ঢাকা ০১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাধারণ যাত্রীর মতোই তৃতীয় টার্মিনাল ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩২৫ বার পড়া হয়েছে

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে বিমানবন্দরে পৌঁছে একজন সাধারণ যাত্রীর মতোই প্রধানমন্ত্রী ঘুরে ঘুরে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শন করেন।

শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল টার্মিনালে প্রবেশের সময় প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় একদল শিশুশিল্পী। পরে তিনি বিমানবন্দরের চেক ইন কাউন্টারে যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে নমুনা বোর্ডিং পাস দেওয়া হয়। এরপর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কাউন্টার, সিকিউরিটি গেট, মুভিং ওয়াকওয়ে (স্ট্রেট এসকেলেটর) পরিদর্শন করেন তিনি।

 

সাধারণ যাত্রীর মতোই তৃতীয় টার্মিনাল ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী

 

প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের বিভিন্ন নান্দনিক সৌন্দর্য ঘুরিয়ে দেখান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মাসাল এম. মফিদুর রহমানসহ বেবিচক ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ের তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পটি ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯-এ শুরু হয়। সরকার ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) অবশিষ্ট অর্থায়ন করেছে।

৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে তৃতীয় টার্মিনাল। এর মধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটারের একটি ফ্লোর স্পেস, ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৬টি ডিপার্চার ইমিগ্রেশন ডেস্ক, ৫৯টি আগমন ইমিগ্রেশন এবং ৩টি ভিআইপি ইমিগ্রেশন ডেস্ক রয়েছে।

তৃতীয় টার্মিনাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার পর ঢাকা বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে বার্ষিক যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্ষমতা হবে ২৪ মিলিয়ন (পুরানো টার্মিনাল সহ) যা এখন মাত্র ৮ মিলিয়ন। বিমানবন্দরটি প্রতি বছর ৫ লাখ টন কার্গো হ্যান্ডেল করতে পারে।৩৭টি নতুন এয়ারক্রাফ্ট পার্কিং এরিয়া এবং এপ্রোন এলাকায় সংযোগকারী দুটি ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।তৃতীয় টার্মিনালটি একটি মাল্টিমোডাল পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যাতে যাত্রীরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ এবং প্রস্থান করতে পারেন।নতুন টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ (এমআরটি-৫, কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর অংশ) এবং একটি ভূগর্ভস্থ টানেলের মাধ্যমে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এছাড়াও আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের মাধ্যমে হজযাত্রীরা তৃতীয় টার্মিনালে যেতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সাধারণ যাত্রীর মতোই তৃতীয় টার্মিনাল ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে বিমানবন্দরে পৌঁছে একজন সাধারণ যাত্রীর মতোই প্রধানমন্ত্রী ঘুরে ঘুরে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শন করেন।

শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল টার্মিনালে প্রবেশের সময় প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় একদল শিশুশিল্পী। পরে তিনি বিমানবন্দরের চেক ইন কাউন্টারে যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে নমুনা বোর্ডিং পাস দেওয়া হয়। এরপর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কাউন্টার, সিকিউরিটি গেট, মুভিং ওয়াকওয়ে (স্ট্রেট এসকেলেটর) পরিদর্শন করেন তিনি।

 

সাধারণ যাত্রীর মতোই তৃতীয় টার্মিনাল ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী

 

প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের বিভিন্ন নান্দনিক সৌন্দর্য ঘুরিয়ে দেখান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মাসাল এম. মফিদুর রহমানসহ বেবিচক ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ের তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পটি ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯-এ শুরু হয়। সরকার ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) অবশিষ্ট অর্থায়ন করেছে।

৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে তৃতীয় টার্মিনাল। এর মধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটারের একটি ফ্লোর স্পেস, ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৬টি ডিপার্চার ইমিগ্রেশন ডেস্ক, ৫৯টি আগমন ইমিগ্রেশন এবং ৩টি ভিআইপি ইমিগ্রেশন ডেস্ক রয়েছে।

তৃতীয় টার্মিনাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার পর ঢাকা বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে বার্ষিক যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্ষমতা হবে ২৪ মিলিয়ন (পুরানো টার্মিনাল সহ) যা এখন মাত্র ৮ মিলিয়ন। বিমানবন্দরটি প্রতি বছর ৫ লাখ টন কার্গো হ্যান্ডেল করতে পারে।৩৭টি নতুন এয়ারক্রাফ্ট পার্কিং এরিয়া এবং এপ্রোন এলাকায় সংযোগকারী দুটি ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।তৃতীয় টার্মিনালটি একটি মাল্টিমোডাল পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যাতে যাত্রীরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ এবং প্রস্থান করতে পারেন।নতুন টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ (এমআরটি-৫, কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর অংশ) এবং একটি ভূগর্ভস্থ টানেলের মাধ্যমে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এছাড়াও আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের মাধ্যমে হজযাত্রীরা তৃতীয় টার্মিনালে যেতে পারবেন।