উজিরপুরে ৭ম শ্রেনির ছাত্রীকে ইভটিজিং করার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৬:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
- / ৪০৪ বার পড়া হয়েছে
উজিরপুর প্রতিনিধিঃ
বরিশাল জেলার উজিরপুরে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে খোঁদ উজিরপুর উপজেলার মানিককাঠী গ্রামে। ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায় উপজেলার শোলক ইউনিয়নের মানিককাঠী গ্রামের রহিম ফকিরের ছেলে বখাটে মিজান ফকির(২৫),গত সোমবার রাত ৮ টার দিকে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে দরজা খুলে দিতে বলে এবং কূ-প্রস্তাব দেয়। ওই ছাত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। এসময় ছাত্রী ডাক-চিৎকার করলে পরবর্তীতে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বখাটে মিজান পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী জানায় তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে দরজা খুলতে বলে ও কুপ্রস্তাব দেয়। এমনকি ওই ছাত্রী বখাটের অশ্লীল কথাবার্তা মোবাইল ফোনে অডিও রেকর্ড করে রাখে। তবে ছাত্রী বিচারের দাবী করে। ছাত্রীর বাবা জানান, তারা গরীব অসহায় হওয়ায় তার স্ত্রী খুলনায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। এরই সুযোগ নিয়ে বখাটে মিজান, আমার মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করতে চেয়েছিল। এছাড়া ওই বখাটে আমার বসতঘরের সামনে একটি বেড়া আগুন দিয়ে পুরে ফেলেছে। এ ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পরে উজিরপুর থানার এ.এস.আই মৃদুল ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে চলে গেলে আমাকে তারা বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। তাই তাদের ভয়ে আমি মিমাংসা হতে রাজি হই। ১২ আগষ্ট শনিবার সন্ধ্যায় ওই পুলিশের কাছে থানায় আমরা উভয় পক্ষ হাজির হই এবং আমার কাছে মাপ চাওয়ায় আপোষ মিমাংসা হয়ে যাই। অভিযুক্ত মিজান এর বোন জানান ঘটনাটি মিমাংসা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে বখাটে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এএসআই মৃদুল জানান আগুন দিয়ে বেড়া পুরে ফেলেছে ও জমিজমা বিরোধ এবং উত্যক্তসহ কয়েকটি অভিযোগ একসাথে দেয়ার কারনে বিষয়টি মিমাংসার জন্য সুযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ছাত্রীর বাবা মামলা দায়ের করলে অফিসার ইনচার্জ ছুটি শেষ করে থানায় আসলে বিষয়টি স্যারকে জানানো হবে।
শোলক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ হালিম সরদার জানান, এ বিষয় নিয়ে আমার কাছে আসলে আমি মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেই। কিন্তু শুনেছি মামলা না দিয়ে তারা উভয় পক্ষ থানায় গিয়ে মিমাংসা হয়েছে। উজিরপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগ জানান,বিষয়টি জানা নেই। অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুল হাসান ছুটিতে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।