ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর দাবিতে ছাত্রলীগ সভাপতির বাসায় ১ সন্তানের জননীর অবস্থান

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২৬:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩
  • / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে

তপন দাস, নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে স্ত্রীর দাবীতে ডোমার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির বাড়িতে অনশন করছে এক সন্তানের এক জননী । তিনি ডোমার পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি অভিজিৎ সর্বঙ্গ পাপন এর বাসায় গতকাল সন্ধ্যায় অবস্থান নিয়ে অনশন করেন। পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি অভিজিৎ সর্বঙ্গ পাপন ডোমার পৌরসভার ছোট রাউতা সাহাপাড়ার এলাকার দেবরঞ্জন সর্বঙ্গের ছেলে , তিনি ২০২২ সাল থেকে ডোমার পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। এবিষয়ে ভুক্তভোগী ঐ নারাী সাথে কথা হলে তিনি বলেন ২০১৩ সালে পাপনের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এর আগে সে আমার ফোন নাম্বারে আমাকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করতো তা আমি সহ্য করতে না পেরে আমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে তার প্রেমে পড়ি । এর পর ২০১৪ সালে পাপন পঞ্চগড়ের বোদেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে আমাকে বিয়ে করেন, এর পর তিনি আমাকে নীলফামারী ও ডোমারের বিভিন্ন জায়গায় বাসা নিয়ে সংসার শুরু করে । এবং দীর্ঘ ৯ বছরের সংসারে আমার পেটে একটি বাচ্চা আসলেও সে জোর করে আমার বাচ্চা টিকে নষ্ট করে এক প্রকার ওষুধ খাইয়ে , এবং তাকে বারবার তার বাসায় আমাদের বিষয়টি জানানোর জন্য বলা হলে এবং এটার পারিবারিক স্বীকৃতি দেয়ার কথা বললে সে আমাকে তার নানান ধরনের অজুহাত দেখান । আর গত কয়েক মাস ধরে সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন কোন প্রকার খোঁজ খবর না নেয়ায় আমি তার বাসায় বর্তমানে স্ত্রীর দাবিতে অবস্থান করছি। এসময় তার বাচ্চার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি তাকে আগেই বলেছি আমি একজন বিবাহিত আমার একটি ছেলে বাচ্চা আছে তবুও সে আমাকে তার সাথে সম্পর্ক করার জন্য বাধ্য করেছে এবং বিয়ে ও করেন। এদিকে স্ত্রীর দাবি নিয়ে পাপনের বাসায় অবস্থান করা নারীর বিষয়ে পুলিশ জানতে পেরে তার বাসায় পুলিশ গেলে সে পুলিশকে দেখে বাসার পিছন দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন পরে পুলিশ তাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং বর্তমানে তিনি ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত পাপন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন ঔ মেয়ে একটি প্রতারক তার এর আগের ৩ টি স্বামী আছে সে বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে ব্লাকমেইল করে টাকা খায় সে আমার কাছে ও প্রতারনা করে টাকা চায় তার একটি ছেলে সন্তান ও আছে। আর আমি একজন অবিবাহিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্রাহ্মণ পরিবারের ছেলে আমার বিষয়ে এলাকার সবাই জানে কেমন ছেলে । সে আমাকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসাতে চায়। এদিকে আবারো ভুক্তভোগী ঐ নারীর সাথে কথা হলে তিনি ৯ বছরে ঘটে যাওয়া সব তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন এবং ডকুমেন্টস এর কাগজ দেখান। এদিকে ডোমার থানার ওসি মাহমুদ উন নবী বিষয় টি নিশ্চিত করে বলেন এখন পযন্ত এবিষয়ে আমাদের কাছে কোন লিখতো অভিযোগ আসে নি অভিযোগ আসলে আমরা ব্যবস্হা নেব এবং পাপন এখন অসুস্থ বোধ করায় সে আমাদের হেফাজতে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্ত্রীর দাবিতে ছাত্রলীগ সভাপতির বাসায় ১ সন্তানের জননীর অবস্থান

আপডেট সময় : ১০:২৬:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩

তপন দাস, নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে স্ত্রীর দাবীতে ডোমার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির বাড়িতে অনশন করছে এক সন্তানের এক জননী । তিনি ডোমার পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি অভিজিৎ সর্বঙ্গ পাপন এর বাসায় গতকাল সন্ধ্যায় অবস্থান নিয়ে অনশন করেন। পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি অভিজিৎ সর্বঙ্গ পাপন ডোমার পৌরসভার ছোট রাউতা সাহাপাড়ার এলাকার দেবরঞ্জন সর্বঙ্গের ছেলে , তিনি ২০২২ সাল থেকে ডোমার পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। এবিষয়ে ভুক্তভোগী ঐ নারাী সাথে কথা হলে তিনি বলেন ২০১৩ সালে পাপনের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এর আগে সে আমার ফোন নাম্বারে আমাকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করতো তা আমি সহ্য করতে না পেরে আমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে তার প্রেমে পড়ি । এর পর ২০১৪ সালে পাপন পঞ্চগড়ের বোদেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে আমাকে বিয়ে করেন, এর পর তিনি আমাকে নীলফামারী ও ডোমারের বিভিন্ন জায়গায় বাসা নিয়ে সংসার শুরু করে । এবং দীর্ঘ ৯ বছরের সংসারে আমার পেটে একটি বাচ্চা আসলেও সে জোর করে আমার বাচ্চা টিকে নষ্ট করে এক প্রকার ওষুধ খাইয়ে , এবং তাকে বারবার তার বাসায় আমাদের বিষয়টি জানানোর জন্য বলা হলে এবং এটার পারিবারিক স্বীকৃতি দেয়ার কথা বললে সে আমাকে তার নানান ধরনের অজুহাত দেখান । আর গত কয়েক মাস ধরে সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন কোন প্রকার খোঁজ খবর না নেয়ায় আমি তার বাসায় বর্তমানে স্ত্রীর দাবিতে অবস্থান করছি। এসময় তার বাচ্চার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি তাকে আগেই বলেছি আমি একজন বিবাহিত আমার একটি ছেলে বাচ্চা আছে তবুও সে আমাকে তার সাথে সম্পর্ক করার জন্য বাধ্য করেছে এবং বিয়ে ও করেন। এদিকে স্ত্রীর দাবি নিয়ে পাপনের বাসায় অবস্থান করা নারীর বিষয়ে পুলিশ জানতে পেরে তার বাসায় পুলিশ গেলে সে পুলিশকে দেখে বাসার পিছন দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন পরে পুলিশ তাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং বর্তমানে তিনি ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত পাপন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন ঔ মেয়ে একটি প্রতারক তার এর আগের ৩ টি স্বামী আছে সে বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে ব্লাকমেইল করে টাকা খায় সে আমার কাছে ও প্রতারনা করে টাকা চায় তার একটি ছেলে সন্তান ও আছে। আর আমি একজন অবিবাহিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্রাহ্মণ পরিবারের ছেলে আমার বিষয়ে এলাকার সবাই জানে কেমন ছেলে । সে আমাকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসাতে চায়। এদিকে আবারো ভুক্তভোগী ঐ নারীর সাথে কথা হলে তিনি ৯ বছরে ঘটে যাওয়া সব তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন এবং ডকুমেন্টস এর কাগজ দেখান। এদিকে ডোমার থানার ওসি মাহমুদ উন নবী বিষয় টি নিশ্চিত করে বলেন এখন পযন্ত এবিষয়ে আমাদের কাছে কোন লিখতো অভিযোগ আসে নি অভিযোগ আসলে আমরা ব্যবস্হা নেব এবং পাপন এখন অসুস্থ বোধ করায় সে আমাদের হেফাজতে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা নিচ্ছেন।