাগণের তালিকায় বিরামপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার ছবি এবং নাম নেই শুধু মোবাইল নাম্বার রয়েছে যা অব্যাবহৃত। সকাল ১০ ঘটিকায় বিরামপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে কর্মকর্তা তাহেরা সুলতানার অফিস কক্ষের দরজার উপরে উক্ত অব্যাবহৃত নাম্বারটি দেওয়া রয়েছে। এবিষয়ে বিরামপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপির ট্রেনিং ইন্সপেক্টর মাহবুবুর সরদারের নিকট হতে কর্মকর্তার ব্যাক্তিগত মোবাইল নাম্বার নিয়ে কল করলে নাম্বারটি বন্ধ দেখায়। জানাযায়, বিরামপুর উপজেলার ৪২ টি পূজা মন্ডপে ২৯২ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য পাহাড়ার দায়িত্বে রয়েছেন,কোন মন্ডপে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আনসার ও ভিডিপি সদস্যগন কার সাথে যোগাযোগ করবে যেখানে কর্মকর্তার অফিসিয়াল ও ব্যাক্তিগত নাম্বার বন্ধ এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব সরদার বলেন কেন মোবাইল ফোন বন্ধ বুঝতে পারছি না।
জাতীয় পতাকা ২-৩ দিন একই অবস্থায় উত্তোলন করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে টিআই মাহবুবুর সরদার বলেন আমাদের পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড লিডার শাকিল আহমেদ এ বিষয়ে দেখা শোনা করেন। পূজা মন্ডপে ডিউটিতে থাকায় আমাকে বললে একদিন সন্ধ্যায় আমি জাতীয় পতাকাটি নামিয়ে রাখি। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় পতাকাটি উত্তোলন থাকার বিষয়টি আমি লক্ষ করিনি এবং জাতীয় পতাকা নামিয়ে রাখার বিষয়ে আমাকে কিছু বলা হয়নি। আপনাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি পতাকাটি নামিয়ে রাখি।
জাতীয় পতাকা বাঁশের খুঁটির সাথে ফিক্সড করে বেঁধে উত্তোলন করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এভাবে রাখা যাবেনা,এটা ঠিক নয়।

জাতীয় পতাকা অবমাননার বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনীম আওন এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন তাদের নিয়ম কানুন তারা ভালো বলতে পারবেন।