ঢাকা ১২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দোয়ারাবাজারে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ২ মাদ্রাসা ছাত্রকে মারধর, এলাকায় ক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:১১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে

 

দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাশেল আহমেদ ও ইয়াছিন আহমেদ নামের দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে দিনদুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে বেদম মারপিট ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই দুই ছাত্র উপজেলার চামতলা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণিতে পড়ে।
এ ঘটনায় রবিবার (৫ নভেম্বর ) দুপুরে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় মামুন মিয়া,জীবন মিয়া ও জুবায়ের আহমেদসহ বেশকিছু বখাটে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচারণ, অকারণে মুঠোফোনে ছবি তোলা, পথরোধ করা, বাড়িতে যাওয়ার পথে বাধাসহ নানাভাবে বিরক্ত করে আসছিলেন।
এতে চরম বিরক্ত হয়ে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রাশেল আহমেদ ও ইয়াছিন আহমেদসহ বেশ কয়েকজন এর প্রতিবাদ করে। এর প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর)মাদ্রাসা ছুটির পরে বাড়িতে যাওয়ার পথে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার -চকবাজার রাস্তার জামাল পয়েন্টের নিকটে পৌছামাত্র
রাশেল আহমেদ ও ইয়াছিন আহমেদকে পিছন থেকে বখাটে মামুন মিয়া,জীবন মিয়া ও জুবায়ের আহমেদ মারধর করে ফেলে যায় চিৎকার শুনে স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে অভিভাবকদের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী ম্যাডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহসান হাবিব বলেন, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যদি বখাটেরা মারধর করার সাহস পায় তাহলে আমাদের সন্তানরা মাদ্রাসা গামী হবে কীভাবে?
চামতলা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল হক বলেন, বখাটেরা ক্লাস শুরু হওয়ার একঘণ্টা আগে মাদ্রাসার মাঠের পাশে, পুকুর ঘাট, গোলচক্কর ও দোকানপাটসহ আশপাশে অযথা আশালীল পোশাক পরে ঘোরাফেরা করে। মাদ্রাসা ছাত্রীদের ইভটিজিং করে।বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের আমরা বেশ কয়েকবার জানিয়েছি, কিন্তু কোন ফল হয়নি।ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করার মাদ্রাসা ছাত্রদের মারধর করেন আমরা সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। আমরা এই ইভটিজারদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। কারণ একটির বিচার হলে, আরেকটি মাথা ছাড়া দেওয়ার সাহস পাবে না
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দোয়ারাবাজারে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ২ মাদ্রাসা ছাত্রকে মারধর, এলাকায় ক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৭:১১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

 

দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাশেল আহমেদ ও ইয়াছিন আহমেদ নামের দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে দিনদুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে বেদম মারপিট ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই দুই ছাত্র উপজেলার চামতলা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণিতে পড়ে।
এ ঘটনায় রবিবার (৫ নভেম্বর ) দুপুরে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় মামুন মিয়া,জীবন মিয়া ও জুবায়ের আহমেদসহ বেশকিছু বখাটে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচারণ, অকারণে মুঠোফোনে ছবি তোলা, পথরোধ করা, বাড়িতে যাওয়ার পথে বাধাসহ নানাভাবে বিরক্ত করে আসছিলেন।
এতে চরম বিরক্ত হয়ে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রাশেল আহমেদ ও ইয়াছিন আহমেদসহ বেশ কয়েকজন এর প্রতিবাদ করে। এর প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর)মাদ্রাসা ছুটির পরে বাড়িতে যাওয়ার পথে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার -চকবাজার রাস্তার জামাল পয়েন্টের নিকটে পৌছামাত্র
রাশেল আহমেদ ও ইয়াছিন আহমেদকে পিছন থেকে বখাটে মামুন মিয়া,জীবন মিয়া ও জুবায়ের আহমেদ মারধর করে ফেলে যায় চিৎকার শুনে স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে অভিভাবকদের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী ম্যাডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহসান হাবিব বলেন, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যদি বখাটেরা মারধর করার সাহস পায় তাহলে আমাদের সন্তানরা মাদ্রাসা গামী হবে কীভাবে?
চামতলা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল হক বলেন, বখাটেরা ক্লাস শুরু হওয়ার একঘণ্টা আগে মাদ্রাসার মাঠের পাশে, পুকুর ঘাট, গোলচক্কর ও দোকানপাটসহ আশপাশে অযথা আশালীল পোশাক পরে ঘোরাফেরা করে। মাদ্রাসা ছাত্রীদের ইভটিজিং করে।বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের আমরা বেশ কয়েকবার জানিয়েছি, কিন্তু কোন ফল হয়নি।ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করার মাদ্রাসা ছাত্রদের মারধর করেন আমরা সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। আমরা এই ইভটিজারদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। কারণ একটির বিচার হলে, আরেকটি মাথা ছাড়া দেওয়ার সাহস পাবে না
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।