হিলি সীমান্ত দেখতে দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন দশনার্থীরা
- আপডেট সময় : ০৭:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩
- / ১৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
মোঃ রাকিব হাসান ডালিম, হাকিমপুর (হিলি) প্রতিনিধি
এপার বাংলাদেশ অপর পাশে ভারত। মাঝখানে সীমানা কাঁটা তারের বেড়া।ঈদের খুশির দিনে ভারতে থাকা স্বজনদের এক নজর দেখতে ও বিভিন্ন স্থান থেকে সীমান্ত দেখতে আসা দশনার্থীরা দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে জড়ো হয়েছিল মানুষেরা। এখানে সরাসরি কথা না বলতে পারলেও দুর থেকে স্বজনদের দেখে শান্তি খুঁজে নেন তারা। তবে বৃষ্টির কারণে এবারে দশনার্থীদের উপস্থিতি কম দেখা যায়।
আজ শুক্রবার বিকেলে হিলি সীমান্তে শুন্যরেখা জড়ো হতে থাকে দর্শনার্থীরা। এএক অন্যরকম দৃশ্য। জড়ো হওয়া দর্শনাথীরা সীমানা ঘেঁষে দুরপাল্লার রেল লাইনে সেলফি তুলছেন। কেউ দুর থেকে দাঁড়িয়ে স্বজনদের সঙ্গে ইশারায় কথা বলছেন। বড়দের সঙ্গে ছোটরাও শামিল হয়েছিলেন এই ভিড়ে।
হিলি স্থলবন্দরের দু-দেশের সীমান্ত শহরে নামেই হচ্ছে হিলি। দু-দেশের হিলি শহরের মাঝ দিয়ে রয়েছে রেললাইন। রেললাইনের এপার বাংলাহিলি আর ওপার ভারত হিলি। বাংলাদেশ ও ভারতের নিকটবর্তী শহর হিলি হওয়ায় এই শহর দেখতে ছুটে চলে আসে অনেকেই। ঈদের দিন বিকেল থেকেই হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এলাকায় ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।শুধু ঈদের দিন নয় শুক্রবার ছুটির দিনেও প্রতিদিনেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীবাহী বাস,প্রাইভেটকার,মাইক্রোবাস,মোটর সাইকেল,অটোরিক্সা,ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে করে তারা এখানে আসেন। অপর দিকে ভারতের অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসেন ভারতের জিরোপয়েন্টে।
সেখানে কথা হয় দিনাজপুর ফুলবাড়ী থেকে আসা একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আত্বয়ীস্বজনের সাথে ফেসবুক মেসেঞ্জার হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়। আজকে সরাসরি কথা বলতে না পারলেও দুর থেকে এক নজর দেখে নিজেকে খুব খুশি লাগছে।
ঘোড়াঘাট থেকে আসা এক জন বলেন, ঈদের দিন থেকেই বৃষ্টি তাই ঘুরতে বের হতে পারিনি। আজ দুপুরের পর বৃষ্টি না হওয়ায় তাই হিলি সীমান্ত দেখতে এসেছি।এতদিন মানুষের মুখে শুনেছি আজ কাজ থেকে সীমান্ত দেখলাম।দেখে খুব ভালোই লাগলো।
দশনার্থীরা আরও বলেন,ছেলে মেয়েদের বিনোদনের উদ্দেশ্যেই হিলি সীমান্ত এলাকা দেখতে এসেছি। এতদিন শুনেই এসেছি আজ কাছ থেকে অনেক কাছাকাছি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখলাম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। সেখানে ঘুরে বেড়িয়েছি ও ছবি তুলেছি,সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগলো এখানে এসে।