ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরা  ঘোড়া দিয়ে হালচাষ প্রতিদিন আয় ৩ হাজার টাকা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩৩৯ বার পড়া হয়েছে

হাববিুর রহমান সোহাগ,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :

একুশ শতকে যখন বিশ্বে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি দিয়ে হাল চাষ হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমান ট্রাক্টরের যুগে গরুর হাল চোখে পড়ে না বললেই চলে। সেখানে ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ বিরল ঘটনা।

দীর্ঘকাল ধরে যুদ্ধক্ষেত্রের পাশাপাশি মালপত্র বহন ও মানুষের বাহনে ঘোড়া ব্যবহৃত হয়ে এলেও কালের পরিক্রমায় তা বিলুপ্তির পথে। সেখানে গরুর বদলে ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন সুলতানপুর গ্রামের১৩ জন জন(কামলা)

১৬ নম্ভেবার রোজ বৃহস্পতিবার সকা সাড়ে ১০ টার দিকে  সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের সুলতান পুর গ্রামে ১৩ জন কামলা সুলতানপুর কাঁদপুর দক্ষীণ মাঠে ১৩ টি ঘোড়ার গাড়িতে করে আমন ধান বহন করিতে দেখা গেছে।
সুলতানপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কৃষি শ্রমিক রফিকুল ইসলাম জানান বাজারে গরুর চেয়ে ঘোড়ার দাম অনেক  কম।বাজারে গরুর দাম বেশি সমিতি থেকে  ১লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে আমি সহ আলাউদ্দিন, রহিম,করিম চার জন প্রথমে নড়াইল জেলার তুলোরামপুর থেকে
চারটি ঘোড়া  ৮ মাস পূর্বে  নিয়ে আসি, প্রথমে ঘোড়া দিয়ে  ইরিধানের জমিতে মই দেওয়া শুরু করি বিঘা প্রতি ৩০০ টাকা হারে আমরা একজন সারাদিন ৬ বিঘা জমিতে মই দিয়ে ১৮০০ টাকা আয় করি, আমরা সুলতান পুর গ্রাম থেকে ১৩ জন নড়াইলের তুলোরাম পুরে জনে (কামলা) বিক্রয় করি যাইতাম ওখানে থেকে ঘোড়া গাড়ি দিয়ে ধান বহন করিতে দেখি।আমরা সবাই সহ উৎসহ হলাম গ্রামে গিয়ে আমরাও ঘোড়াদিয়ে চাষাবাদ করিবো  আমার গ্রপের ১৩ জন কামলার  জনের বর্তমান ১৩ টি ঘোড়ারগাড়ি ও মই দিয়ে ৮ মাসে ভিতরে সমিতির ঋণ পরিশোধ করে সবাই পরিবার নিয়ে সূখী।

তিনি আরও জানান গরুর চেয়ে ঘোড়া হাটে বেশি ফলে  একই সময়ে তিনগুন বেশিজমিতে মই দেওয়া যায়। একদিনে অনায়াসে ৬ বিঘা মই দেওয়া যায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত  জমি মই দিয়ে ১৮০০ টাকা আয় করেছেন আমন ধান ঘোড়াগাড়ি বহন করে সারাদিন তিন বিঘা (বিঘা প্রতি১হাজার টাকা)৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন

প্রতিদিন ঘোড়ার খাদ্য বাবদ খরচ হয় ৪০০ টাকা। বাকি টাকা দিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবারের মৌলিক চাহিদাগুলো মিটছে। জমি চাষে মই  মৌসুম শেষে ঘোড়া গাড়িতে   অর্থাৎ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করেন।

রফিকুলইসলামেরভাষ্য, তিনি দারুণ অভাব অনটনে দিন যাপন করছেন। অর্থের অভাবে তিনি গরু কিনতে পারেন না। বসতভিটা ছাড়া মাঠে ফসলি জমি নাই।  সংসারের হাল ধরে রাখতে ঘোড়াটিই তার একমাত্র অবলম্বন।

স্থানীয় কয়েকজন জমির মালিক জানান, গরুনাঙ্গল বিলুপ্তি হবার পথে দুই একজনের আছে তাও জমিতে মই দেওয়ার কয়েক দিন অপেক্ষা করিতে হয়। ঘোড়া দিয়ে  জমিতে  মই দেওয়ার সময় জমির উঁচু-নিচু ভালোভাবে সমান হয়। এতে জমিতে পানি ধরে রাখা সহজ হয়। এছাড়া একদিনে অনেক বেশি জমিতে হালচাষ করা যায় বলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়।

স্থানীয় চন্দনপুর  ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ডালিম হোসেন বলেন রফিকুল ইসলাম সহ ১২ জন ঘোড়া দিয়ে মই ও ধান বিভিন্ন মালামাল করে আয়ের অর্থ দিয়ে পরিবার নিয়ে সূখূ আছে, জমির মালিকদের দিনের পরদিন অপেক্ষায় থাকা লাগে না।  এলাকার চাষীদের কাছে তার ঘোড়ার ও মইয়ের বেশ চাহিদা রয়েছে।
কলারোয়া  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শুভ্রাংশু শেখর কে  বলেন,আমরা ইতিহাসে পড়েছি রাজা- বাদশা ঘোড়ার চড়ে দেশ-শাসন করিতেন, ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ হচ্ছে আমার উপজেলাতে ঘোড়া দিয়েজমিতে মই ও ঘোড়া গাড়িতে বিভিন্ন ফসল ও মালামাল বহন করে অর্থ আয় করছেন এটা একটা ভালো দিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সাতক্ষীরা  ঘোড়া দিয়ে হালচাষ প্রতিদিন আয় ৩ হাজার টাকা

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

হাববিুর রহমান সোহাগ,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :

একুশ শতকে যখন বিশ্বে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি দিয়ে হাল চাষ হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমান ট্রাক্টরের যুগে গরুর হাল চোখে পড়ে না বললেই চলে। সেখানে ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ বিরল ঘটনা।

দীর্ঘকাল ধরে যুদ্ধক্ষেত্রের পাশাপাশি মালপত্র বহন ও মানুষের বাহনে ঘোড়া ব্যবহৃত হয়ে এলেও কালের পরিক্রমায় তা বিলুপ্তির পথে। সেখানে গরুর বদলে ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন সুলতানপুর গ্রামের১৩ জন জন(কামলা)

১৬ নম্ভেবার রোজ বৃহস্পতিবার সকা সাড়ে ১০ টার দিকে  সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের সুলতান পুর গ্রামে ১৩ জন কামলা সুলতানপুর কাঁদপুর দক্ষীণ মাঠে ১৩ টি ঘোড়ার গাড়িতে করে আমন ধান বহন করিতে দেখা গেছে।
সুলতানপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কৃষি শ্রমিক রফিকুল ইসলাম জানান বাজারে গরুর চেয়ে ঘোড়ার দাম অনেক  কম।বাজারে গরুর দাম বেশি সমিতি থেকে  ১লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে আমি সহ আলাউদ্দিন, রহিম,করিম চার জন প্রথমে নড়াইল জেলার তুলোরামপুর থেকে
চারটি ঘোড়া  ৮ মাস পূর্বে  নিয়ে আসি, প্রথমে ঘোড়া দিয়ে  ইরিধানের জমিতে মই দেওয়া শুরু করি বিঘা প্রতি ৩০০ টাকা হারে আমরা একজন সারাদিন ৬ বিঘা জমিতে মই দিয়ে ১৮০০ টাকা আয় করি, আমরা সুলতান পুর গ্রাম থেকে ১৩ জন নড়াইলের তুলোরাম পুরে জনে (কামলা) বিক্রয় করি যাইতাম ওখানে থেকে ঘোড়া গাড়ি দিয়ে ধান বহন করিতে দেখি।আমরা সবাই সহ উৎসহ হলাম গ্রামে গিয়ে আমরাও ঘোড়াদিয়ে চাষাবাদ করিবো  আমার গ্রপের ১৩ জন কামলার  জনের বর্তমান ১৩ টি ঘোড়ারগাড়ি ও মই দিয়ে ৮ মাসে ভিতরে সমিতির ঋণ পরিশোধ করে সবাই পরিবার নিয়ে সূখী।

তিনি আরও জানান গরুর চেয়ে ঘোড়া হাটে বেশি ফলে  একই সময়ে তিনগুন বেশিজমিতে মই দেওয়া যায়। একদিনে অনায়াসে ৬ বিঘা মই দেওয়া যায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত  জমি মই দিয়ে ১৮০০ টাকা আয় করেছেন আমন ধান ঘোড়াগাড়ি বহন করে সারাদিন তিন বিঘা (বিঘা প্রতি১হাজার টাকা)৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন

প্রতিদিন ঘোড়ার খাদ্য বাবদ খরচ হয় ৪০০ টাকা। বাকি টাকা দিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবারের মৌলিক চাহিদাগুলো মিটছে। জমি চাষে মই  মৌসুম শেষে ঘোড়া গাড়িতে   অর্থাৎ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করেন।

রফিকুলইসলামেরভাষ্য, তিনি দারুণ অভাব অনটনে দিন যাপন করছেন। অর্থের অভাবে তিনি গরু কিনতে পারেন না। বসতভিটা ছাড়া মাঠে ফসলি জমি নাই।  সংসারের হাল ধরে রাখতে ঘোড়াটিই তার একমাত্র অবলম্বন।

স্থানীয় কয়েকজন জমির মালিক জানান, গরুনাঙ্গল বিলুপ্তি হবার পথে দুই একজনের আছে তাও জমিতে মই দেওয়ার কয়েক দিন অপেক্ষা করিতে হয়। ঘোড়া দিয়ে  জমিতে  মই দেওয়ার সময় জমির উঁচু-নিচু ভালোভাবে সমান হয়। এতে জমিতে পানি ধরে রাখা সহজ হয়। এছাড়া একদিনে অনেক বেশি জমিতে হালচাষ করা যায় বলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়।

স্থানীয় চন্দনপুর  ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ডালিম হোসেন বলেন রফিকুল ইসলাম সহ ১২ জন ঘোড়া দিয়ে মই ও ধান বিভিন্ন মালামাল করে আয়ের অর্থ দিয়ে পরিবার নিয়ে সূখূ আছে, জমির মালিকদের দিনের পরদিন অপেক্ষায় থাকা লাগে না।  এলাকার চাষীদের কাছে তার ঘোড়ার ও মইয়ের বেশ চাহিদা রয়েছে।
কলারোয়া  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শুভ্রাংশু শেখর কে  বলেন,আমরা ইতিহাসে পড়েছি রাজা- বাদশা ঘোড়ার চড়ে দেশ-শাসন করিতেন, ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ হচ্ছে আমার উপজেলাতে ঘোড়া দিয়েজমিতে মই ও ঘোড়া গাড়িতে বিভিন্ন ফসল ও মালামাল বহন করে অর্থ আয় করছেন এটা একটা ভালো দিক।