ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক, প্রতারণার শিকার হয়ে প্রেমিকের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৩১ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর প্রেমিকা ও প্রেমিকার পরিবারের কাছে প্রতারণার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন রহিমুল হাসান বাবু (২৩) নামে এক যুবক। নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের পাইলটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে জানা গেছে এ ঘটনার পেছনে প্রেমিকা সোনিয়া, তার বাবা সাহাআলম ও তাদের পরিবার ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্পর্কে চাচাতো বোন সোনিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাবুর সে মেয়েটি বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন এবং পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। বাবুও তিন-চার বছর ধরে ঢাকায় পোশাক কারখানায় পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। সেখানে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে সুবাধে বাবুর আয়ের বড় একটা অংশ সোনিয়া’র পেছনে ব্যয় হতো।

ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসার পর বাবা-মা ও চাচারা মিলে মেয়েটির বিয়ের আলোচনা করতে থাকে তারই ফুফাতো ভাই বারহাট্টা এলাকার সায়েম মিয়ার সঙ্গে। এ কথা শুনে বাবুর পরিবার মেয়েকে বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে আলোচনা করতে তাদের বাড়িতে যান। কিন্তু বাবুর সঙ্গে মেয়েটিকে বিয়ে দিতে রাজি হননি পরিবারের লোকজন। এমনকি বাবুকে মারধর করেন ও মেয়েকে ভয়ভীতি দেখায়, এতে ক্ষোভে আত্মহত্যার হুমকি দেন বাবু।

পরে এ বিষয় নিয়ে এলাকার লোকজন আলোচনায় বসলে তাতেও ব্যর্থ হয়। পরে শুক্রবার রাতে ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে পারিবারিকভাবে আলোচনা পাকা হয়। সেই সঙ্গে তাদের দেওয়া নাকফুলসহ স্বর্ণালংকার পরানো হয় মেয়েটিকে। শনিবার সকালে মেয়েটিকে নিয়ে ঢাকায় চলে যায় তার বাবা-মা। আর এ দিন সন্ধ্যায় নিজের ঘরে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবু।

এ বিষয়ে বাবুর চাচা কামাল মিয়া ও মামা মো. দিলকিছ মিয়া বলেন, ‘বাবুর সঙ্গে মেয়েটির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ঢাকায় চাকরি করে সব টাকা ওই মেয়ের পেছনেই ব্যয় করে বাবু। মেয়ের জন্য সে পাগল ছিল। বিয়ের জন্য আমরা সবাই গিয়েছি মেয়ের বাবাসহ পরিবারের সবার কাছে। তাদের কাছে অনুনয় বিনয় করেছি। কিন্তু তারা রাজি হয়নি। রাজি হলে আজ বাবুর মতো একটা তরুণ প্রাণ ঝড়ে যেত না। আমরা এর বিচার চাই।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাজন মিয়া বলেন, ‘বাবুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল মেয়েটির। অন্যত্র বিয়ের কথা পাকাপাকি হওয়ায় ক্ষোভে সে আত্মহত্যা করেছে। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’

প্রতারণার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে বাবু, এ আত্ম্যহত্যা ঘটানোর পেছনে সোনিয়া ও সোনিয়ার পরিবার সরাসরি সংযুক্ত, তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আহ্বানের কথা জানিয়েছেন বাবুর পরিবার ও এলাকাবাসী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক, প্রতারণার শিকার হয়ে প্রেমিকের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৭:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর প্রেমিকা ও প্রেমিকার পরিবারের কাছে প্রতারণার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন রহিমুল হাসান বাবু (২৩) নামে এক যুবক। নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের পাইলটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে জানা গেছে এ ঘটনার পেছনে প্রেমিকা সোনিয়া, তার বাবা সাহাআলম ও তাদের পরিবার ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্পর্কে চাচাতো বোন সোনিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাবুর সে মেয়েটি বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন এবং পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। বাবুও তিন-চার বছর ধরে ঢাকায় পোশাক কারখানায় পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। সেখানে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে সুবাধে বাবুর আয়ের বড় একটা অংশ সোনিয়া’র পেছনে ব্যয় হতো।

ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসার পর বাবা-মা ও চাচারা মিলে মেয়েটির বিয়ের আলোচনা করতে থাকে তারই ফুফাতো ভাই বারহাট্টা এলাকার সায়েম মিয়ার সঙ্গে। এ কথা শুনে বাবুর পরিবার মেয়েকে বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে আলোচনা করতে তাদের বাড়িতে যান। কিন্তু বাবুর সঙ্গে মেয়েটিকে বিয়ে দিতে রাজি হননি পরিবারের লোকজন। এমনকি বাবুকে মারধর করেন ও মেয়েকে ভয়ভীতি দেখায়, এতে ক্ষোভে আত্মহত্যার হুমকি দেন বাবু।

পরে এ বিষয় নিয়ে এলাকার লোকজন আলোচনায় বসলে তাতেও ব্যর্থ হয়। পরে শুক্রবার রাতে ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে পারিবারিকভাবে আলোচনা পাকা হয়। সেই সঙ্গে তাদের দেওয়া নাকফুলসহ স্বর্ণালংকার পরানো হয় মেয়েটিকে। শনিবার সকালে মেয়েটিকে নিয়ে ঢাকায় চলে যায় তার বাবা-মা। আর এ দিন সন্ধ্যায় নিজের ঘরে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবু।

এ বিষয়ে বাবুর চাচা কামাল মিয়া ও মামা মো. দিলকিছ মিয়া বলেন, ‘বাবুর সঙ্গে মেয়েটির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ঢাকায় চাকরি করে সব টাকা ওই মেয়ের পেছনেই ব্যয় করে বাবু। মেয়ের জন্য সে পাগল ছিল। বিয়ের জন্য আমরা সবাই গিয়েছি মেয়ের বাবাসহ পরিবারের সবার কাছে। তাদের কাছে অনুনয় বিনয় করেছি। কিন্তু তারা রাজি হয়নি। রাজি হলে আজ বাবুর মতো একটা তরুণ প্রাণ ঝড়ে যেত না। আমরা এর বিচার চাই।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাজন মিয়া বলেন, ‘বাবুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল মেয়েটির। অন্যত্র বিয়ের কথা পাকাপাকি হওয়ায় ক্ষোভে সে আত্মহত্যা করেছে। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’

প্রতারণার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে বাবু, এ আত্ম্যহত্যা ঘটানোর পেছনে সোনিয়া ও সোনিয়ার পরিবার সরাসরি সংযুক্ত, তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আহ্বানের কথা জানিয়েছেন বাবুর পরিবার ও এলাকাবাসী।