হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

- আপডেট সময় : ০৬:০৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
- / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে

ফের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তিনি নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
বুধবার (৯ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।বুধবার বিকেল ৬টা ২৫ মিনিটে হাসপাতালের উদ্দেশে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান খালেদ জিয়া।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপির চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে কয়েক দিন থাকতে হতে পারে। এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১০ জুন রাত পৌনে তিনটার দিকে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
গত বছর ১০ জুন গভীর রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পরে দ্রুত এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে একটি রিং বসানো হয়। হার্টের দুটি ব্লক এখনো রয়ে গেছে।
খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি।
এছাড়া চলতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। গত বছর ২২ আগস্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ পর ২৮ আগস্ট ফের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ভর্তি করানো হয়। দুদিন হাসপাতালে থাকার পর ৩১ আগস্ট বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর কয়েক দফা তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায়ই থাকছেন। তখন শর্ত দেওয়া হয়, তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে। এরপর বিভিন্ন সময় তাকে বিদেশ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। তবে তাতে সাড়া দেয়নি সরকার।