ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিরামপুর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৬৯ বার পড়া হয়েছে

বিরামপুর,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর (মামুদপুর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছারিতার অভিযোগ এনেছে স্থানীয়রা।

গত সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে বেশ কিছু গনমাধ্যমকর্মী সরেজমিনে উক্ত বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা পাশের বিরামপুর অটিষ্টিক এন্ড প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের হোয়াইট বোর্ডে একজন শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে কিছু বিষয় বুঝাচ্ছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে বিরামপুর অটিষ্টিক এন্ড প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং আমার ছোট ভাই প্রধান শিক্ষক। অথচ ছোট ভাই তোশারফ ইটালী প্রবাসী সে ২-৩ মাসের জন্য দেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন মিন্টু রহমান।গোলাম মোস্তফার ছোট ভাই প্রধান শিক্ষক কিন্তু সে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান সে দিনাজপুরে গিয়েছে পরে জানাযায় সে বিদ্যালয়ের পাশেই নিজ বাড়িতে রয়েছেন।
বিরামপুর মোহাম্মদপুর ( মামুদপুর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০৯ সালে স্থাপিত হয় পরবর্তীতে ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। আঃ মালেক পিতা নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা একি সাথে দুটি বিদ্যালয়ের দেখাশোনা করেন এ কারনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের ভেতর দিয়ে আলাদা দরজা বানিয়েছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার স্ত্রী একি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হওয়াই বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে প্রায় বাসায় থাকেন বলে স্থানীয়রা জানান। বিদ্যালয়ের টয়লেট অপরিষ্কার করে রাখার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ প্বার্শের অটিষ্টিক এন্ড প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের টয়লেট ব্যবহার করেন আর শিক্ষার্থীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিদ্যালয়ের টয়লেটটিই ব্যবহার করে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা মোহাম্মদপুর (মামুদপুর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেঞ্চগুলো অটিষ্টিক এন্ড প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে রেখেছেন যার কারণে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা মেঝেতে বসে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। মোহাম্মদপুর (মামুদপুর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার স্বেচ্ছারিতায় অতিষ্ঠ ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকগন। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকগন জানান যে গত ২০২৩ সালের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে পরীক্ষার ফি গ্রহণ করা নিষেধ থাকলেও তিনি গ্রহণ করেন এবিষয়ে বিরামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পরবর্তীতে অনেক শিক্ষার্থীকে টাকা ফেরত দেন। প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মনিটরিং বোর্ড রাখার নিয়ম থাকলেও তিনি রাখেননি। এব্যাপারে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আল সিরাজ প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে মুঠোফোনে কথা বলায় প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের সাইজ করবেন বলে হুমকি প্রদান করেন। সাংবাদিকগন প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার এরকম আচরণের ব্যাপারে বিরামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিনারা বেগমকে বললে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের এরকম স্বেচ্ছাচারিতা এবং একি বিদ্যালয়ে স্বামী স্ত্রী দুজনে চাকরি করার ব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ দিলে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকার সচেতন মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিরামপুর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

বিরামপুর,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর (মামুদপুর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছারিতার অভিযোগ এনেছে স্থানীয়রা।

গত সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে বেশ কিছু গনমাধ্যমকর্মী সরেজমিনে উক্ত বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা পাশের বিরামপুর অটিষ্টিক এন্ড প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের হোয়াইট বোর্ডে একজন শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে কিছু বিষয় বুঝাচ্ছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে বিরামপুর অটিষ্টিক এন্ড প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং আমার ছোট ভাই প্রধান শিক্ষক। অথচ ছোট ভাই তোশারফ ইটালী প্রবাসী সে ২-৩ মাসের জন্য দেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন মিন্টু রহমান।গোলাম মোস্তফার ছোট ভাই প্রধান শিক্ষক কিন্তু সে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান সে দিনাজপুরে গিয়েছে পরে জানাযায় সে বিদ্যালয়ের পাশেই নিজ বাড়িতে রয়েছেন।
বিরামপুর মোহাম্মদপুর ( মামুদপুর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০৯ সালে স্থাপিত হয় পরবর্তীতে ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। আঃ মালেক পিতা নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা একি সাথে দুটি বিদ্যালয়ের দেখাশোনা করেন এ কারনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের ভেতর দিয়ে আলাদা দরজা বানিয়েছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার স্ত্রী একি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হওয়াই বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে প্রায় বাসায় থাকেন বলে স্থানীয়রা জানান। বিদ্যালয়ের টয়লেট অপরিষ্কার করে রাখার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ প্বার্শের অটিষ্টিক এন্ড প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের টয়লেট ব্যবহার করেন আর শিক্ষার্থীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিদ্যালয়ের টয়লেটটিই ব্যবহার করে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা মোহাম্মদপুর (মামুদপুর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেঞ্চগুলো অটিষ্টিক এন্ড প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে রেখেছেন যার কারণে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা মেঝেতে বসে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। মোহাম্মদপুর (মামুদপুর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার স্বেচ্ছারিতায় অতিষ্ঠ ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকগন। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকগন জানান যে গত ২০২৩ সালের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে পরীক্ষার ফি গ্রহণ করা নিষেধ থাকলেও তিনি গ্রহণ করেন এবিষয়ে বিরামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পরবর্তীতে অনেক শিক্ষার্থীকে টাকা ফেরত দেন। প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মনিটরিং বোর্ড রাখার নিয়ম থাকলেও তিনি রাখেননি। এব্যাপারে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আল সিরাজ প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে মুঠোফোনে কথা বলায় প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের সাইজ করবেন বলে হুমকি প্রদান করেন। সাংবাদিকগন প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার এরকম আচরণের ব্যাপারে বিরামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিনারা বেগমকে বললে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের এরকম স্বেচ্ছাচারিতা এবং একি বিদ্যালয়ে স্বামী স্ত্রী দুজনে চাকরি করার ব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ দিলে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকার সচেতন মহল।