হিরো আলমকে বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর কেন?
- আপডেট সময় : ১০:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩২৯ বার পড়া হয়েছে
হিরো আলমকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বগুড়ার আদালত চত্বরে পিটিয়েছে। এটা কি বার্তা দেয়?
আমরা একই গোলকধাঁধায় আটকে আছি। তবে কি আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিও হিরো আলমদের ভয় পায়? আওয়ামী লীগ কতৃক হিরো আলম ফিজিক্যাল ভায়োলেন্সের শিকার হয়েছিলো, এবার বিএনপি কতৃক। হিরো আলমরা বারবার সংবাদের শিরোনাম হয় আর পরোক্ষ ভাবে তার মদদ দেয় তথাকথিত সুশীল সমাজ। হিরো আলমের এসব আক্রমণে আরও বীরত্ব বাড়ে। তার সমর্থন জুটে। ফলোয়ার, ভিওয়ার আরও বাড়ে।ক্ষতিগ্রস্ত হয় সমাজ ব্যবস্থা। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ত্বরান্বিত হয়।
হিরো আলম এ সমাজেরই অংশ। বাংলাদেশের নাগরিক। রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিধা পাবার অধিকার তার আছে, মত প্রকাশের অধিকার আছে, ন্যায় বিচার পাবার অধিকার আছে। কিন্তু সমাজে প্রতিনিধিত্ব করার কিছু মাপকাঠি থাকে।কিছু নিয়ামক থাকে। সেটা হিরো আলমের নেই। সমাজের প্রতিনিধিত্বের ভার সবাইকে দেওয়া যায়না। সেক্ষেত্রে কিছু মানুষের ভুল কর্মকান্ড হিরো আলমকে নেতৃত্বস্থানীয় জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে যা সমাজের জন্য অশনিসংকেত।
হিরো আলমকে গণপিটুনি দিয়ে আদালত চত্বর থেকে চ্যাংদোলা করে বাইরে বের করে দেওয়া হয়।হিরো আলমের অপরাধ সে নাকি কোন এক সময় তারেক জিয়া কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছে। কিন্তু হিরো আলম বলছে করেনি।যদি করেই থাকে তাতেই কি? তারেক জিয়া কে নিয়ে কোন মন্তব্য করা যাবে না।কোন ব্যাক্তিই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। তাঁর দলের নেতাকর্মীরা যদি শেখ মুজিবের মতো তাঁকেও পয়গম্বর পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায় তাহলে তার পরিনাম শেষ পর্যন্ত কি হয় তা তো আর জানার কারও বাকী নেই।
তারেক জিয়া বুদ্ধিমান রাজনীতিবিদ তাঁর উচিত এসব তেলবাজ থেকে দূরে থাকা।নিজের দূরদর্শিতার পরিচয় দেবার এখনই সময়। বাংলাদেশের মানুষ ক্রমশ এসব তথাকথিত রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সময় পাল্টাচ্ছে।আন্তর্জাতিক রাজনীতির সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের রাজনৈতিক ধ্যানধরনা ও আচরণের পরিবর্তন প্রয়োজন।
গণতন্ত্রে কেউ সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। মানুষের মত প্রকাশ বাঁধাগ্রস্থ করলে গণতন্ত্রই হারিয়ে যাবে।তা গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিবিদদের জন্য কতোটা সুবিধাজনক হবে!