ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিলিতে দাম কমেছে আদা ও কাঁচা মরিচের

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
  • / ৭৮৫ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ রাকিব হাসান ডালিম হাকিমপুর (হিলি) প্রতিনিধি

সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর বাজারে কমতে শুরু করেছে আমদানিকৃত আদা ও দেশি কাঁচা মরিচের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বন্দরের পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ দাম কমেছে ১০০ টাকা। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৮০ টাকা। অন্য দিকে ঈদুল আযহার আগে বন্দর বাজারে ৪০০-৫০০ টাকা কেজি আদা বিক্রি হলেও বর্তমানে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা। বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে এসব পণ্যের দাম কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (২৬ জুলাই) হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি দেশি কাঁচা মরিচ পাইকারি বাজারে ১০০ টাকা আর খুচরা বাজারে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে পাইকারী বাজারে ১৮০ টাকা আর খুচরা বাজারে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অন্য দিকে গত তিন থেকে চার সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি আদা ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে সেই আমদানিকৃত আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি।

হিলি বাজারে কাঁচামরিচ ও আদা কিনতে আসা গৃহবধূ শাহনাজ পারভীন বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে আজ কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৮০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনেছি ৫০ টাকা দিয়ে। আর আজ কিনলাম ৩০ টাকা। আরও একটু কমলে ভালো হতো। বেশি দামের কারণে অনেকে কাঁচা মরিচ কেনা ছেড়ে দিয়েছেন। আর ঈদের সময় আদা কিনেছিলাম ৪০০ টাকা কেজি। আজ বাজারে এসে শুনতেছি সেই আদা ১৫০-১৬০ টাকা বিক্রি। ২৫০ গ্রাম আদা কিনলাম ৪০ টাকা দিয়ে।

হিলি বাজারের খুচরা কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শাহিন হোসেন বলেন, কাঁচা পণ্যের বাজার যখন যে দাম যায় আমরা তার থেকে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। কারণ অনেক সময় কাঁচা মরিচ পচে নষ্ট হয়ে যায়। আবার অবিক্রিত থাকায় শুকিয়ে ওজন কমে যায়।

হিলি বাজারের ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে আদার দাম অনেক কমেছে। ঈদের আগে প্রতি কেজি আদা বিক্রি করেছি ৪০০ টাকা কেজি। বর্তমানে ভারত আমদানিকৃত আদা প্রতি কেজি বিক্রি করতেছি ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৬-২৮ কেজি, রসুন প্রতি কেজি ১৬০-১৭০, শুকনো মরিচ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

হিলি বাজারের পাইকারি কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শেখ বিপ্লব বলেন, কাঁচা পণ্যের দাম সম্পূর্ণ নির্ভর করে আমদানির ওপর। যখন আমদানি বেশি হয়, তখন দাম কম থাকে। আবার যখন আমদানি কম হয়, তখন দাম বেশি হয়।
তিনি আরও বলেন, এখন বাজারে একটু কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। আর এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হলেও হিলি বাজারে পাওয়া যায় না। বেশি লাভের আশায় আমদানি কারকরা নিজ খরচে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠান। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ কৃষকদের কাছ থেকেই ১৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে। আর বিক্রি করেছি ২০০ টাকা কেজি দরে। আজ বুধবার নওগাঁর কৃষকদের কাছ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে কিনে ১২০ কেজি দরে বিক্রি করছি। আর খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন ১২০ টাকা কেজি দরে। তবে সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

হিলিতে দাম কমেছে আদা ও কাঁচা মরিচের

আপডেট সময় : ১১:৫৩:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

 

মোঃ রাকিব হাসান ডালিম হাকিমপুর (হিলি) প্রতিনিধি

সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর বাজারে কমতে শুরু করেছে আমদানিকৃত আদা ও দেশি কাঁচা মরিচের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বন্দরের পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ দাম কমেছে ১০০ টাকা। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৮০ টাকা। অন্য দিকে ঈদুল আযহার আগে বন্দর বাজারে ৪০০-৫০০ টাকা কেজি আদা বিক্রি হলেও বর্তমানে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা। বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে এসব পণ্যের দাম কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (২৬ জুলাই) হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি দেশি কাঁচা মরিচ পাইকারি বাজারে ১০০ টাকা আর খুচরা বাজারে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে পাইকারী বাজারে ১৮০ টাকা আর খুচরা বাজারে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অন্য দিকে গত তিন থেকে চার সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি আদা ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে সেই আমদানিকৃত আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি।

হিলি বাজারে কাঁচামরিচ ও আদা কিনতে আসা গৃহবধূ শাহনাজ পারভীন বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে আজ কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৮০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনেছি ৫০ টাকা দিয়ে। আর আজ কিনলাম ৩০ টাকা। আরও একটু কমলে ভালো হতো। বেশি দামের কারণে অনেকে কাঁচা মরিচ কেনা ছেড়ে দিয়েছেন। আর ঈদের সময় আদা কিনেছিলাম ৪০০ টাকা কেজি। আজ বাজারে এসে শুনতেছি সেই আদা ১৫০-১৬০ টাকা বিক্রি। ২৫০ গ্রাম আদা কিনলাম ৪০ টাকা দিয়ে।

হিলি বাজারের খুচরা কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শাহিন হোসেন বলেন, কাঁচা পণ্যের বাজার যখন যে দাম যায় আমরা তার থেকে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। কারণ অনেক সময় কাঁচা মরিচ পচে নষ্ট হয়ে যায়। আবার অবিক্রিত থাকায় শুকিয়ে ওজন কমে যায়।

হিলি বাজারের ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে আদার দাম অনেক কমেছে। ঈদের আগে প্রতি কেজি আদা বিক্রি করেছি ৪০০ টাকা কেজি। বর্তমানে ভারত আমদানিকৃত আদা প্রতি কেজি বিক্রি করতেছি ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৬-২৮ কেজি, রসুন প্রতি কেজি ১৬০-১৭০, শুকনো মরিচ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

হিলি বাজারের পাইকারি কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শেখ বিপ্লব বলেন, কাঁচা পণ্যের দাম সম্পূর্ণ নির্ভর করে আমদানির ওপর। যখন আমদানি বেশি হয়, তখন দাম কম থাকে। আবার যখন আমদানি কম হয়, তখন দাম বেশি হয়।
তিনি আরও বলেন, এখন বাজারে একটু কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। আর এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হলেও হিলি বাজারে পাওয়া যায় না। বেশি লাভের আশায় আমদানি কারকরা নিজ খরচে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠান। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ কৃষকদের কাছ থেকেই ১৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে। আর বিক্রি করেছি ২০০ টাকা কেজি দরে। আজ বুধবার নওগাঁর কৃষকদের কাছ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে কিনে ১২০ কেজি দরে বিক্রি করছি। আর খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন ১২০ টাকা কেজি দরে। তবে সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।