ঢাকা ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন পরিতোষ কুমার বৈদ্য পাঁচবিবিতে পোস্ট অফিস সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা,জনদুর্ভোগ চরমে হরিপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ পাঁচবিবিতে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো মধুপুরের আনারস জলবায়ু পদক্ষেপে বৈশ্বিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন চান ড. ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন হতে পারে আগামী সপ্তাহে: তথ্য উপদেষ্টা পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ লোক দেখানো কাজ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়: হাসান আরিফ পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইল বাংলাদেশ

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকতার আচরণবিধি প্রতিপালন’সম্পর্কিত শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • / ৪২২ বার পড়া হয়েছে

হাবিবুর রহমান সোহাগ,সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরায় সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার মান সংরক্ষণে সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতা এবং সাংবাদিকতার আচরণবিধি প্রতিপালন’সম্পর্কিত এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম।

সেমিনারে সাতক্ষীরায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন,অপসাংবাদিকতার দেশ ভরে গেছে। এটি নিয়ন্ত্রণের সময় এসে গেছে। তবে বিচারিক সংস্থা হলেও প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা কম থাকায় আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসা ব্যক্তিদের সংখ্যা কম।

তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু যখন প্রেস কাউন্সিল গঠন করেন,তখন বিচারিক ক্ষমতায় কাউকে দণ্ডদেওয়া যেত না। শুধুমাত্র তিরস্কার করা যেত।এখনও সেই আইন বহাল রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের সম্মান করতেন বলে বড় কোন শাস্তি তাদের জন্য রাখেননি। তবে এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আমরা দশ লাখ টাকা জরিমানা করার ক্ষমতা চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এটা সংসদে পাশ হলে প্রেস কাউন্সিল শক্তিশালী হবে।
বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন,যখন প্রেস কাউন্সিল গঠিত হয়,তখন কেবল মুদ্রিত পত্রিকা বাজারে ছিল। তখন অনলাইন বা টেলিভিশনের আধিক্য ছিলনা। অনলাইন বা টেলিভিশনের সাংবাদিকদেরও প্রেস কাউন্সিলের আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

সেমিনারে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ড. উৎপল কুমার সরকার বলেন,সাংবাদিকতা এখন করপোরেট হাউজের কাছে বন্দী। ব্যাপক ঝুঁকি নিয়ে মফস্বল সাংবাদিকরা কাজ করলেও তারা ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকতার আচরণবিধি প্রতিপালন’সম্পর্কিত শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ১০:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

হাবিবুর রহমান সোহাগ,সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরায় সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার মান সংরক্ষণে সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতা এবং সাংবাদিকতার আচরণবিধি প্রতিপালন’সম্পর্কিত এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম।

সেমিনারে সাতক্ষীরায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন,অপসাংবাদিকতার দেশ ভরে গেছে। এটি নিয়ন্ত্রণের সময় এসে গেছে। তবে বিচারিক সংস্থা হলেও প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা কম থাকায় আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসা ব্যক্তিদের সংখ্যা কম।

তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু যখন প্রেস কাউন্সিল গঠন করেন,তখন বিচারিক ক্ষমতায় কাউকে দণ্ডদেওয়া যেত না। শুধুমাত্র তিরস্কার করা যেত।এখনও সেই আইন বহাল রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের সম্মান করতেন বলে বড় কোন শাস্তি তাদের জন্য রাখেননি। তবে এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আমরা দশ লাখ টাকা জরিমানা করার ক্ষমতা চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এটা সংসদে পাশ হলে প্রেস কাউন্সিল শক্তিশালী হবে।
বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন,যখন প্রেস কাউন্সিল গঠিত হয়,তখন কেবল মুদ্রিত পত্রিকা বাজারে ছিল। তখন অনলাইন বা টেলিভিশনের আধিক্য ছিলনা। অনলাইন বা টেলিভিশনের সাংবাদিকদেরও প্রেস কাউন্সিলের আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

সেমিনারে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ড. উৎপল কুমার সরকার বলেন,সাংবাদিকতা এখন করপোরেট হাউজের কাছে বন্দী। ব্যাপক ঝুঁকি নিয়ে মফস্বল সাংবাদিকরা কাজ করলেও তারা ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত।