লঞ্চ রুটে জিম্মি কর্মস্থলমুখী যাত্রীরা
- আপডেট সময় : ১১:৫৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩
- / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
বরিশাল প্রতিনিধিঃ
গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উৎসব শেষ করে এবার কর্মস্থলে ফেরার যুদ্ধে নেমেছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।ঢাকা-বরিশাল রুটে গত কয়েকদিন ধরে যাত্রী চাপ কয়েকগুন বেড়েছে। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে নদীপথে যাত্রী চাপ একটু কমলেও এই ঈদ পার্বনে তা কয়েকগুন বেড়ে যায়।
এই সুযোগে ঢাকা-বরিশালের লঞ্চগুলো যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে।সুযোগ পেয়ে তারা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ২৫গুন ভাড়া বেশি নিয়ে থাকে।তবে তাদের দাবি তারা সরকারি রেটের চেয়ে কম ভাড়া নিচ্ছেন। এছাড়া ঢাকা থেকে তাদের যাত্রীশূন্য হয়ে ফেরত আসতে হয়।তাই সাধারণ সময়ের চেয়ে একটু বেশি ভাড়া নিচ্ছেন।তবে বিআইডব্লিউটিএর দাবি ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় লঞ্চের টিকিট যেন সোনার হরিন হয়ে উঠেছে। যাত্রীরা বিভিন্ন কাউন্টারে ঘুরেও কেবিনের টিকিট পাননি।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিয়াম জানান, তিনি বিভিন্ন লঞ্চ কাউন্টারে ঘুরেও টিকিট পাননি। পরে ডেকে ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।তবে সেখানেও দুর্ভোগের শেষ নেই। সাধারণ সময়ে ডেকের টিকিট ২০০বা ২৫০টাকা করে নিত।তা এখন ৪০০টাকা নিতে হবে। এর প্রতিবাদ করলে তারা বলে সরকারি রেটের চেয়ে কম নিচ্ছে।শুধু সিয়ামই নন,বেসকারি চাকরিজীবি রাশেদ সিকদার বলেন,স্বাভাবিক সময়ে আমরা লঞ্চে সিঙ্গেল কেবিন ৮০০থেকে ৯০০টাকায় পেয়ে যাই।এখন সেই কেবিন ১২০০টাকা। একইভাবে ডাবল কেবিন ১৫০০থেকে ১৬০০টাকা হলেও এখন ২২০০টাকা।এটা কেন হবে?আমরা এই জিম্মি দশা থেকে মুক্তি চাই।
নগরীর কয়েকটি কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডাবল ট্রিপ দিতে হয় ঈদের সময়। যার কারনে এক প্রান্ত থেকে যাত্রী ছাড়াই ফিরে আসতে হয়।সেক্ষেত্রে তাদের জ্বালানি খরচ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।এই খরচ কমাতে সরকারি রেটের চেয়েও কম ভাড়া নেওয়া হয়।তবে সাধারণ যাত্রীরা মনে করেন তাদের থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। মূলত স্বাভাবিক সময়ে আমরা সরকারি রেটের অনেক কমে যাত্রী পরিবহন করে থাকি।ঈদের সময় বাড়তি ফুয়েল খরচ ওঠাতে একটু বেশি ভাড়া নেওয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরির্দশক কবির হোসেন বলেন, সোমবার ৮টি লঞ্চ প্রস্তত রাখা হয়েছে।এছাড়া ভায়া রুটের আরোও দুইটি লঞ্চ ছেড়ে যাবে। যাত্রী চাপ বাড়লে লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেন বলেন, যাত্রীসেবায় বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন কর্মসুচী হাতে নিয়েছে।যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারে সে বিষয়ে আমরা সব ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাড়তি লঞ্চ ভাড়ার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সহসভাপতি ও সুন্দরবন নেভিগেশনের ব্যবস্থপনা পরিচালক সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ডেকের যাত্রীদের ভাড়া হয় ৪১২টাকা কিন্তু ৪০০টাকা নেওয়া হচ্ছে। আর কেবিনের আগের ভাড়াই নেওয়া হবে।আমরা সরকারি রেট উপেক্ষা করছি না।