ঢাকা ০৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন পরিতোষ কুমার বৈদ্য পাঁচবিবিতে পোস্ট অফিস সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা,জনদুর্ভোগ চরমে হরিপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ পাঁচবিবিতে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো মধুপুরের আনারস জলবায়ু পদক্ষেপে বৈশ্বিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন চান ড. ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন হতে পারে আগামী সপ্তাহে: তথ্য উপদেষ্টা পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ লোক দেখানো কাজ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়: হাসান আরিফ পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইল বাংলাদেশ

ভারী অস্ত্র নিয়ে জাহাজের দায়িত্বে নতুন দস্যুদল

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৩১ বার পড়া হয়েছে

ভারী অস্ত্র নিয়ে সোমালিয়ান জলদস্যুদের আরেকটি দল বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র দায়িত্ব নিয়েছে। নতুন দলটির হাতে জাহাজটি বুঝিয়ে দিয়ে আগের দলটি জাহাজ ছেড়ে গেছে। সোমালিয়ান সময় দুপুর ১টার দিকে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গণমাধ্যমকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জিম্মি নাবিক এই তথ্য জানান।

তিনি জানান, জাহাজটি এই মুহূর্তে সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে নোঙর করা আছে। নোঙর করার পর ১৯ জনের একটি নতুন দল জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়। অন্যদিকে জাহাজ হাইজ্যাকে নেতৃত্ব দেওয়া ৫০ জনের বেশি সংখ্যার দলটি জাহাজ ছেড়ে যায়।

জিম্মি নাবিক বলেন, এখন যেসব দস্যুদল জাহাজটির দায়িত্ব নিয়েছে ওদের সবার হাতে ভারী অস্ত্র রয়েছে। তবে তারা নাবিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। রাতে সেহেরি দিয়েছিল, আশা করা যাচ্ছে ইফতারও দেবে।

বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকরা আশা করছেন, এই পর্যায়ে দস্যুরা হয়তো জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তাই দেশের গণমাধ্যমকে কোনো অতি উৎসাহী নিউজ না করার অনুরোধ জানান এই নাবিক।

এদিকে উদ্ধার করতে আসা জাহাজটি বুধবার বিকেল থেকে বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করছিল। ধারণা করা হচ্ছে, আরব আমিরাত বা অন্য কোনো আরব দেশের হবে এটি। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের উদ্ধারে ওই জাহাজটি অভিযান চালায়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। তবে দস্যুরা জিম্মিদের হত্যার হুমকি দিলে উদ্ধারকারী জাহাজটি পিছিয়ে যায়।

এর আগে, ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ভারী অস্ত্র নিয়ে জাহাজের দায়িত্বে নতুন দস্যুদল

আপডেট সময় : ০৬:৩০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

ভারী অস্ত্র নিয়ে সোমালিয়ান জলদস্যুদের আরেকটি দল বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র দায়িত্ব নিয়েছে। নতুন দলটির হাতে জাহাজটি বুঝিয়ে দিয়ে আগের দলটি জাহাজ ছেড়ে গেছে। সোমালিয়ান সময় দুপুর ১টার দিকে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গণমাধ্যমকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জিম্মি নাবিক এই তথ্য জানান।

তিনি জানান, জাহাজটি এই মুহূর্তে সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে নোঙর করা আছে। নোঙর করার পর ১৯ জনের একটি নতুন দল জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়। অন্যদিকে জাহাজ হাইজ্যাকে নেতৃত্ব দেওয়া ৫০ জনের বেশি সংখ্যার দলটি জাহাজ ছেড়ে যায়।

জিম্মি নাবিক বলেন, এখন যেসব দস্যুদল জাহাজটির দায়িত্ব নিয়েছে ওদের সবার হাতে ভারী অস্ত্র রয়েছে। তবে তারা নাবিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। রাতে সেহেরি দিয়েছিল, আশা করা যাচ্ছে ইফতারও দেবে।

বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকরা আশা করছেন, এই পর্যায়ে দস্যুরা হয়তো জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তাই দেশের গণমাধ্যমকে কোনো অতি উৎসাহী নিউজ না করার অনুরোধ জানান এই নাবিক।

এদিকে উদ্ধার করতে আসা জাহাজটি বুধবার বিকেল থেকে বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করছিল। ধারণা করা হচ্ছে, আরব আমিরাত বা অন্য কোনো আরব দেশের হবে এটি। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের উদ্ধারে ওই জাহাজটি অভিযান চালায়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। তবে দস্যুরা জিম্মিদের হত্যার হুমকি দিলে উদ্ধারকারী জাহাজটি পিছিয়ে যায়।

এর আগে, ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।