ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচবিবিতে দ্বীন ও ইসলামী শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে দরগাপাড়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৩২২ বার পড়া হয়েছে

দবিরুল ইসলাম, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট)প্রতিনিধি:

দ্বীন ও ইসলামী শিক্ষার একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হযরত সাঈদ ইবনে যায়িদ (রা:) দরগাপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা।
গত ২৯ বছর যাবত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঁচবিবিসহ জয়পুরহাট জেলা তথা উত্তরবঙ্গে দ্বীন এবং ইসলামী শিক্ষার আলো ছড়িয়ে সাফল্যের সাথে এগিয়ে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গ্রান্ড প্রাপ্ত হয় ১৫ জুলাই ২০০৭ সনে। নিবন্ধন নম্বর-৪৬৪।
কারী, হাফেজ, আলেম, ইমাম তৈরি করেছেন অসংখ্য। পাশাপাশি ইংলিশ,বাংলা অধ্যায়নেও সমানতালে কৃতিত্বের সাথে শিক্ষাদান করে এতিম অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞানের আলো দিয়ে যাচ্ছে এই মাদ্রাসা ও এতিমখানা। মানুষের দান অনুদানে পরিচালিত হয় এই মাদ্রাসাটি।
এলাকার দানবীর মরহুম আফসার রহমান পাঁচবিবি-হিলি সড়কের পাশে দরগাপাড়া গ্রামে এই মাদ্রাসটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অত্র মাদ্রাসার মোহতামীম মাওঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম এই মাদ্রাসাটির হাল ধরেন এবং অক্লান্ত পরিশ্রম ও দক্ষ পরিচালনায় গত ২৯ বছর যাবত এই মাদ্রাসা ও এতিমখানাটি এই জাহিলিয়্যাতের যুগে দ্বীন- ইসলামকে টিকিয়ে রাখতে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে এবং সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে।
মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক/মোহতামীম মাওঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিটি ছাত্রকে কোরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিতে দারুল উলুম দেওবন্দের অনুকরণে যুগোপযোগী সিলেবাসের মাধ্যমে বেসরকারিভাবে মক্তব, হিফজ, কিরাতসহ নূরানী পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া হয়। এছাড়াও বাংলা, ইংরেজি, অংক, উর্দু, ফারসি, আরবি, গ্রামার কম্পিউটার সহ জামাতে হাসতম পর্যন্ত শিক্ষা দেওয়া হয় এবং ছাত্রদের সুশিক্ষার জন্য ৭/৮জন সুদক্ষ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা আবাসিকভাবে এই শিক্ষা দীক্ষার কাজ চলছে। বর্তমানে অত্র মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রের সংখ্যা রয়েছে ১২০ জন। এছাড়াও সহ-শিক্ষার ক্ষেত্রে উত্তর নওদাপাড়া গ্রামে মেয়েদের জন্য আমি আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠা করেছি আরো একটি হযরত বিবি আছিয়া (রা:) বালিকা কাওমি মাদ্রাসা। সেখানে ছাত্রীর সংখ্যা রয়েছে অর্ধ শতাধিক। প্রতিষ্ঠান ২টি আবাসিক হওয়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমস্যা প্রকট। তাই ব্যয়বহুল এই প্রতিষ্ঠান ২টি চালিয়ে নিতে এলাকাসহ দেশবাসীর কাছে সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা ও সহানুভূতি কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাঁচবিবিতে দ্বীন ও ইসলামী শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে দরগাপাড়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা

আপডেট সময় : ০৯:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

দবিরুল ইসলাম, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট)প্রতিনিধি:

দ্বীন ও ইসলামী শিক্ষার একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হযরত সাঈদ ইবনে যায়িদ (রা:) দরগাপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা।
গত ২৯ বছর যাবত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঁচবিবিসহ জয়পুরহাট জেলা তথা উত্তরবঙ্গে দ্বীন এবং ইসলামী শিক্ষার আলো ছড়িয়ে সাফল্যের সাথে এগিয়ে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গ্রান্ড প্রাপ্ত হয় ১৫ জুলাই ২০০৭ সনে। নিবন্ধন নম্বর-৪৬৪।
কারী, হাফেজ, আলেম, ইমাম তৈরি করেছেন অসংখ্য। পাশাপাশি ইংলিশ,বাংলা অধ্যায়নেও সমানতালে কৃতিত্বের সাথে শিক্ষাদান করে এতিম অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞানের আলো দিয়ে যাচ্ছে এই মাদ্রাসা ও এতিমখানা। মানুষের দান অনুদানে পরিচালিত হয় এই মাদ্রাসাটি।
এলাকার দানবীর মরহুম আফসার রহমান পাঁচবিবি-হিলি সড়কের পাশে দরগাপাড়া গ্রামে এই মাদ্রাসটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অত্র মাদ্রাসার মোহতামীম মাওঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম এই মাদ্রাসাটির হাল ধরেন এবং অক্লান্ত পরিশ্রম ও দক্ষ পরিচালনায় গত ২৯ বছর যাবত এই মাদ্রাসা ও এতিমখানাটি এই জাহিলিয়্যাতের যুগে দ্বীন- ইসলামকে টিকিয়ে রাখতে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে এবং সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে।
মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক/মোহতামীম মাওঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিটি ছাত্রকে কোরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিতে দারুল উলুম দেওবন্দের অনুকরণে যুগোপযোগী সিলেবাসের মাধ্যমে বেসরকারিভাবে মক্তব, হিফজ, কিরাতসহ নূরানী পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া হয়। এছাড়াও বাংলা, ইংরেজি, অংক, উর্দু, ফারসি, আরবি, গ্রামার কম্পিউটার সহ জামাতে হাসতম পর্যন্ত শিক্ষা দেওয়া হয় এবং ছাত্রদের সুশিক্ষার জন্য ৭/৮জন সুদক্ষ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা আবাসিকভাবে এই শিক্ষা দীক্ষার কাজ চলছে। বর্তমানে অত্র মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রের সংখ্যা রয়েছে ১২০ জন। এছাড়াও সহ-শিক্ষার ক্ষেত্রে উত্তর নওদাপাড়া গ্রামে মেয়েদের জন্য আমি আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠা করেছি আরো একটি হযরত বিবি আছিয়া (রা:) বালিকা কাওমি মাদ্রাসা। সেখানে ছাত্রীর সংখ্যা রয়েছে অর্ধ শতাধিক। প্রতিষ্ঠান ২টি আবাসিক হওয়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমস্যা প্রকট। তাই ব্যয়বহুল এই প্রতিষ্ঠান ২টি চালিয়ে নিতে এলাকাসহ দেশবাসীর কাছে সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা ও সহানুভূতি কামনা করছি।