ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আত্মসমর্পণের পর কারাগারে বিএনপি নেতা ইশরাক দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবৈধ জুস তৈরির কারখানায় অভিযান, ১০ লাখ টাকা জরিমানা দেশ এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে : মির্জা ফখরুল ‘ভারত-চীনকে যুক্ত করতে পারলেই রোহিঙ্গা সংকট সমাধান সম্ভব’ পাঁচবিবিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেবেকা সুলতানার মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত বিরামপুরে সিনিয়র টি-২০ ক্রিকেট লীগের খেলোয়াড় বন্টন ও নিলাম অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে শেষ মুহূর্তে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেবেকা সুলতানার গণসংযোগ পাঁচবিবিতে পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করন নামাজ মুমিনের শ্রেষ্ঠ ইবাদত

মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কীভাবে থামাবেন?

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:১০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৩২০ বার পড়া হয়েছে

গরুর মাংস, দেশি পেয়াজ, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। মনিটরিংয়ে গেলে সেই দামে বিক্রির দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন, সেই মূল্যের পণ্য কিনতে পারছেন না তারা।

এবিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, অভিযান চালিয়ে চলে আসার পরে যদি ব্যবসায়ীরা আবারও দাম চড়িয়ে দেন সেক্ষেত্রে করণীয় ঠিক করতে পারছে না তারা। ফলে মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের নেওয়া নানাবিধ উদ্যোগের পরেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই বাজার।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪ (ঝ) ধারা এর ক্ষমতা বলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক কতিপয় নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উল্লেখিত দামে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো। অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে উৎপাদন খরচ ১৪৬ টাকা। তারা উৎপাদনকারী, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুনাফা যোগ করে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দর নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৭৫ টাকা। যদিও ঢাকার চারটি বাজার এবং বিভাগীয় শহরের বাজার ঘুরে গতকাল কোথাও নির্ধারিত দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতে দেখা যায়নি।

বিক্রেতাদের নির্ধারিত দামের কথা বলা হলে তারা বলেন, সেই দামে বিক্রি করলে লাভ থাকে না। লাভ থাকে না নাকি বেশি লাভ থাকে না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মুরগি কেবল মুরগি না, সেটার সঙ্গে আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত করে দাম নির্ধারণ করি আমরা। সরকারি সংস্থা বাজারে অভিযানে আসলে তারা কোন দামে বিক্রির কথা বলবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অবশ্যই তাদের ঠিক করে দেওয়া দামই উল্লেখ করা হবে। কিন্তু আমাদেরও পরিবার নিয়ে টিকে থাকতে হয়। ওই দামে বিক্রি করলে লাভ থাকে না। তিন থেকে চার বছর ধরে তরমুজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ঢাকা শহরে। যিনি তরমুজ ফলাচ্ছেন, সেই কৃষক তো কেজিতে বিক্রি করছেন না। তিনি বিক্রি করছেন শ হিসাবে (১০০ পিস হিসাবে)। সে কৃষক থেকে পিস হিসেবে ক্রয় করে কেন সেটা কেজিতে বিক্রি করতে হবে ভোক্তাদের কাছে? কারওয়ানবাজারের থেকে একটু এগিয়ে এসে বাজারগুলোতে বেল এর দাম হাঁকেন বিক্রেতারা ৩শ টাকা। সম্ভব হলে পাশের দোকানের চেয়ে দুই টাকা হলেও বেশি দামে কোন সবজি বিক্রি করতে পারলে দোকানী খুশি হন।

কেনো একটি পণ্যের দাম একই থাকবে না এবং সেই বাজার ব্যবস্থাপনায় করণীয় কী তা নিয়ে কথা হয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচএম শফিকুজ্জামান এর সঙ্গে। ব্যবসায়ীদের এই দ্বিচারিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কাজ করি। আমরা এটাও বুঝতে পারি, কোন কোন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আসার পরে আবারও একই অবস্থা হয়তো ফেরত আসে। মানুষ যদি এটুকু সততা না দেখাতে পারে তাহলে ব্যাপারটা কঠিন হয়ে যায়।’ এই মুনাফালোভীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কী হবে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আরও বেশি বেশি অভিযোগ করুন ভোক্তা অধিকারের জন্য। সার্বিক বাজার মনিটরিংয়ে যা যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে লোভী আরও বেশি লোভী হবে এবং ভুক্তভোগী হবে জনগণ।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কীভাবে থামাবেন?

আপডেট সময় : ০৭:১০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

গরুর মাংস, দেশি পেয়াজ, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। মনিটরিংয়ে গেলে সেই দামে বিক্রির দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন, সেই মূল্যের পণ্য কিনতে পারছেন না তারা।

এবিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, অভিযান চালিয়ে চলে আসার পরে যদি ব্যবসায়ীরা আবারও দাম চড়িয়ে দেন সেক্ষেত্রে করণীয় ঠিক করতে পারছে না তারা। ফলে মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের নেওয়া নানাবিধ উদ্যোগের পরেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই বাজার।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪ (ঝ) ধারা এর ক্ষমতা বলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক কতিপয় নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উল্লেখিত দামে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো। অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে উৎপাদন খরচ ১৪৬ টাকা। তারা উৎপাদনকারী, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুনাফা যোগ করে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দর নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৭৫ টাকা। যদিও ঢাকার চারটি বাজার এবং বিভাগীয় শহরের বাজার ঘুরে গতকাল কোথাও নির্ধারিত দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতে দেখা যায়নি।

বিক্রেতাদের নির্ধারিত দামের কথা বলা হলে তারা বলেন, সেই দামে বিক্রি করলে লাভ থাকে না। লাভ থাকে না নাকি বেশি লাভ থাকে না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মুরগি কেবল মুরগি না, সেটার সঙ্গে আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত করে দাম নির্ধারণ করি আমরা। সরকারি সংস্থা বাজারে অভিযানে আসলে তারা কোন দামে বিক্রির কথা বলবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অবশ্যই তাদের ঠিক করে দেওয়া দামই উল্লেখ করা হবে। কিন্তু আমাদেরও পরিবার নিয়ে টিকে থাকতে হয়। ওই দামে বিক্রি করলে লাভ থাকে না। তিন থেকে চার বছর ধরে তরমুজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ঢাকা শহরে। যিনি তরমুজ ফলাচ্ছেন, সেই কৃষক তো কেজিতে বিক্রি করছেন না। তিনি বিক্রি করছেন শ হিসাবে (১০০ পিস হিসাবে)। সে কৃষক থেকে পিস হিসেবে ক্রয় করে কেন সেটা কেজিতে বিক্রি করতে হবে ভোক্তাদের কাছে? কারওয়ানবাজারের থেকে একটু এগিয়ে এসে বাজারগুলোতে বেল এর দাম হাঁকেন বিক্রেতারা ৩শ টাকা। সম্ভব হলে পাশের দোকানের চেয়ে দুই টাকা হলেও বেশি দামে কোন সবজি বিক্রি করতে পারলে দোকানী খুশি হন।

কেনো একটি পণ্যের দাম একই থাকবে না এবং সেই বাজার ব্যবস্থাপনায় করণীয় কী তা নিয়ে কথা হয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচএম শফিকুজ্জামান এর সঙ্গে। ব্যবসায়ীদের এই দ্বিচারিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কাজ করি। আমরা এটাও বুঝতে পারি, কোন কোন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আসার পরে আবারও একই অবস্থা হয়তো ফেরত আসে। মানুষ যদি এটুকু সততা না দেখাতে পারে তাহলে ব্যাপারটা কঠিন হয়ে যায়।’ এই মুনাফালোভীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কী হবে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আরও বেশি বেশি অভিযোগ করুন ভোক্তা অধিকারের জন্য। সার্বিক বাজার মনিটরিংয়ে যা যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে লোভী আরও বেশি লোভী হবে এবং ভুক্তভোগী হবে জনগণ।’