বিরামপুর সরকারি কলেজ লাইব্রেরীর ৪ হাজার বই চুরি

- আপডেট সময় : ১০:০৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
- / ৩২৮ বার পড়া হয়েছে

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বিরামপুর সরকারি কলেজ লাইব্রেরী থেকে প্রায় ৪ হাজার বই চুরির ঘটনা ঘটেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে বিরামপুর সরকারি কলেজের বই চুরির ঘটনাটি জানতে পারেন কলেজ বন্ধের আগে ক্রীড়া শিক্ষক ও লাইব্রেরির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রবিউল ইসলাম। বই চুরির বিষয়টি বিরামপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অদ্বৈত্য কুমারকে জানালে, সঙ্গে সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কয়েকজন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে লাইব্রেরীতে যান।তিনি গিয়ে দেখেন, কক্ষের ভেতরের বইয়ের তাকগুলো প্রায় ফাঁকা।লাইব্রেরীতে বই না থাকার বিষয়ে কলেজের পিয়ন শহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করলে সে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে পাঠাগার থেকে বই চুরি করার কথা স্বীকার করেন। বই চুরি করে স্থানীয় বাজারের ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে সে জানায়। পৌর শহরের ভাঙারি দোকানদার মিন্টু মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তিন-চার মাস আগে শহিদুল ইসলাম তাঁর দোকানে এক ব্যাগ পুরোনো বই বিক্রি করেছেন।
বিরামপুর সরকারি কলেজের শহিদুল ইসলামের বিরামপুর সরকারি কলেজে চাকরির বয়স প্রায় ২৯ বছর।সে নবাবগঞ্জ উপজেলার শখুনখোলা গ্রামে বাস করেন। সেখান থেকে সে বিরামপুর সরকারি কলেজে আসা-যাওয়া করেন।তার বাবাকে সকলে লোকাল ডিসি নামে চিনেন।তার বাবা বিরামপুর রেল স্টেশনে কলেজের রশিদ বয়ের মাধ্যমে বিরামপুর কলেজ লাইব্রেরীর জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতেন ।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালে কলেজে ডিগ্রি পাস এবং ১৯৮৫ সালে পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রি পাস কোর্স চালু হয়। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে বাংলা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু হয়। ২০১৮ সালে ৮ আগস্ট কলেজটি জাতীয়করণ হয়। কলেজটি অনেক পুরোনো হওয়ায় পাঠাগারে অনেক দুষ্প্রাপ্য বই ছিল।
এবিষয়ে বিরামপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অদ্বৈত্য কুমারের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, পিয়ন শহিদুল ইসলামকে বই চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি কতগুলো বই চুরি করেছেন, সেটি বলেননি। রেজিস্টার অনুযায়ী ৪ হাজার বই চুরি হয়েছে। এবিষয়ে ৭ দিনের সময় দিয়ে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।