ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন পরিতোষ কুমার বৈদ্য পাঁচবিবিতে পোস্ট অফিস সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা,জনদুর্ভোগ চরমে হরিপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ পাঁচবিবিতে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো মধুপুরের আনারস জলবায়ু পদক্ষেপে বৈশ্বিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন চান ড. ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন হতে পারে আগামী সপ্তাহে: তথ্য উপদেষ্টা পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ লোক দেখানো কাজ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়: হাসান আরিফ পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইল বাংলাদেশ

শ্রীপুরে সোর্সের কান কেটে দেওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীর ভাইয়ের বাড়িতে ভাংচুর

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
  • / ৩৬১ বার পড়া হয়েছে

মাগুরা প্রতিনিধিঃ

মাগুরার শ্রীপুর থানা পুলিশের সোর্সের কান কাটার সূত্র ধরে মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে গিয়ে না পেয়ে তার ভাইয়ের বাড়িতে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে শ্রীপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। মাদক ব্যবসায়ী মাইনুর রহমান নেপাল উপজেলার তারাউজিয়াল গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিন খানের ছেলে। তাকে ধরতে না পেরে তার ভাই খবির হোসেন খানের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায় শ্রীপুর থানা পুলিশ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশ ও সোর্স কৌশল অবলম্বন করে। তারা ক্রেতা সেজে নেপালের কাছে যায়। এ সময় ইয়াবা কেনার পর সোর্স নেপাল ও তার সহযোগী তামিমকে হাতকড়া পড়াতে গেলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে নেপাল ও তার সহযোগী ছুটে গিয়ে সোর্স আরশাফ আলীর দিকে তামিমের হাতে থাকা দা ছুড়ে মারে। এতে সোর্স আরশাফের কান কেটে যাই। পরে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার সূত্র ধরে ওইদিন রাত সাড়ে ১২ টার দিকে নেপালের বাড়িতে শ্রীপুর থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাইয়ের ব্যাপক ভাংচুর চালায় তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তারাউজিয়াল গ্রামের বাবু, নেপাল, কাজল, সজল, নাজিম, সামিরুলসহ বেশকয়েকজন মাদক ব্যবসার চালিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।

ভাংচুরের বিষয়ে খবির হোসেনের বোন এলাচি বেগম বলেন, তিনটি মোটরসাইকেলে শ্রীপুর থানা পুলিশের লোকজন এসে আচমকা আমাদের বাড়িতে ভাংচুর শুরু করে। তখন আমি বলি, যে অপরাধী তাকে আপনারা শাস্তি দেন কেন শুধু শুধু আপনারা আমাদের বাড়ি ভাংচুর করছেন? আমার এ কথা বলার পর তারা বাঁশের খাটে দিয়ে ঘরের দরজায় ৪ থেকে ৫ টা জোরে জোরে আঘাত করে। রান্না করে খেতে দেবে না এ কথা বলে পুলিশ সদস্যরা বাড়ির রান্নার চুলা, টিউবওয়েলের মোটর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন বাড়িতে শুধু নারী সদস্যরাই ছিলেন।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশারুল ইসলাম বলেন, সোর্স আহতের ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ভাংচুরের বিষয়ে তিনি কোন কিছুই জানেন না বলেও জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শ্রীপুরে সোর্সের কান কেটে দেওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীর ভাইয়ের বাড়িতে ভাংচুর

আপডেট সময় : ০৫:২৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

মাগুরা প্রতিনিধিঃ

মাগুরার শ্রীপুর থানা পুলিশের সোর্সের কান কাটার সূত্র ধরে মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে গিয়ে না পেয়ে তার ভাইয়ের বাড়িতে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে শ্রীপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। মাদক ব্যবসায়ী মাইনুর রহমান নেপাল উপজেলার তারাউজিয়াল গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিন খানের ছেলে। তাকে ধরতে না পেরে তার ভাই খবির হোসেন খানের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায় শ্রীপুর থানা পুলিশ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশ ও সোর্স কৌশল অবলম্বন করে। তারা ক্রেতা সেজে নেপালের কাছে যায়। এ সময় ইয়াবা কেনার পর সোর্স নেপাল ও তার সহযোগী তামিমকে হাতকড়া পড়াতে গেলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে নেপাল ও তার সহযোগী ছুটে গিয়ে সোর্স আরশাফ আলীর দিকে তামিমের হাতে থাকা দা ছুড়ে মারে। এতে সোর্স আরশাফের কান কেটে যাই। পরে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার সূত্র ধরে ওইদিন রাত সাড়ে ১২ টার দিকে নেপালের বাড়িতে শ্রীপুর থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাইয়ের ব্যাপক ভাংচুর চালায় তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তারাউজিয়াল গ্রামের বাবু, নেপাল, কাজল, সজল, নাজিম, সামিরুলসহ বেশকয়েকজন মাদক ব্যবসার চালিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।

ভাংচুরের বিষয়ে খবির হোসেনের বোন এলাচি বেগম বলেন, তিনটি মোটরসাইকেলে শ্রীপুর থানা পুলিশের লোকজন এসে আচমকা আমাদের বাড়িতে ভাংচুর শুরু করে। তখন আমি বলি, যে অপরাধী তাকে আপনারা শাস্তি দেন কেন শুধু শুধু আপনারা আমাদের বাড়ি ভাংচুর করছেন? আমার এ কথা বলার পর তারা বাঁশের খাটে দিয়ে ঘরের দরজায় ৪ থেকে ৫ টা জোরে জোরে আঘাত করে। রান্না করে খেতে দেবে না এ কথা বলে পুলিশ সদস্যরা বাড়ির রান্নার চুলা, টিউবওয়েলের মোটর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন বাড়িতে শুধু নারী সদস্যরাই ছিলেন।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশারুল ইসলাম বলেন, সোর্স আহতের ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ভাংচুরের বিষয়ে তিনি কোন কিছুই জানেন না বলেও জানিয়েছেন।