ঢাকা ০২:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০ গ্রামের হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে

ছবিঃ স্টার নিউজ

রফিকুল ইসলাম , তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ফসলি মাঠে অপরিকল্পিত পুকুর খনন ও কালভার্টের মুখ বন্ধের কারণে প্রায় ২০টি গ্রামের হাজার বিঘা জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চলতি বছর উপজেলার এসব জমিতে আবাদ করতে পারছেন না কৃষক।

স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে তিন ফসলি এসব জমি অনাবাদি পড়ে থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। চলতি মৌসুমে এরই মধ্যে প্রায় ২০টি গ্রামের হাজার বিঘা জমিতে আবাদ করা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের তাড়াশ পূর্ব মাঠ, সোনাপাতিল, জাহাঙ্গীরগাতী, সোলাপাড়া, বোয়ালিয়া, মাধবপুর, মথুরাপুর, বিদুমাগুড়াসহ কয়েকটি মাঠে প্রায় ২০টি গ্রামের হাজার বিঘা ফসলি জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী কৃষক তাড়াশ সদর গ্রামের সোহেল রানা , আসলাম হোসেন, রাজু আহমেদ বলেন, তিন-চার বছর ধরে উপজেলাজুড়ে অসংখ্য পুকুর খনন করা হয়েছে। বিভিন্ন সেতু ও কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় চলতি মৌসুমে ফসল আবাদ করতে পারছেন না তারা। বোয়ালিয়া গ্রামের মীর জাহিদুল ইসলাম বকুল জানান, অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করায় মাঠজুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এবারে চাষিরা রোপা আউশ ধান রোপণ করতে না পারায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। দ্রুত পানি নিস্কাশন করা না হলে আবাদি জমিগুলো পতিত থেকে যাবে।

উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মো. মনসুর রহমান জানান, এলাকার প্রায় ২০টি গ্রামের হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদি হয়ে পড়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার পরিমাণই বেশি। অপরিকল্পিত পুকুর খনন করার সময় মাটি দিয়ে ভিটা ও খাল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমনকি পানি নিষ্কাশনের পথ ব্রিজের তলা মাটি দিয়ে বন্ধ করেছে। ফলে এ সব এলাকায় হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী কয়েকজন চাষি জানান, এই জমিগুলোতে ধান চাষ করে তাদের সারা বছরের ভাতের ব্যবস্থা হতো। এবারের জলাবদ্ধতার কারণে ধান রোপণ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সারা বছর কিভাবে খাবারের ব্যবস্থা হবে তা ভেবে উদ্বিগ্ন।

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো আব্দল্লাহ আল মামুন বলেন, সরজমিনে পরিদর্শন করে উপজেলা জুড়ে জমি জলাবদ্ধতা নিরশনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। আর অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন বন্ধ করতে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

২০ গ্রামের হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

রফিকুল ইসলাম , তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ফসলি মাঠে অপরিকল্পিত পুকুর খনন ও কালভার্টের মুখ বন্ধের কারণে প্রায় ২০টি গ্রামের হাজার বিঘা জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চলতি বছর উপজেলার এসব জমিতে আবাদ করতে পারছেন না কৃষক।

স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে তিন ফসলি এসব জমি অনাবাদি পড়ে থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। চলতি মৌসুমে এরই মধ্যে প্রায় ২০টি গ্রামের হাজার বিঘা জমিতে আবাদ করা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের তাড়াশ পূর্ব মাঠ, সোনাপাতিল, জাহাঙ্গীরগাতী, সোলাপাড়া, বোয়ালিয়া, মাধবপুর, মথুরাপুর, বিদুমাগুড়াসহ কয়েকটি মাঠে প্রায় ২০টি গ্রামের হাজার বিঘা ফসলি জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী কৃষক তাড়াশ সদর গ্রামের সোহেল রানা , আসলাম হোসেন, রাজু আহমেদ বলেন, তিন-চার বছর ধরে উপজেলাজুড়ে অসংখ্য পুকুর খনন করা হয়েছে। বিভিন্ন সেতু ও কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় চলতি মৌসুমে ফসল আবাদ করতে পারছেন না তারা। বোয়ালিয়া গ্রামের মীর জাহিদুল ইসলাম বকুল জানান, অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করায় মাঠজুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এবারে চাষিরা রোপা আউশ ধান রোপণ করতে না পারায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। দ্রুত পানি নিস্কাশন করা না হলে আবাদি জমিগুলো পতিত থেকে যাবে।

উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মো. মনসুর রহমান জানান, এলাকার প্রায় ২০টি গ্রামের হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদি হয়ে পড়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার পরিমাণই বেশি। অপরিকল্পিত পুকুর খনন করার সময় মাটি দিয়ে ভিটা ও খাল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমনকি পানি নিষ্কাশনের পথ ব্রিজের তলা মাটি দিয়ে বন্ধ করেছে। ফলে এ সব এলাকায় হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী কয়েকজন চাষি জানান, এই জমিগুলোতে ধান চাষ করে তাদের সারা বছরের ভাতের ব্যবস্থা হতো। এবারের জলাবদ্ধতার কারণে ধান রোপণ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সারা বছর কিভাবে খাবারের ব্যবস্থা হবে তা ভেবে উদ্বিগ্ন।

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো আব্দল্লাহ আল মামুন বলেন, সরজমিনে পরিদর্শন করে উপজেলা জুড়ে জমি জলাবদ্ধতা নিরশনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। আর অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন বন্ধ করতে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।