ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন পরিতোষ কুমার বৈদ্য পাঁচবিবিতে পোস্ট অফিস সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা,জনদুর্ভোগ চরমে হরিপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ পাঁচবিবিতে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো মধুপুরের আনারস জলবায়ু পদক্ষেপে বৈশ্বিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন চান ড. ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন হতে পারে আগামী সপ্তাহে: তথ্য উপদেষ্টা পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ লোক দেখানো কাজ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়: হাসান আরিফ পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইল বাংলাদেশ

কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
  • / ৪২৫ বার পড়া হয়েছে

সালাউদ্দীন ,কয়রা প্রতিনিধি:

খুলনার কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ কাংখিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। জনবল সংকটের কারনে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্বল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি আজো।

সূত্র মতে, ১৯৬৪ সালে নির্মিত ৩১ শয্যার এ হাসপাতালটি ২০০৪ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করন করা হয়। কিন্তু এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও কাঙ্খিত সেবা দেওয়ার মতো সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়নি। শুরু থেকেই এর প্রধান সমস্যা জনবল সংকট। নার্স, ওয়ার্ডবয়, সুইপার থেকে শুরু করে জরুরি বিভাগে স্বাস্থ্য সহকারীর পদও শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন। জানা গেছে, প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় এখানে যোগদানের পরই সবাই অন্যত্র বদলি নেওয়ার তদবিরে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যে কারণে হাসপাতালটির চিকিৎসক সংকট কাটে না। হাসপাতাল সূত্র জানায়, কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ১৭০টি পদের মধ্যে ৮০ টি পদই শূন্য রয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন কনসালটেন্ট এর মধ্যে ১ জন এবং ১জন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসক নেই এ্যানেসথিয়া, সার্জারি, গাইনি, শিশু, ইএনটি, অর্থো, কার্ডিও, চক্ষু, ও চর্ম বিভাগে। এমনকি ইনডোর মেডিকেল অফিসার ও ইমাজেন্সী মেডিকেল অফিসারের পদটিও শূন্য রয়েছে। এছাড়া ৪ টি সিনিয়র ষ্টাফ নার্সের পদও রয়েছে খালি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আয়া হিসেবে দু’জনের পদ থাকলেও একজনও নেই এখানে। বিভিন্ন পদে প্রথম শ্রেণীর ২৯ জনের অনুকুলে রয়েছেন ৭ জন। বাকি ২২টি পদ শূন্য দীর্ঘদিন থেকে। ২য় শ্রেণীর ১৯ জনের অনুকুলে রয়েছেন ১৫ জন। বাকি ৪ টি পদ শূন্য। ৩য় শ্রেণীর ১২২ জনের অনুকুলে রয়েছেন ৬৮ জন। বাকি ৫৪ টি পদ শূন্য। ৪র্থ শ্রেণীর ২২ জনের অনুকুলে রয়েছেন ৮ জন। বাকি ১৪ টি পদ শূন্য দীর্ঘদিন থেকে। আক্ষেপ করে কর্মরত একজন নার্স বলেন, এমনিতে চিকিৎসক নেই। তার উপর নার্সেরও সংকট রয়েছে। আমাদের অনেক কষ্ট করে সেবা দিতে হচ্ছে রোগীদের। তিনি বলেন, আয়া না থাকায় ব্যাঘাত ঘটছে কাজে। অতিদ্রুত আয়া পদগুলো পূরণ করা দরকার। কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুজাত আহম্মেদ বলেন, শূন্যপদে জনবল নিয়োগের জন্য গত ১০ আগষ্ট খুলনা সিভিল সার্জন বরাবর প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। চিকিৎসক না থাকলে সেবায় ব্যাঘাত ঘটে। ইচ্ছে থাকলেও পুরোদমে রোগীদের পাশে থাকা যায় না। তবে এলাকার সুধীজনেরা এ মুহুর্তে স্বাস্থ মন্ত্রীর মাধ্যমে অবহেলীত কয়রার জায়গীর মহলে ৫০ শয্যা হাসপাতালের শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত

আপডেট সময় : ০৮:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

সালাউদ্দীন ,কয়রা প্রতিনিধি:

খুলনার কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ কাংখিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। জনবল সংকটের কারনে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্বল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি আজো।

সূত্র মতে, ১৯৬৪ সালে নির্মিত ৩১ শয্যার এ হাসপাতালটি ২০০৪ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করন করা হয়। কিন্তু এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও কাঙ্খিত সেবা দেওয়ার মতো সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়নি। শুরু থেকেই এর প্রধান সমস্যা জনবল সংকট। নার্স, ওয়ার্ডবয়, সুইপার থেকে শুরু করে জরুরি বিভাগে স্বাস্থ্য সহকারীর পদও শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন। জানা গেছে, প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় এখানে যোগদানের পরই সবাই অন্যত্র বদলি নেওয়ার তদবিরে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যে কারণে হাসপাতালটির চিকিৎসক সংকট কাটে না। হাসপাতাল সূত্র জানায়, কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ১৭০টি পদের মধ্যে ৮০ টি পদই শূন্য রয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন কনসালটেন্ট এর মধ্যে ১ জন এবং ১জন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসক নেই এ্যানেসথিয়া, সার্জারি, গাইনি, শিশু, ইএনটি, অর্থো, কার্ডিও, চক্ষু, ও চর্ম বিভাগে। এমনকি ইনডোর মেডিকেল অফিসার ও ইমাজেন্সী মেডিকেল অফিসারের পদটিও শূন্য রয়েছে। এছাড়া ৪ টি সিনিয়র ষ্টাফ নার্সের পদও রয়েছে খালি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আয়া হিসেবে দু’জনের পদ থাকলেও একজনও নেই এখানে। বিভিন্ন পদে প্রথম শ্রেণীর ২৯ জনের অনুকুলে রয়েছেন ৭ জন। বাকি ২২টি পদ শূন্য দীর্ঘদিন থেকে। ২য় শ্রেণীর ১৯ জনের অনুকুলে রয়েছেন ১৫ জন। বাকি ৪ টি পদ শূন্য। ৩য় শ্রেণীর ১২২ জনের অনুকুলে রয়েছেন ৬৮ জন। বাকি ৫৪ টি পদ শূন্য। ৪র্থ শ্রেণীর ২২ জনের অনুকুলে রয়েছেন ৮ জন। বাকি ১৪ টি পদ শূন্য দীর্ঘদিন থেকে। আক্ষেপ করে কর্মরত একজন নার্স বলেন, এমনিতে চিকিৎসক নেই। তার উপর নার্সেরও সংকট রয়েছে। আমাদের অনেক কষ্ট করে সেবা দিতে হচ্ছে রোগীদের। তিনি বলেন, আয়া না থাকায় ব্যাঘাত ঘটছে কাজে। অতিদ্রুত আয়া পদগুলো পূরণ করা দরকার। কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুজাত আহম্মেদ বলেন, শূন্যপদে জনবল নিয়োগের জন্য গত ১০ আগষ্ট খুলনা সিভিল সার্জন বরাবর প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। চিকিৎসক না থাকলে সেবায় ব্যাঘাত ঘটে। ইচ্ছে থাকলেও পুরোদমে রোগীদের পাশে থাকা যায় না। তবে এলাকার সুধীজনেরা এ মুহুর্তে স্বাস্থ মন্ত্রীর মাধ্যমে অবহেলীত কয়রার জায়গীর মহলে ৫০ শয্যা হাসপাতালের শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।