ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দোয়ারাবাজারে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল 

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩২৩ বার পড়া হয়েছে

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করার প্রতিবাদে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। মিছিল করে তারা বখাটে শাহীন মোড়লের শাস্তির দাবি করে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে ক্লাসে ফেরান।
৬ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী টিফিন পিরিয়ডে বান্ধবীদের নিয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরে আসার পথে বখাটে শাহীন মোড়ল জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে মেয়েটির বান্ধবীদের সোর চিৎকারে ভয় পেয়ে বখাটে শাহীন মোড়ল পালিয়ে যায়।
নির্যাতনের স্বীকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রী জানায় মঙ্গলবার দুপুরে দশম শ্রেণির ওই মাদ্রাসার টিফিন পিরিয়ডে ওই ছাত্রী তিন বান্ধীর সংগে বাড়ি যাওয়ার পথে এলাকার চিহ্নিত বখাটে শাহীন মোড়ল তাদের পথরোধ করে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে জোরপূর্বক কোমল পানীয় খাওয়ায় অজ্ঞান করে ফেলে। পরে তার বান্ধবীরা চিৎকার শুরু করলে মেয়েটিকে রেখে বখাটে পালিয়ে যায়। বখাটে শাহীন মোড়ল দোয়ারাবাজার উপজেলা বোগলাবাজার ইউনিয়নের কাঠালবাড়ি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
নির্যাতিতা ছাত্রীর বান্ধবী জানায়, শহীন মড়ল ভয়ভীতি দেখিয়ে তার বান্ধবীকে তুলে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক কোমল পানীয় পান করিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে তারা চিৎকার শুরু করলে মোড়ল পালিয়ে যায়।
সালাউদ্দিন উরুফে শাহীন মোড়ল তাকে হাত ধরে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় পরে জোর পূর্বক কোমল পানীয় খাওয়ায়।
ওই ছাত্রী তার সঙ্গে না গেলে তাকে পরে সে ও তার বান্ধবীরা সুরচিৎকার শুরু করে সালাউদ্দিন শহীন মড়ককে বাধা দেয়। কোমলপানীয় খাওয়ানো পরে ওই ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যায়। যাওয়ার আগে অনেক ভয়ভীতি দেখায়। নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা জানান, আমার মেয়েকে বাড়ি আসার পথে ভয়ভীতি দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় বখাটে সালাউদ্দিন। সে তাকে কোমল পানীয় খাওয়ায় অজ্ঞান করে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে শাহিন মোড়ল। পরে অজ্ঞান অবস্থায় আমরা তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসি।
দোয়ারাবাজার থানার এস আই সাম্রাজ মিয়া আসামি গ্রেফতার করার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরান।
দোয়ারাবাজার থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। মাদ্রাসার সহকারী সুপার মাওলানা মফিজুল ইসলাম বলেন, দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বখাটে শাহীন মোড়লকে দ্রুত গ্রেফতার ক্রার আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা চাই পুলিশ দ্রুত আসামি গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুক। যেহেতু তারা আশ্বাস দিয়েছেন এখন শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়া উচিত।
দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিলন খান বলেন, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করবে আমরা এমনই প্রত্যাশা করি। আজ যে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে এমন প্রত্যাশা করি। বখাটে শাহীন মোড়ল এলাকাবাসীর চেয়ে শক্তিশালী কেউ না। সে একজন চিহ্নিত অপরাধী তাকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। দোয়ারাবাজার থানার এস আই সাম্রাজ মিয়া বলেন আসামি গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে আশা করি সে দ্রুত ধরা পড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দোয়ারাবাজারে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল 

আপডেট সময় : ১২:১৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করার প্রতিবাদে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। মিছিল করে তারা বখাটে শাহীন মোড়লের শাস্তির দাবি করে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে ক্লাসে ফেরান।
৬ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী টিফিন পিরিয়ডে বান্ধবীদের নিয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরে আসার পথে বখাটে শাহীন মোড়ল জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে মেয়েটির বান্ধবীদের সোর চিৎকারে ভয় পেয়ে বখাটে শাহীন মোড়ল পালিয়ে যায়।
নির্যাতনের স্বীকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রী জানায় মঙ্গলবার দুপুরে দশম শ্রেণির ওই মাদ্রাসার টিফিন পিরিয়ডে ওই ছাত্রী তিন বান্ধীর সংগে বাড়ি যাওয়ার পথে এলাকার চিহ্নিত বখাটে শাহীন মোড়ল তাদের পথরোধ করে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে জোরপূর্বক কোমল পানীয় খাওয়ায় অজ্ঞান করে ফেলে। পরে তার বান্ধবীরা চিৎকার শুরু করলে মেয়েটিকে রেখে বখাটে পালিয়ে যায়। বখাটে শাহীন মোড়ল দোয়ারাবাজার উপজেলা বোগলাবাজার ইউনিয়নের কাঠালবাড়ি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
নির্যাতিতা ছাত্রীর বান্ধবী জানায়, শহীন মড়ল ভয়ভীতি দেখিয়ে তার বান্ধবীকে তুলে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক কোমল পানীয় পান করিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে তারা চিৎকার শুরু করলে মোড়ল পালিয়ে যায়।
সালাউদ্দিন উরুফে শাহীন মোড়ল তাকে হাত ধরে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় পরে জোর পূর্বক কোমল পানীয় খাওয়ায়।
ওই ছাত্রী তার সঙ্গে না গেলে তাকে পরে সে ও তার বান্ধবীরা সুরচিৎকার শুরু করে সালাউদ্দিন শহীন মড়ককে বাধা দেয়। কোমলপানীয় খাওয়ানো পরে ওই ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যায়। যাওয়ার আগে অনেক ভয়ভীতি দেখায়। নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা জানান, আমার মেয়েকে বাড়ি আসার পথে ভয়ভীতি দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় বখাটে সালাউদ্দিন। সে তাকে কোমল পানীয় খাওয়ায় অজ্ঞান করে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে শাহিন মোড়ল। পরে অজ্ঞান অবস্থায় আমরা তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসি।
দোয়ারাবাজার থানার এস আই সাম্রাজ মিয়া আসামি গ্রেফতার করার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরান।
দোয়ারাবাজার থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। মাদ্রাসার সহকারী সুপার মাওলানা মফিজুল ইসলাম বলেন, দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বখাটে শাহীন মোড়লকে দ্রুত গ্রেফতার ক্রার আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা চাই পুলিশ দ্রুত আসামি গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুক। যেহেতু তারা আশ্বাস দিয়েছেন এখন শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়া উচিত।
দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিলন খান বলেন, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করবে আমরা এমনই প্রত্যাশা করি। আজ যে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে এমন প্রত্যাশা করি। বখাটে শাহীন মোড়ল এলাকাবাসীর চেয়ে শক্তিশালী কেউ না। সে একজন চিহ্নিত অপরাধী তাকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। দোয়ারাবাজার থানার এস আই সাম্রাজ মিয়া বলেন আসামি গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে আশা করি সে দ্রুত ধরা পড়বে।