ঢাকা ০২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মোবাইলে প্রেম, পালিয়ে এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩২৮ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

মোবাইলে পরিচয় দুজনের। একবছর ধরে চলে কথোপকথন। একপর্যায়ে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। সবশেষ প্রেমের টানে দুই সন্তানের জননী চলে আসেন প্রেমিকের বাড়িতে। এসে দেখেন তার প্রেমিক দৃষ্টিহীন। এমনই ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামে তাদের বিয়ে হয়। প্রেমিক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মো. রাসেল (২৭) হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামের আর প্রেমিকা রেবা আক্তার সুমি (২২) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বাসিন্দা।

রাসেলের বড় ভাই জামসেদ জানান, সুমির সঙ্গে রাসেলের মোবাইলে প্রেম অনেক দিন থেকে। এই বিষয়ে তারা আগে কিছুই জানতেন না। শনিবার (২৬ আগস্ট) হঠাৎ সুমি তাদের বাড়ি চলে আসে। রাসেল দৃষ্টিহীন তার সংসার চালানোর মতো সক্ষমতা নেই। এসব বিষয়ে সুমিকে বলার পরও সে রাসেলকে বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্তে অটল থাকে। পরে দুজনকে নিয়ে আসা হয় হাতিয়া থানায়। থানা থেকে সুমির গ্রামের বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু সুমির বাবা-মা কেউ সাড়া দেননি। সবশেষ বৃহস্পতিবার দুজনের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

সুমি জানান, রাসেলের এক বন্ধুর মাধ্যমে মোবাইলে পরিচয় দুজনের। এরপর থেকে দুজনের মধ্যে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়। তার দুই সন্তান রয়েছে। সুমির সঙ্গে তার আগের স্বামীর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয় দুই বছর আগে। এসব জেনেও রাসেল তাকে বিয়ে করবে বলে সম্মতি জানান।

সুমি আরও জানান, রাসেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এটা সে আগে জানতেন না। রাসেল তাকে চোখে সমস্যা আছে বলেছে, কিন্তু একেবারে দৃষ্টিহীন এটা বলেনি। এখন যেহেতু চলে এসেছেন তাই ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

এ ব্যাপারে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, বিষয়টি রাসেলের ভাই থানায় জানিয়েছে। সুমির দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী তার অভিবাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারা কেউ আসেননি। যেহেতু তারা দুজন প্রাপ্তবয়স্ক, তাই নিজেদের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনগত অধিকার তাদের রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মোবাইলে প্রেম, পালিয়ে এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

মোবাইলে পরিচয় দুজনের। একবছর ধরে চলে কথোপকথন। একপর্যায়ে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। সবশেষ প্রেমের টানে দুই সন্তানের জননী চলে আসেন প্রেমিকের বাড়িতে। এসে দেখেন তার প্রেমিক দৃষ্টিহীন। এমনই ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামে তাদের বিয়ে হয়। প্রেমিক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মো. রাসেল (২৭) হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামের আর প্রেমিকা রেবা আক্তার সুমি (২২) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বাসিন্দা।

রাসেলের বড় ভাই জামসেদ জানান, সুমির সঙ্গে রাসেলের মোবাইলে প্রেম অনেক দিন থেকে। এই বিষয়ে তারা আগে কিছুই জানতেন না। শনিবার (২৬ আগস্ট) হঠাৎ সুমি তাদের বাড়ি চলে আসে। রাসেল দৃষ্টিহীন তার সংসার চালানোর মতো সক্ষমতা নেই। এসব বিষয়ে সুমিকে বলার পরও সে রাসেলকে বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্তে অটল থাকে। পরে দুজনকে নিয়ে আসা হয় হাতিয়া থানায়। থানা থেকে সুমির গ্রামের বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু সুমির বাবা-মা কেউ সাড়া দেননি। সবশেষ বৃহস্পতিবার দুজনের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

সুমি জানান, রাসেলের এক বন্ধুর মাধ্যমে মোবাইলে পরিচয় দুজনের। এরপর থেকে দুজনের মধ্যে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়। তার দুই সন্তান রয়েছে। সুমির সঙ্গে তার আগের স্বামীর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয় দুই বছর আগে। এসব জেনেও রাসেল তাকে বিয়ে করবে বলে সম্মতি জানান।

সুমি আরও জানান, রাসেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এটা সে আগে জানতেন না। রাসেল তাকে চোখে সমস্যা আছে বলেছে, কিন্তু একেবারে দৃষ্টিহীন এটা বলেনি। এখন যেহেতু চলে এসেছেন তাই ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

এ ব্যাপারে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, বিষয়টি রাসেলের ভাই থানায় জানিয়েছে। সুমির দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী তার অভিবাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারা কেউ আসেননি। যেহেতু তারা দুজন প্রাপ্তবয়স্ক, তাই নিজেদের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনগত অধিকার তাদের রয়েছে।