শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড’পেল বিরামপুরের নাহিয়ান
- আপডেট সময় : ১১:৩৯:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
- / ১৪৯১ বার পড়া হয়েছে
ইব্রাহীম মিঞা, প্রতিনিধি বিরামপুর (দিনাজপুর)
বাংলাদেশ স্কাউটের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক জাতীয় শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার এ.এফ.এম নাহিয়ান হক। বাংলাদেশ স্কাউটস এর ওয়েবসাইটে সম্প্রতি এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।গত (০৭) জানুয়ারি ২০২১ তারিখে সারা দেশে ১১৬ টি কেন্দ্রে ২০২১ সালের শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড প্রার্থীদের জাতীয় পর্যায়ে লিখিত ও মৌখিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মূল্যায়নে শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড এর জন্য ১৭৩৩ জন কাব স্কাউটকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়।
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার কেটরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ.এফ.এম নাহিয়ান হক ১৭৩৩ জনের মধ্যে ১ জন।নাহিয়ান এর মা মোছাঃ নাসরিন জাহান শিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এবং বাবা এ.এস.এম বেনজির হক কেটরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। নাহিয়ান হক ২০২২ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পান। নাহিয়ান শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত এবং সে রংপুর সিদ্দিক মেমোরিয়াল ক্যাডেট এ কোচিং করছে।
কেটরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, কাব শিশু হতে ২ বছর প্রশিক্ষণ নিয়ে দীক্ষা গ্রহন করে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে জাতীয় পর্যায়ে কাবের বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। আমাদের স্কুল হতে প্রথমবারের মত জাতীয় শাপলা এ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় আমরা গর্বিত। আমরা এটি অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করি।
উপজেলা কাব স্কাউট লিডার বিরামপুর মডেল (৩নং) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ নুর আলম জানান গত ৫ বছরে এইবার প্রথম।বিরামপুর উপজেলার শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঃ হাকিম এবং কেটরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেনজির হক কাব স্কাউট উডব্যাজ প্রাপ্ত হন।কেটরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বেনজির হক বলেন, আমি সত্যিই আনন্দিত। আমার প্রশিক্ষণে জাতীয় শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। কাব স্কাউট নৈতিক শিক্ষা দেয়। সে এই নৈতিক শিক্ষা পরিপূর্ণভাবে অর্জন করেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার জানান, জাতীয় শাপলা কাব এ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় নাহিয়ান এর জন্য অভিনন্দন রইলো। স্কাউট শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলিত জীবন গঠনের শিক্ষা দেয়। পাঠ্যশিক্ষার পাশাপাশি এ শিক্ষা শিশু-কিশোরদের আত্মপ্রত্যয়ী, পরোপকারী, আত্মনির্ভরশীল ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।