ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মতিয়া চৌধুরীর জানাজা বৃহস্পতিবার, দাফন বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক এমপি অসীম কুমারের ব্যাংক হিসেব জব্দ ৮ জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ জারি শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন পরিতোষ কুমার বৈদ্য পাঁচবিবিতে পোস্ট অফিস সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা,জনদুর্ভোগ চরমে হরিপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ পাঁচবিবিতে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো মধুপুরের আনারস জলবায়ু পদক্ষেপে বৈশ্বিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন চান ড. ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন হতে পারে আগামী সপ্তাহে: তথ্য উপদেষ্টা

মির্জা ফখরুলের আটকের বর্ণনা দিলেন স্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩৬১ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।এ বিষয়ে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, সকালে ডিবি পুলিশের লোকজন বাসায় এসে ফখরুলসহ বাসার সবার সঙ্গে কথা বলে। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও হার্ডডিস্ক নিয়ে চলে যায়। এর ১০ মিনিট পর আবার ফিরে এসে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব খুব অসুস্থ, তার চিকিৎসা চলছিল। এভাবে নিয়ে যাবে মেনে নিতে পারছি না। তাকে যেন জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়।এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসা ঘেরাও করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একইসঙ্গে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঘিরে রাখা হয়েছে। কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।

এর আগে, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু করে বিএনপির। তবে, তার আগেই রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেয়। কিন্তু সংঘর্ষটি বিস্তৃত হয়ে বিএনপির সমাবেশের কাছে চলে আসে এবং এক পর্যায়ে সমাবেশের কাছে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয় এবং পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির সমাবেশের মাইকগুলো বন্ধ হয়ে যায়। পরে নয়াপল্টনের মঞ্চ থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।ভয়াবহ এই সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য ও এক রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৪১ জন পুলিশ সদস্য ও ২৮ জন সাংবাদিকসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এরপর রাতেই জনসাধারণের নিরাপত্তায় রাজধানীতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মির্জা ফখরুলের আটকের বর্ণনা দিলেন স্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:১২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।এ বিষয়ে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, সকালে ডিবি পুলিশের লোকজন বাসায় এসে ফখরুলসহ বাসার সবার সঙ্গে কথা বলে। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও হার্ডডিস্ক নিয়ে চলে যায়। এর ১০ মিনিট পর আবার ফিরে এসে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব খুব অসুস্থ, তার চিকিৎসা চলছিল। এভাবে নিয়ে যাবে মেনে নিতে পারছি না। তাকে যেন জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়।এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসা ঘেরাও করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একইসঙ্গে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঘিরে রাখা হয়েছে। কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।

এর আগে, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু করে বিএনপির। তবে, তার আগেই রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেয়। কিন্তু সংঘর্ষটি বিস্তৃত হয়ে বিএনপির সমাবেশের কাছে চলে আসে এবং এক পর্যায়ে সমাবেশের কাছে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয় এবং পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির সমাবেশের মাইকগুলো বন্ধ হয়ে যায়। পরে নয়াপল্টনের মঞ্চ থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।ভয়াবহ এই সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য ও এক রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৪১ জন পুলিশ সদস্য ও ২৮ জন সাংবাদিকসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এরপর রাতেই জনসাধারণের নিরাপত্তায় রাজধানীতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।