বিরামপুরে লিচু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
![](https://starnews24.net/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ০৩:১২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
- / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
![](https://starnews24.net/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ
মধু মাস জ্যৈষ্ঠ শুরু হয়েছে সপ্তাহখানেক আগে। সুস্বাদু ফলের সরবরাহ বেশি থাকায় সবার কাছে মাসটি ‘মধুমাস’ নামেই পরিচিত। লিচু মধুমাসের ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম । রসে টইটুম্বুর এ ফলের নাম শুনলেই জিভে পানি আসে।
বিরামপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল্লাহ ইফরান জানান,পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে লিচুতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম। এছাড়া, লিচুতে রয়েছে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম।
এ কারণে দৈনন্দিন পুষ্টিচাহিদা মেটাতে লিচু অনেক বেশি ভূমিকা রাখে।
দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে প্রতিটি লিচু বাগানে কৃষকের স্বপ্নের ফসল দেশীয় ও চায়না -৩ জাতের লিচু। লিচুতে বাগান ভরপুর, লাল গোলাপি রঙের লিচু শুধু দোল খাচ্ছে বাগানে। বাদুড়ের কবল থেকে লিচু রক্ষায় রাত জেগে পাহাড়া দেয়া, দিনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গাছ থেকে লিচু নামানো ও ৫০টি করে থোকা বাঁধার পরে তা গাড়িতে করে স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া। লিচুকে ঘিরে এমনভাবে ব্যস্ত এই উপজেলার লিচু চাষীরা। উপজেলার চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন বিভিন্ন মাধ্যমে পৌছে যাচ্ছে সুস্বাদু লিচু।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গতবারের চেয়ে এবার লিচু চাষের প্রতি আগ্রহী অনেকেই,গত বছর ১০০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়ছিল।এই বছর এ উপজেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ করা হয়েছে। লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০০ মেট্রিক টন। বিরামপুরের লিচুর চাহিদা অন্যান্য জেলায় কদর বেশি থাকায় প্রতি বছরই এ উপজেলাজুড়ে সম্প্রসারণ হচ্ছে লিচু চাষ। এখানে আবাদ হচ্ছে ‘চায়না-৩, চায়না -২,বোম্বাই ও দেেেশীয় শলিচু।দিনাজপুর জেলার বিরামপুরের লিচু চাষীরা জানান গতবারের চেয়ে এবার লিচুর ফলন কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।
বিরামপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে মৃত রফিকুল মাষ্টারের ছেলে মতিউল ইসলাম তাজু বলেন, এবছর বাগানে গাছে গাছে প্রচুর লিচু ছিল। কিন্তু একসময় প্রচন্ড রোদ আর গরম বাতাসে তা ঝরে যায়।গাছে সেচ দিয়েও রক্ষা করা যায়নি। চায়না -৩, চায়না -২ বম্বে,মাদ্রাজী জাতসহ অন্যান্য ১২০টি লিচু গাছ রয়েছে। তিনি গত বছর লিচু বিক্রি করেছিলেন ৫ লাখ টাকার। এবার লিচু ঝরে যাওয়া, প্রচন্ড তাপদাহ এবং পোকার কারনে আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় এবার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন, এইবার বৃষ্টি কম হওয়ায় এবং প্রচন্ড তাপদাহের কারণে যথাসময়ে কৃষি অফিসের পরামর্শে লিচু চাষীরা লিচুর ভালো ফলন পেয়েছেন। আমরা কয়েক বছর ধরে স্থানীয় কৃষকদের লিচু চাষ সম্প্রসারণে উদ্বুদ্ধ করায় প্রতিনিয়ত বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে লিচু চাষ। ভোক্তা পর্যন্ত বিষমুক্ত লিচু পৌঁছার ব্যাপারে আমরা প্রথম থেকেই নজরদারি করেছি।