ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মেহেন্দিগঞ্জে কাঁচামরিচের বাজারে আগুন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩
  • / ৩৯১ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ মশিউর রহমান সুমন, মেহেন্দিগঞ্জ, (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ

টানা বর্ষনে নষ্ট হওয়া ও ঈদের ছুটিতে সরবরাহ বন্ধের কারনে ৫০০টাকার কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০০টাকা বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে।

চাহিদার চেয়ে মরিচের যোগান কম থাকায় অতি মুনাফা লোভীরা এই দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি বাজারে মরিচ না থাকার কারনে বেশি দামে কিনে কম লাভে বিক্রি করছেন।

রবিবার (২জুলাই) মেহেন্দিগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সবজির বাজারে চলমান আগুনে উত্তাপ বাড়িয়েছে কাঁচামরিচ। শনিবার যে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০০টাকা সেই মরিচ একদিন পরেই বিক্রি হচ্ছে ৭০০টাকা।

ক্রেতাদের দাবি ১৫দিন আগেও এই মরিচের কেজি ছিলো ৫০টাকা।
বর্তমানে ঈদ চলমান হওয়ায় অন্যান্য পন্যের সাথে মরিচের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির কারনে পঁচে যাওয়ার কারনে মরিচের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মোতাহার হোসেন জানান, বেতন পাই ৯ হাজার টাকা আর কাঁচামরিচের কেজি ৭০০টাকা। দাম শুনে কাঁচামরিচ না কিনে শুকনা মরিচ নিয়ে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।অন্যান্য সবজির দামও ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।

পাতারহাট বন্দরের ব্যবসায়ী হানিফ বেপারী বলেন, বেশি দামে ক্রয় করে কম লাভে বিক্রি করতে হচ্ছে কাঁচামরিচ। তিনি বলেন বৃষ্টির কারনে ও ঈদের ছুটিতে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে এই কারনে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, বৃষ্টিতে কাঁচামরিচ পঁচে গিয়েছে। এছাড়া বন্ধের কারনে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সবজি আসছে না। আমাদের নিয়মিত কর্মসুচীর আওতায় বাজার মনিটরিং চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মেহেন্দিগঞ্জে কাঁচামরিচের বাজারে আগুন

আপডেট সময় : ০৬:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩

 

মোঃ মশিউর রহমান সুমন, মেহেন্দিগঞ্জ, (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ

টানা বর্ষনে নষ্ট হওয়া ও ঈদের ছুটিতে সরবরাহ বন্ধের কারনে ৫০০টাকার কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০০টাকা বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে।

চাহিদার চেয়ে মরিচের যোগান কম থাকায় অতি মুনাফা লোভীরা এই দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি বাজারে মরিচ না থাকার কারনে বেশি দামে কিনে কম লাভে বিক্রি করছেন।

রবিবার (২জুলাই) মেহেন্দিগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সবজির বাজারে চলমান আগুনে উত্তাপ বাড়িয়েছে কাঁচামরিচ। শনিবার যে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০০টাকা সেই মরিচ একদিন পরেই বিক্রি হচ্ছে ৭০০টাকা।

ক্রেতাদের দাবি ১৫দিন আগেও এই মরিচের কেজি ছিলো ৫০টাকা।
বর্তমানে ঈদ চলমান হওয়ায় অন্যান্য পন্যের সাথে মরিচের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির কারনে পঁচে যাওয়ার কারনে মরিচের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মোতাহার হোসেন জানান, বেতন পাই ৯ হাজার টাকা আর কাঁচামরিচের কেজি ৭০০টাকা। দাম শুনে কাঁচামরিচ না কিনে শুকনা মরিচ নিয়ে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।অন্যান্য সবজির দামও ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।

পাতারহাট বন্দরের ব্যবসায়ী হানিফ বেপারী বলেন, বেশি দামে ক্রয় করে কম লাভে বিক্রি করতে হচ্ছে কাঁচামরিচ। তিনি বলেন বৃষ্টির কারনে ও ঈদের ছুটিতে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে এই কারনে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, বৃষ্টিতে কাঁচামরিচ পঁচে গিয়েছে। এছাড়া বন্ধের কারনে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সবজি আসছে না। আমাদের নিয়মিত কর্মসুচীর আওতায় বাজার মনিটরিং চলছে।