ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন পরিতোষ কুমার বৈদ্য পাঁচবিবিতে পোস্ট অফিস সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা,জনদুর্ভোগ চরমে হরিপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ পাঁচবিবিতে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো মধুপুরের আনারস জলবায়ু পদক্ষেপে বৈশ্বিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন চান ড. ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন হতে পারে আগামী সপ্তাহে: তথ্য উপদেষ্টা পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ লোক দেখানো কাজ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়: হাসান আরিফ পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইল বাংলাদেশ

হিলিতে ঘন কুয়াশার সাথে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ রাকিব হাসান ডালিম, হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

শৈত্যপ্রবাহের কারণে দিনাজপুরের হিলিতে ফের ঘন কুয়াশার সাথে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। ঘন কুয়াশা,মেঘলা আকাশ,হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আজ দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলেনি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সূর্যের দেখা মিলেও আজ বুধবার সকাল থেকে ঘন কুয়াশা ও মেঘে ঢেকে রয়েছে আকাশ। সকাল থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে রাস্তা-ঘাট কিছুই দেখা যাচ্ছে না। হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। দূর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ খেটে যাওয়া মানুষ। কাজের সন্ধানে বের হয়েও কাজ পাচ্ছেন না তারা। দোকানপাট খুলছে দেরিতে। বেশি কষ্টে আছেন ছিন্নমুল ও বৃদ্ধ মানুষেরা। শীতবন্ত্রের অভাবে বাড়ির বাহিরে বের হতে পারছেন না তারা। এদিকে সকালে স্থলবন্দর থেকে ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে বের হয়ে যেতে দেখা গেছে। হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষজন। শীতের কারণে ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়ারিয়ায় প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত কারণে অনেক শিশু হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছে।
কয়েক জন দিনমজুর কাজের সন্ধানে বের হয়ে হিলি বাজারে বসে থাকতে দেখা গেছে। কথা হয় দিনমজুর মজিবরের সাথে। তিনি বলেন,কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে সকাল ৭ টায় বের হয়েছি। আজ একটু বেশি কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস। সকাল থেকে বসে আছি কেউ আসেনি কাজ করে নেওয়ার জন্য। আমরা দিনআনি দিন খাই। আজ কাজ না পেলে না খেয়ে থাকতে হবে।আমরা একদিন কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না। খুব কষ্ট হয় আমাদের পরিবারপরিজন নিয়ে।
হাকিমপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার অমিত রায় জানান,এ পর্যন্ত উপজেলার ১ টি পৌরসভাসহ ৩ টি ইউনিয়নে ২০০০ হাজার শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আসলে সেবসব শীতবস্ত্র শীতার্ত মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

হিলিতে ঘন কুয়াশার সাথে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত

আপডেট সময় : ০৯:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

মোঃ রাকিব হাসান ডালিম, হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

শৈত্যপ্রবাহের কারণে দিনাজপুরের হিলিতে ফের ঘন কুয়াশার সাথে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। ঘন কুয়াশা,মেঘলা আকাশ,হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আজ দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলেনি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সূর্যের দেখা মিলেও আজ বুধবার সকাল থেকে ঘন কুয়াশা ও মেঘে ঢেকে রয়েছে আকাশ। সকাল থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে রাস্তা-ঘাট কিছুই দেখা যাচ্ছে না। হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। দূর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ খেটে যাওয়া মানুষ। কাজের সন্ধানে বের হয়েও কাজ পাচ্ছেন না তারা। দোকানপাট খুলছে দেরিতে। বেশি কষ্টে আছেন ছিন্নমুল ও বৃদ্ধ মানুষেরা। শীতবন্ত্রের অভাবে বাড়ির বাহিরে বের হতে পারছেন না তারা। এদিকে সকালে স্থলবন্দর থেকে ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে বের হয়ে যেতে দেখা গেছে। হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষজন। শীতের কারণে ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়ারিয়ায় প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত কারণে অনেক শিশু হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছে।
কয়েক জন দিনমজুর কাজের সন্ধানে বের হয়ে হিলি বাজারে বসে থাকতে দেখা গেছে। কথা হয় দিনমজুর মজিবরের সাথে। তিনি বলেন,কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে সকাল ৭ টায় বের হয়েছি। আজ একটু বেশি কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস। সকাল থেকে বসে আছি কেউ আসেনি কাজ করে নেওয়ার জন্য। আমরা দিনআনি দিন খাই। আজ কাজ না পেলে না খেয়ে থাকতে হবে।আমরা একদিন কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না। খুব কষ্ট হয় আমাদের পরিবারপরিজন নিয়ে।
হাকিমপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার অমিত রায় জানান,এ পর্যন্ত উপজেলার ১ টি পৌরসভাসহ ৩ টি ইউনিয়নে ২০০০ হাজার শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আসলে সেবসব শীতবস্ত্র শীতার্ত মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হবে।