ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফটোসেশনে অংশ না নেওয়ার কারণ জানালেন তামিম

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

গত বিপিএলে ফাইনালের আগের মেট্রোরেলের স্টেশনে ফটোসেশন সেরেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ( বিসিবি)। এবারও ঐতিহ্যবাহী এক স্থানকে বেছে নিয়েছে । তবে বিসিবির এই বিশেষ আয়োজনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কিংবা ফরচুন বরিশাল দুই দলের কোনো অধিনায়কই উপস্থিত ছিলেন না।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আহসান মঞ্জিলে বিপিএলের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কথা ছিল লিটন দাস এবং তামিম ইকবাল আসবেন ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে অংশ নিতে। কিন্তু তাদের কাউকেই দেখা যায়নি ট্রফির সঙ্গে। তাদের বদলে দুই দলের দুই প্রতিনিধি আনুষ্ঠানিকতা সারেন।

এই নিয়ে ক্রিকেট সমর্থকরা সমালোচনা করতে শুরু করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই বিষয়ে শুরু হয় লেখালেখি। কেউ কেউ বিপিএলের প্রতি ক্রিকেটারদের গুরুত্ব হীনতার দিকেও ইঙ্গিত করছেন। এর মধ্যেই নিজের উপস্থিত না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

তবে ফটোসেশনে থাকতে না পারার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছেন তামিম। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তামিম লিখেছেন, বিপিএল ফাইনালের আগে ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনের জন্য আজকে চমৎকার একটি জায়গা বেছে নিয়েছিল বিসিবি।‘তবে আমি সেখানে যেতে পারিনি, এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিসিবি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব অনুসারীর প্রতি। অধিনায়ক হিসেবে অবশ্যই আমার দায়িত্ব ছিল এরকম একটি আয়োজনে থাকা।’

ফটোসেশনে যেতে না পারার কারণ জানিয়ে তামিম লিখেছেন, গতকাল রাতেই আমরা কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচ শেষে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে হোটেলে ফিরতে আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। এরপর ফাইনালে ওঠার আনন্দ উদযাপনের জন্য দল থেকে বিশেষ আয়োজন ছিল। পাশাপাশি, অধিনায়ক হিসেবে আমার বাড়তি কিছু ব্যস্ততাও ছিল। ‘সবকিছু শেষ করতেই আমার অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় হোটেল থেকে বের হওয়া তাই সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে। জায়গাটি যেহেতু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনটি নির্দিষ্ট ওই সময়েই করার কিছু বাধ্যবাধকতাও ছিল।’ তিনি আরও লিখেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই বিপিএলকে অনেক মূল্য দিয়েছি এবং এই টুর্নামেন্টকে ওপরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কখনোই এই টুর্নামেন্টকে কোনোভাবে খাটো করতে চাইনি। বিপিএলের জন্য কোনো কিছু করার সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও এগিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে আজকের পরিস্থিতিতে আমার কোনো উপায় ছিল না এবং এজন্য আবারও দুঃখপ্রকাশ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ফটোসেশনে অংশ না নেওয়ার কারণ জানালেন তামিম

আপডেট সময় : ০৮:২৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গত বিপিএলে ফাইনালের আগের মেট্রোরেলের স্টেশনে ফটোসেশন সেরেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ( বিসিবি)। এবারও ঐতিহ্যবাহী এক স্থানকে বেছে নিয়েছে । তবে বিসিবির এই বিশেষ আয়োজনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কিংবা ফরচুন বরিশাল দুই দলের কোনো অধিনায়কই উপস্থিত ছিলেন না।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আহসান মঞ্জিলে বিপিএলের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কথা ছিল লিটন দাস এবং তামিম ইকবাল আসবেন ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে অংশ নিতে। কিন্তু তাদের কাউকেই দেখা যায়নি ট্রফির সঙ্গে। তাদের বদলে দুই দলের দুই প্রতিনিধি আনুষ্ঠানিকতা সারেন।

এই নিয়ে ক্রিকেট সমর্থকরা সমালোচনা করতে শুরু করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই বিষয়ে শুরু হয় লেখালেখি। কেউ কেউ বিপিএলের প্রতি ক্রিকেটারদের গুরুত্ব হীনতার দিকেও ইঙ্গিত করছেন। এর মধ্যেই নিজের উপস্থিত না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

তবে ফটোসেশনে থাকতে না পারার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছেন তামিম। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তামিম লিখেছেন, বিপিএল ফাইনালের আগে ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনের জন্য আজকে চমৎকার একটি জায়গা বেছে নিয়েছিল বিসিবি।‘তবে আমি সেখানে যেতে পারিনি, এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিসিবি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব অনুসারীর প্রতি। অধিনায়ক হিসেবে অবশ্যই আমার দায়িত্ব ছিল এরকম একটি আয়োজনে থাকা।’

ফটোসেশনে যেতে না পারার কারণ জানিয়ে তামিম লিখেছেন, গতকাল রাতেই আমরা কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচ শেষে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে হোটেলে ফিরতে আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। এরপর ফাইনালে ওঠার আনন্দ উদযাপনের জন্য দল থেকে বিশেষ আয়োজন ছিল। পাশাপাশি, অধিনায়ক হিসেবে আমার বাড়তি কিছু ব্যস্ততাও ছিল। ‘সবকিছু শেষ করতেই আমার অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় হোটেল থেকে বের হওয়া তাই সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে। জায়গাটি যেহেতু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনটি নির্দিষ্ট ওই সময়েই করার কিছু বাধ্যবাধকতাও ছিল।’ তিনি আরও লিখেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই বিপিএলকে অনেক মূল্য দিয়েছি এবং এই টুর্নামেন্টকে ওপরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কখনোই এই টুর্নামেন্টকে কোনোভাবে খাটো করতে চাইনি। বিপিএলের জন্য কোনো কিছু করার সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও এগিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে আজকের পরিস্থিতিতে আমার কোনো উপায় ছিল না এবং এজন্য আবারও দুঃখপ্রকাশ করছি।